সড়ক বা ফুটপাত দখলকে এক সময় মনে করা হতো শুধু মেগাসিটি ঢাকারই সমস্যা; কিন্তু এ সমস্যা এখন ছোট-বড় শহর-নগরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরশহর বাজারের বিভিন্ন রাস্তা ব্যবসায়ীদের দখলে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদামতো রাস্তার উপর বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সজিয়ে বেচাকেনা করছেন। শুধু তাই নয়, ফল বাজারের দোকান মালিকরা রীতিমতো যার যার দোকানের সামনের রাস্তা ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা যখন-তখন রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে মালামাল খালাস করে। পৌর শহরে মালবাহী ট্রাক বা যনাবাহন ঢোকার নির্দিষ্ট যে সময়সীমা রয়েছে সেটা তারা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। ফলে চরম ভোগন্তির শিকার হচ্ছে শহরের বাসিন্দারা। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যাটজটের। শিক্ষার্থীরা সময়মতো তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের।
সড়ক বা ফুটপাত দখলের এমন চিত্র শুধু টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীরই নয়। দেশের প্রায় সব বিভাগীয় শহরসহ জেলা শহরের একই অবস্থা। বাদ নেই উপজেলা শহরগুলোও। রাজাধানীর পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের অবস্থা আরও খারাপ। ফুটপাত, সড়ক পেরিয়ে মাহাসড়কেও বসছে দোকান। আর এর সবকিছুই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
দখলের অপসংস্কৃতি দেশজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। গোড়াতেই যদি কোন সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে রোগ হু হু করে ছড়াবে সেটাই স্বাভাবিক। রাস্তা, ফুটপাত দখলের অপসংস্কৃতি বিস্তৃত হওয়ার কারণ হচ্ছে এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারপর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
রাস্তা ও ফুটপাতকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। যাদের ওপর এ দখল উচ্ছেদের দায়িত্ব থাকে, তারাই এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান যতই চালানো হয় বাণিজ্যের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে। এটা বন্ধ না করলে রাস্তা বা ফুটপাত দখল স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে না।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
সড়ক বা ফুটপাত দখলকে এক সময় মনে করা হতো শুধু মেগাসিটি ঢাকারই সমস্যা; কিন্তু এ সমস্যা এখন ছোট-বড় শহর-নগরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরশহর বাজারের বিভিন্ন রাস্তা ব্যবসায়ীদের দখলে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদামতো রাস্তার উপর বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সজিয়ে বেচাকেনা করছেন। শুধু তাই নয়, ফল বাজারের দোকান মালিকরা রীতিমতো যার যার দোকানের সামনের রাস্তা ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা যখন-তখন রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে মালামাল খালাস করে। পৌর শহরে মালবাহী ট্রাক বা যনাবাহন ঢোকার নির্দিষ্ট যে সময়সীমা রয়েছে সেটা তারা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। ফলে চরম ভোগন্তির শিকার হচ্ছে শহরের বাসিন্দারা। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যাটজটের। শিক্ষার্থীরা সময়মতো তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী ও তার স্বজনদের।
সড়ক বা ফুটপাত দখলের এমন চিত্র শুধু টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীরই নয়। দেশের প্রায় সব বিভাগীয় শহরসহ জেলা শহরের একই অবস্থা। বাদ নেই উপজেলা শহরগুলোও। রাজাধানীর পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের অবস্থা আরও খারাপ। ফুটপাত, সড়ক পেরিয়ে মাহাসড়কেও বসছে দোকান। আর এর সবকিছুই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
দখলের অপসংস্কৃতি দেশজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। গোড়াতেই যদি কোন সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে রোগ হু হু করে ছড়াবে সেটাই স্বাভাবিক। রাস্তা, ফুটপাত দখলের অপসংস্কৃতি বিস্তৃত হওয়ার কারণ হচ্ছে এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারপর আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
রাস্তা ও ফুটপাতকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। যাদের ওপর এ দখল উচ্ছেদের দায়িত্ব থাকে, তারাই এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান যতই চালানো হয় বাণিজ্যের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে। এটা বন্ধ না করলে রাস্তা বা ফুটপাত দখল স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে না।