সাতক্ষীরা জেলার তালার খেশরা ইউনিয়নের মুড়াগাছা ঢালির চক খালের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধের কারণে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি বিলের কৃষকরা বোরোর আবাদ করতে পারছেন না। কারণ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ রুদ্ধ হওয়ায় এসব বিল জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা বাঁধ অপসারণের কথা বললেও সংশ্লিষ্টরা সেটা শোনেনি। প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েও মেলেনি প্রতিকার। নিরূপায় হয়ে কৃষকরা সেচপাম্প দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন।
পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করে কোনো খালে বাঁধ দেওয়া যায় না; কিন্তু ঢালির চক খাল বন্দোবস্ত নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেখানে বাঁধ দিয়েছে। খেয়াল-খুশিমতো মাছ চাষ করছে। বিল জলাবদ্ধ হয়ে থাকল কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা-ব্যথা নেই। তাদের হঠকারী কাজের জন্য হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। কোনো কারণে বোরো চাষ করতে না পারলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সাতক্ষীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে খালে বাঁধ দেওয়া হয় বলে প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ ধরনের অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। প্রভাবশালীদের অন্যায়-অনিয়ম থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভরসা হচ্ছে প্রশাসন।
প্রশ্ন হচ্ছে, খালে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। সাতক্ষীরায় কৃষকদের বোরো আবাদের পথে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে স্থানীয় প্রশাসন কী করছে- সেটা আমরা জানতে চাইব। প্রতিবেদন থেকে প্রশাসনের যে ভূমিকা জানা যাচ্ছে তা আশাব্যঞ্জক নয়। সেখানে কর্তৃপক্ষ যদি যথেষ্ট তৎপর হতো তাহলে কেউ খালে বাঁধ দেওয়ার সাহস পেত না; মাছ চাষ করা তো পরের কথা।
আমরা বলতে চাই, ঢালির চক খালের বাঁধটি অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। বিলের পানি নির্বিঘ্নে প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকরা যেন বিলের জমিতে যথাসময়ে বোরো আবাদ করতে পারেন, সেটা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। খালে যারা অবৈধভাবে বাঁধ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধ বাঁধ অপসারণের বা কৃষকদের বোরো আবাদের পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সাতক্ষীরা জেলার তালার খেশরা ইউনিয়নের মুড়াগাছা ঢালির চক খালের জমি বন্দোবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাঁধের কারণে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি বিলের কৃষকরা বোরোর আবাদ করতে পারছেন না। কারণ পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ রুদ্ধ হওয়ায় এসব বিল জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা বাঁধ অপসারণের কথা বললেও সংশ্লিষ্টরা সেটা শোনেনি। প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েও মেলেনি প্রতিকার। নিরূপায় হয়ে কৃষকরা সেচপাম্প দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন।
পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করে কোনো খালে বাঁধ দেওয়া যায় না; কিন্তু ঢালির চক খাল বন্দোবস্ত নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সেখানে বাঁধ দিয়েছে। খেয়াল-খুশিমতো মাছ চাষ করছে। বিল জলাবদ্ধ হয়ে থাকল কিনা সেটা নিয়ে তাদের মাথা-ব্যথা নেই। তাদের হঠকারী কাজের জন্য হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়লেও তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। কোনো কারণে বোরো চাষ করতে না পারলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সাতক্ষীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে খালে বাঁধ দেওয়া হয় বলে প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ ধরনের অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। প্রভাবশালীদের অন্যায়-অনিয়ম থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভরসা হচ্ছে প্রশাসন।
প্রশ্ন হচ্ছে, খালে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। সাতক্ষীরায় কৃষকদের বোরো আবাদের পথে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে স্থানীয় প্রশাসন কী করছে- সেটা আমরা জানতে চাইব। প্রতিবেদন থেকে প্রশাসনের যে ভূমিকা জানা যাচ্ছে তা আশাব্যঞ্জক নয়। সেখানে কর্তৃপক্ষ যদি যথেষ্ট তৎপর হতো তাহলে কেউ খালে বাঁধ দেওয়ার সাহস পেত না; মাছ চাষ করা তো পরের কথা।
আমরা বলতে চাই, ঢালির চক খালের বাঁধটি অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। বিলের পানি নির্বিঘ্নে প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকরা যেন বিলের জমিতে যথাসময়ে বোরো আবাদ করতে পারেন, সেটা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। খালে যারা অবৈধভাবে বাঁধ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধ বাঁধ অপসারণের বা কৃষকদের বোরো আবাদের পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।