ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ ক্রসিংয়ে একটি ট্রাকে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন মারা গেছেন। গেটম্যান রেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার না ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে দায়িত্বরত গেটম্যান পলাতক রয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ট্রেনটি রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় গেট ব্যারিয়ার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। ঘটনার সময় গেটম্যান দায়িত্বরত ছিলেন না বলেও জানা গেছে।” এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথে যত দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে তার বড় একটি অংশই হয় রেলক্রসিংয়ে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত ক্রসিংয়ে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে ১৭৫ জন রেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এর মধ্যে রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪৫ জন।
দেশে যে কেবল অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে তা নয়। সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন রেলক্রসিংয়েও দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে যে, এর দায় কার। সংশ্লিষ্ট পরিবহনের ড্রাইভার-হেল্পারের দায় কতটা, আর রেলগেটে দায়িত্বরতদের ভূমিকা কী সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অতীতেও অনেক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে। দেশের অনেক রেলক্রসিংয়ে না আছে কোনো গেইট না আছে কোনো গেইটম্যান। যেসব রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান আছে তাদের কতজন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে সেই প্রশ্ন রয়েছে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জানা যায়, গেটে দায়িত্বরত গেটম্যান ঘুমাচ্ছিলেন বা যথাসময়ে ব্যারিয়ার ফেলেনি, এমনকি ডিউটির সময় তাদের অনেকে অনুপস্থিতও থাকে। তাদের দায়িত্বহীনতার খেসারত গুণতে হয় সাধারণ মানুষকে।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রেলক্রসিংয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে রেল কর্তৃপক্ষ কখনো কোন দায়ভার নেয় না। এটি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীন করে তুলছে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। জননিরাপত্তার বিষয়টিকে এভাবে বছরের পর বছর উপেক্ষা করা চলে কিনা সেটা আমরা জানতে চাই। ফেনীতে রেল দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।
অনেক সময় পরিবহন চালক-হেল্পারদের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক চালকই ক্রসিংয়ের সামনে বসে ট্রেন চলে যাওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না। সংকেত পাওয়ার পরও বা গেটম্যানকে ব্যারিয়ার নামাতে দেখেও অনেকে তড়িঘড়ি করে ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন। রেলক্রসিং অতিক্রমে পরিবহন চালকরা সতর্ক হলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এ বিষয়ে তাদেরকে সচেন করতে হবে।
রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪
ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ ক্রসিংয়ে একটি ট্রাকে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন মারা গেছেন। গেটম্যান রেলক্রসিংয়ের ব্যারিয়ার না ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে দায়িত্বরত গেটম্যান পলাতক রয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ট্রেনটি রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় গেট ব্যারিয়ার দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। ঘটনার সময় গেটম্যান দায়িত্বরত ছিলেন না বলেও জানা গেছে।” এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথে যত দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে তার বড় একটি অংশই হয় রেলক্রসিংয়ে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত ক্রসিংয়ে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে ১৭৫ জন রেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এর মধ্যে রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪৫ জন।
দেশে যে কেবল অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে তা নয়। সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমন রেলক্রসিংয়েও দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে যে, এর দায় কার। সংশ্লিষ্ট পরিবহনের ড্রাইভার-হেল্পারের দায় কতটা, আর রেলগেটে দায়িত্বরতদের ভূমিকা কী সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অতীতেও অনেক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে জনগণের জানমালের ক্ষতি হয়েছে। দেশের অনেক রেলক্রসিংয়ে না আছে কোনো গেইট না আছে কোনো গেইটম্যান। যেসব রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান আছে তাদের কতজন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে সেই প্রশ্ন রয়েছে। কখনো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জানা যায়, গেটে দায়িত্বরত গেটম্যান ঘুমাচ্ছিলেন বা যথাসময়ে ব্যারিয়ার ফেলেনি, এমনকি ডিউটির সময় তাদের অনেকে অনুপস্থিতও থাকে। তাদের দায়িত্বহীনতার খেসারত গুণতে হয় সাধারণ মানুষকে।
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, রেলক্রসিংয়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে রেল কর্তৃপক্ষ কখনো কোন দায়ভার নেয় না। এটি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীন করে তুলছে কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। জননিরাপত্তার বিষয়টিকে এভাবে বছরের পর বছর উপেক্ষা করা চলে কিনা সেটা আমরা জানতে চাই। ফেনীতে রেল দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।
অনেক সময় পরিবহন চালক-হেল্পারদের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক চালকই ক্রসিংয়ের সামনে বসে ট্রেন চলে যাওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান না। সংকেত পাওয়ার পরও বা গেটম্যানকে ব্যারিয়ার নামাতে দেখেও অনেকে তড়িঘড়ি করে ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন। রেলক্রসিং অতিক্রমে পরিবহন চালকরা সতর্ক হলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এ বিষয়ে তাদেরকে সচেন করতে হবে।