alt

পাঠকের চিঠি

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়

: বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা।

গত ১৪ বছরে শুধু ঢাকা শহরে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ, সেই সঙ্গে পুড়ে কয়লা হয় বহু প্রাণ। একদিকে যেমন আমাদের অসতর্কতার খেসারত দিতে হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতার বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

অগ্নিকা-ের মতো আমরা আরো একটা মারাত্মক ঝুঁকিতে আছি সেটা হলো ভূমিকম্প। বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই সর্তক করে দিচ্ছে যে বাংলাদেশ একটা ভয়ঙ্করমাত্রার ভূমিকম্পের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে; কিন্তু কে শুনছে কার কথা। যখন কোনো ছোট বা কমমাত্রার ভূমিকম্প হয়, তখন আবার আলোচনা শুরু হয়। দুদিন চলার পর আবার সেটা চাপা পড়ে যায়। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে, আমরা এসব ঘটনা থেকে কোনো কিছু শিক্ষা নিচ্ছি না। শুধু দেখেই যাচ্ছি। বরাবরের মতো এবারো বেইলি রোড়ের এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন নানা আলোচনা-সমালোচনা হবে। নানা কথার ফুলঝুরি আমরা শুনবো। তদন্ত কমিটি হবে, সঙ্গে আসবে নানান প্রতিশ্রুতি। এরপর হয়তো অন্য কোনো অগ্নিকা-ের ঘটনা অপেক্ষা করছে আলোচনার জন্য। কথা হচ্ছে, অগ্নিকা- ঘটার আগে কর্তৃপক্ষ কোথায় থাকে?

অগ্নিকা-ের ভয়াবহতা রুখতে প্রতিটি নাগরিককে অগ্নিকা-ের সময় কি করণীয়, সে বিষয়ে টেনিং দেয়া প্রয়োজন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে এই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোথাও আগুন লাগলে আমাদের করণীয় কি এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং কঠোন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইন মেনে বিল্ডিং নির্মাণের দিকটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বস্তুত দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে একের পর এক ঘটতে থাকা অগ্নিকা- বা বিস্ফোরণ থামানো যাচ্ছে না। কোনো একটি ঘটনা ঘটার পর সাময়িক এবং লোক দেখানো পদক্ষেপ আমরা চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান, স্থায়ী পদক্ষেপ।

মিলন হোসেন

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

tab

পাঠকের চিঠি

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়

বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা।

গত ১৪ বছরে শুধু ঢাকা শহরে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ। প্রতি বছর অগ্নিকাণ্ডে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ, সেই সঙ্গে পুড়ে কয়লা হয় বহু প্রাণ। একদিকে যেমন আমাদের অসতর্কতার খেসারত দিতে হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতার বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

অগ্নিকা-ের মতো আমরা আরো একটা মারাত্মক ঝুঁকিতে আছি সেটা হলো ভূমিকম্প। বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই সর্তক করে দিচ্ছে যে বাংলাদেশ একটা ভয়ঙ্করমাত্রার ভূমিকম্পের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে; কিন্তু কে শুনছে কার কথা। যখন কোনো ছোট বা কমমাত্রার ভূমিকম্প হয়, তখন আবার আলোচনা শুরু হয়। দুদিন চলার পর আবার সেটা চাপা পড়ে যায়। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে, আমরা এসব ঘটনা থেকে কোনো কিছু শিক্ষা নিচ্ছি না। শুধু দেখেই যাচ্ছি। বরাবরের মতো এবারো বেইলি রোড়ের এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দিন নানা আলোচনা-সমালোচনা হবে। নানা কথার ফুলঝুরি আমরা শুনবো। তদন্ত কমিটি হবে, সঙ্গে আসবে নানান প্রতিশ্রুতি। এরপর হয়তো অন্য কোনো অগ্নিকা-ের ঘটনা অপেক্ষা করছে আলোচনার জন্য। কথা হচ্ছে, অগ্নিকা- ঘটার আগে কর্তৃপক্ষ কোথায় থাকে?

অগ্নিকা-ের ভয়াবহতা রুখতে প্রতিটি নাগরিককে অগ্নিকা-ের সময় কি করণীয়, সে বিষয়ে টেনিং দেয়া প্রয়োজন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে এই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোথাও আগুন লাগলে আমাদের করণীয় কি এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং কঠোন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইন মেনে বিল্ডিং নির্মাণের দিকটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। বস্তুত দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে একের পর এক ঘটতে থাকা অগ্নিকা- বা বিস্ফোরণ থামানো যাচ্ছে না। কোনো একটি ঘটনা ঘটার পর সাময়িক এবং লোক দেখানো পদক্ষেপ আমরা চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান, স্থায়ী পদক্ষেপ।

মিলন হোসেন

back to top