alt

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করুন

: শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার পর এক মাসও পার হয়নি। এরই মধ্যে আবারও রক্ত ঝরেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এবার একজন নয়, সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছে ৬ জন।

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইনখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছয়জন রোহিঙ্গা মারা গেছে এবং আহত হয়েছে ১২ জন। ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা নেতারা হামলার জন্য আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ক্যাম্পে আরসার কোন অস্তিত্ব নেই। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের’ চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহকে নিজ কার্যালয়ে বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাত হলেই তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা তো বটেই, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও তখন সেখানে নিরাপদ বোধ করেন না। প্রতিটি সশস্ত্র গোষ্ঠীই ক্যাম্পে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অতীতেও ক্যাম্পগুলোতে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেবল ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্যই এসব হামলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পেছনে কোন কোন গোষ্ঠীর দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। সশস্ত্র কোন কোন গোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় না। সন্ত্রাসী হামলায় ছয় জন মারা যাওয়ার ঘটনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ব্যর্থতার কারণ খুঁজে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দারা আগাম তথ্য দিতে পারছে কিনা বা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা সেটা জানা জরুরি। সরকার বরাবরই ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিরাপত্তা ও নজরদারি যদি জোরদার হয় তাহলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে গাঢাকা দেয় কীভাবে।

ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে যেন আর কোন সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করুন

শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার পর এক মাসও পার হয়নি। এরই মধ্যে আবারও রক্ত ঝরেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এবার একজন নয়, সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেছে ৬ জন।

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইনখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছয়জন রোহিঙ্গা মারা গেছে এবং আহত হয়েছে ১২ জন। ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা নেতারা হামলার জন্য আরাকান স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা) দায়ী করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ক্যাম্পে আরসার কোন অস্তিত্ব নেই। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের’ চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহকে নিজ কার্যালয়ে বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো ঘিরে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাত হলেই তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা তো বটেই, এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও তখন সেখানে নিরাপদ বোধ করেন না। প্রতিটি সশস্ত্র গোষ্ঠীই ক্যাম্পে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অতীতেও ক্যাম্পগুলোতে হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কেবল ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্যই এসব হামলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর পেছনে কোন কোন গোষ্ঠীর দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। সশস্ত্র কোন কোন গোষ্ঠী মায়ানমারে ফিরে যেতে চায় না। সন্ত্রাসী হামলায় ছয় জন মারা যাওয়ার ঘটনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠালে যাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে তারাই ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা ঘটাচ্ছে।

সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না সেটা একটা প্রশ্ন। ক্যাম্পগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ব্যর্থতার কারণ খুঁজে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। হামলা সম্পর্কে গোয়েন্দারা আগাম তথ্য দিতে পারছে কিনা বা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কিনা সেটা জানা জরুরি। সরকার বরাবরই ক্যাম্পে নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করার কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, নিরাপত্তা ও নজরদারি যদি জোরদার হয় তাহলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারে কী করে আর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে গাঢাকা দেয় কীভাবে।

ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে যেন আর কোন সন্ত্রাসী ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top