উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতি টানার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির নতুন পথচলা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা থাকে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জন্য একটি স্থান অর্জন করা। তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট অর্জনে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হন, আর তাদের পরিচিতি ঘটে ‘ডিপ্রেশন’ নামক এক নতুন শব্দের সঙ্গে।
তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্রও দেখা যায়। পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী বিষণœতায় ভুগেন। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেশেসেরা মেধাবীদের সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে যখন নিজের অতীতের সেরা অবস্থান হারিয়ে ফেলেন, তখন অসংখ্য শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। এছাড়াও রয়েছে আশানুরূপ সিজিপিএ তুলতে না পারা ও পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারার আক্ষেপ। পারিবারিক, সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক দিক সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে। তারা বুঝে উঠতে পারেন না এই মুহূর্তে তাদের করণীয় কী!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলরদের সাহায্য সহজলভ্য করতে হবে। নিয়মিত কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করতে হবে। আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং কর্মশালার আয়োজন করা। আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা যেতে পারে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক চিন্তা করতে এবং ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করতে উৎসাহিত করতে হবে। যেকোনো অবস্থান এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব বলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস করতে শেখাতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামাজিক বন্ধন দৃৃঢ় করা গুরুত্বপূর্ণ।
সুমাইয়া আক্তার
শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইতি টানার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির নতুন পথচলা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা থাকে তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জন্য একটি স্থান অর্জন করা। তবে বিপত্তি ঘটে তখনই, যখন নিজের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট অর্জনে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হন, আর তাদের পরিচিতি ঘটে ‘ডিপ্রেশন’ নামক এক নতুন শব্দের সঙ্গে।
তবে এক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্রও দেখা যায়। পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থী বিষণœতায় ভুগেন। পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেশেসেরা মেধাবীদের সঙ্গে একই শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করে যখন নিজের অতীতের সেরা অবস্থান হারিয়ে ফেলেন, তখন অসংখ্য শিক্ষার্থী হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। এছাড়াও রয়েছে আশানুরূপ সিজিপিএ তুলতে না পারা ও পছন্দের বিষয়ে পড়তে না পারার আক্ষেপ। পারিবারিক, সামাজিক এবং পারিপার্শ্বিক দিক সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটে। তারা বুঝে উঠতে পারেন না এই মুহূর্তে তাদের করণীয় কী!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিলরদের সাহায্য সহজলভ্য করতে হবে। নিয়মিত কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করতে হবে। আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং কর্মশালার আয়োজন করা। আলোচনা সভা ও সেমিনারের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা যেতে পারে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক চিন্তা করতে এবং ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করতে উৎসাহিত করতে হবে। যেকোনো অবস্থান এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব বলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস করতে শেখাতে হবে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামাজিক বন্ধন দৃৃঢ় করা গুরুত্বপূর্ণ।
সুমাইয়া আক্তার
শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ
ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা।