ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার যানবাহনগুলো যাত্রী ও পণ্য নিয়ে যাতে সহজে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য বছর কয়েক আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ সেই সড়কটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘিœত হচ্ছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ভালুকার ভরাডোবা ক্লাব বাজার অংশে সংস্কার করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কার করা সড়কটির বিটুমিন ও খোয়া উঠে গেছে। গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। অনেকে আহতও হচ্ছেন।
গত বছরের আগস্ট মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ করে। খানাখন্দগুলো অনেকটা দায়সারাভাবে ভরাট করে সড়ক খুলে দেয়। কিন্তু নি¤œমানের কাজ ও পর্যাপ্ত বিটুমিন না দেয়ার ফলে ছয় মাসও টেকেনি। পাথর-সুরকি আলগা হয়ে ভাঙা শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খানাখন্দে যানবাহন বিকল হলে যানজট সৃষ্টি হয়। তখন যাত্রীদের ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। সড়কটি আবার আগের মতোই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে। দু-দুবার সড়কটি সংস্কার করা হলো কিন্তু টেকসই হলো না কেন, সে প্রশ্ন এসে যায়।
ঈদ উৎসব সন্নিকটে। তাই সড়কটি এখনই সংস্কার না করলে যানজটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ চলাচলের সুবিধার্থে অবিলম্বে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
সড়কে মান অনুযায়ী বিটুমিন, পাথর, সুরকি, খোয়া ও অন্যান্য উপাদান ব্যবহার না করা হলে সে সড়ক টেকসই হয় না। এক্ষেত্রে মান ঠিক রেখে সংস্কার কাজ করা হয়েছিল কিনা সেটা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যদি অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ক সংস্কারের মাসকয়েক পর খানাখন্দে ভরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তা না। দেশের বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই সড়ক টেকসই হয় না। ঈদে মানুষ ঘরে ফিরবে। তাদের বাড়ি ফেরার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটা আমরাও চাই। আর এবার যাতে সড়কটি টেকসইভাবে সংস্কার করা হয় তার জন্য কর্তৃপক্ষ তদারকিও বাড়াবে, এটা আমরা আশা করব।
মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার যানবাহনগুলো যাত্রী ও পণ্য নিয়ে যাতে সহজে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য বছর কয়েক আগে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ সেই সড়কটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘিœত হচ্ছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ভালুকার ভরাডোবা ক্লাব বাজার অংশে সংস্কার করা হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কার করা সড়কটির বিটুমিন ও খোয়া উঠে গেছে। গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নিরুপায় হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। অনেকে আহতও হচ্ছেন।
গত বছরের আগস্ট মাসে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ করে। খানাখন্দগুলো অনেকটা দায়সারাভাবে ভরাট করে সড়ক খুলে দেয়। কিন্তু নি¤œমানের কাজ ও পর্যাপ্ত বিটুমিন না দেয়ার ফলে ছয় মাসও টেকেনি। পাথর-সুরকি আলগা হয়ে ভাঙা শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। খানাখন্দে যানবাহন বিকল হলে যানজট সৃষ্টি হয়। তখন যাত্রীদের ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। সড়কটি আবার আগের মতোই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে। দু-দুবার সড়কটি সংস্কার করা হলো কিন্তু টেকসই হলো না কেন, সে প্রশ্ন এসে যায়।
ঈদ উৎসব সন্নিকটে। তাই সড়কটি এখনই সংস্কার না করলে যানজটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ চলাচলের সুবিধার্থে অবিলম্বে সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
সড়কে মান অনুযায়ী বিটুমিন, পাথর, সুরকি, খোয়া ও অন্যান্য উপাদান ব্যবহার না করা হলে সে সড়ক টেকসই হয় না। এক্ষেত্রে মান ঠিক রেখে সংস্কার কাজ করা হয়েছিল কিনা সেটা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যদি অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ক সংস্কারের মাসকয়েক পর খানাখন্দে ভরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তা না। দেশের বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই সড়ক টেকসই হয় না। ঈদে মানুষ ঘরে ফিরবে। তাদের বাড়ি ফেরার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটা আমরাও চাই। আর এবার যাতে সড়কটি টেকসইভাবে সংস্কার করা হয় তার জন্য কর্তৃপক্ষ তদারকিও বাড়াবে, এটা আমরা আশা করব।