নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত তাদের নিজ বাড়ি আজ চরম অনিরাপদ। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য এ কথাই নিশ্চিত করে। ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা স্বজনের হাতে খুন হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রমাণ করে, নারী নির্যাতন এবং লৈঙ্গিক সহিংসতা বিশ্বব্যাপী কতটা গভীর এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কতটা উপেক্ষিত।
জাতিসংঘের নারী সংস্থা (ইউএন ওমেন) এবং মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে ৫১ হাজার ১০০ নারী নিহত হয়েছেন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য একটি অশনি সংকেত। এটি শুধু নারীর নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং মানবাধিকার এবং সামগ্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যানটি শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার গভীর সামাজিক শিকড় এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিগত অসাম্যতাকে তুলে ধরে।
নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং সমাজের কিছু মন্দ প্রথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতার একটি বড় কারণ হলো, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোতে নারীর স্থানকে সংকীর্ণ করে রাখা এবং এই অবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে প্রথাগত নিয়ম ও রীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বেশ কিছু কার্যকর প্রস্তাব উঠে এসেছে। এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। সমাজের মূলধারায় লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অপরাধীদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। ক্ষতিকর প্রথা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দেয়া এখন সময়ের দাবি।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত তাদের নিজ বাড়ি আজ চরম অনিরাপদ। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য এ কথাই নিশ্চিত করে। ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বা স্বজনের হাতে খুন হয়েছেন। এই সংখ্যা প্রমাণ করে, নারী নির্যাতন এবং লৈঙ্গিক সহিংসতা বিশ্বব্যাপী কতটা গভীর এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কতটা উপেক্ষিত।
জাতিসংঘের নারী সংস্থা (ইউএন ওমেন) এবং মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে ৫১ হাজার ১০০ নারী নিহত হয়েছেন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য একটি অশনি সংকেত। এটি শুধু নারীর নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং মানবাধিকার এবং সামগ্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যানটি শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার গভীর সামাজিক শিকড় এবং বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিগত অসাম্যতাকে তুলে ধরে।
নারীর প্রতি সহিংসতার মূলে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা এবং সমাজের কিছু মন্দ প্রথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর প্রতি সহিংসতার একটি বড় কারণ হলো, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোতে নারীর স্থানকে সংকীর্ণ করে রাখা এবং এই অবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে প্রথাগত নিয়ম ও রীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে বেশ কিছু কার্যকর প্রস্তাব উঠে এসেছে। এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। সমাজের মূলধারায় লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অপরাধীদের দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সমাজে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। ক্ষতিকর প্রথা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। প্রতিটি নারী যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দেয়া এখন সময়ের দাবি।