একটি রাষ্ট্র উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি বড় ধরনের বাধা তেমনি করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ও বড় ধরনের বাধা। বাংলাদেশ দুর্নীতি দম কমিশন (দুদক) এর মতে, ব্যক্তি স্বার্থ অর্জনের বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারই দুর্নীতি।
জবাবদিহিতার অভাব, ইচ্ছামাফিক ক্ষমতার ব্যবহার, স্বচ্ছতার অভাব, ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের প্রভাব, স্বল্প বেতন, জনগণের স্বার্থজড়িত কাজ ও প্রকল্প বিষয়ে জনগণকে জড়িত এবং অবহিত করা হয় না, বাক স্বাধীনতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অভাব, সরকারি কর্মকান্ডের পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সুশীল সমাজ ও গবেষণাধর্মী সংস্থার অভাব, আইনের শাসনের অভাব, দুর্নীতির তথ্যদাতার নিরাপত্তার অভাব, সামরিক ও বেসামরিক স্বৈরশাসন, দেশপ্রেম, মানবিক ও নৈতিক মূল্যববোধের অভাব ও অবক্ষয় ইত্যাদি।
বাংলাদেশের দুর্নীতির কারণে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে দূরত্ব ও বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, এক শ্রেণীর লোকেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে আর অপর পক্ষে দুর্ভলরা আরো বেশি গরীব হয়ে যায়। যোগ্য ব্যক্তিরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি যুক্ত জায়গায় প্রাপ্য কাজ হয় না। বাংলাদেশ এ এইরকম দুর্নীতি চলতে থাকলে দেশটা ব্যর্থ দেশ এ পরিণত হবে। অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে পড়বে সব ক্ষেত্রে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে ইত্যাদি। দুর্নীতি সমাজ দেহে ক্যান্সার সমতুল্য সামাজিক ব্যাধি। একে সমূলে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
একে দম বা প্রতিহত করা জন্য কিছু উপায় রয়েছে তা হলো আইনের স্বাধীনতা থাকতে হবে, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে, গণমাধ্যম এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, কর্মচারিদের তাদের প্রাপ্য বেতন বা যুক্তিযুক্ত বেতন প্রদান করতে হবে, বিচার বিভাগ এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, কর্মচারিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, দায়িত্বশীল ও কর্তব্য পালনকারি ব্যক্তিদের পুরষ্কৃত করে উৎসাহ প্রদান করতে হবে ইত্যাদি কাজ এর মাধ্যমে দুর্নীতি সামান্যতম প্রতিরোধ করা যায়।
দুর্নীতি রোধ এ সরকার এর চেয়ে প্রতিটি নাগরিক এর সাহায্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুর্নীতি রোধ এ নিজ স্থান থেকে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
মোহাম্মদ ছরোয়ার
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
একটি রাষ্ট্র উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি একটি বড় ধরনের বাধা তেমনি করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ও বড় ধরনের বাধা। বাংলাদেশ দুর্নীতি দম কমিশন (দুদক) এর মতে, ব্যক্তি স্বার্থ অর্জনের বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারই দুর্নীতি।
জবাবদিহিতার অভাব, ইচ্ছামাফিক ক্ষমতার ব্যবহার, স্বচ্ছতার অভাব, ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের প্রভাব, স্বল্প বেতন, জনগণের স্বার্থজড়িত কাজ ও প্রকল্প বিষয়ে জনগণকে জড়িত এবং অবহিত করা হয় না, বাক স্বাধীনতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অভাব, সরকারি কর্মকান্ডের পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য সুশীল সমাজ ও গবেষণাধর্মী সংস্থার অভাব, আইনের শাসনের অভাব, দুর্নীতির তথ্যদাতার নিরাপত্তার অভাব, সামরিক ও বেসামরিক স্বৈরশাসন, দেশপ্রেম, মানবিক ও নৈতিক মূল্যববোধের অভাব ও অবক্ষয় ইত্যাদি।
বাংলাদেশের দুর্নীতির কারণে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে দূরত্ব ও বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, এক শ্রেণীর লোকেরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে আর অপর পক্ষে দুর্ভলরা আরো বেশি গরীব হয়ে যায়। যোগ্য ব্যক্তিরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি যুক্ত জায়গায় প্রাপ্য কাজ হয় না। বাংলাদেশ এ এইরকম দুর্নীতি চলতে থাকলে দেশটা ব্যর্থ দেশ এ পরিণত হবে। অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে পড়বে সব ক্ষেত্রে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, উন্নয়ন এর ক্ষেত্রে ইত্যাদি। দুর্নীতি সমাজ দেহে ক্যান্সার সমতুল্য সামাজিক ব্যাধি। একে সমূলে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
একে দম বা প্রতিহত করা জন্য কিছু উপায় রয়েছে তা হলো আইনের স্বাধীনতা থাকতে হবে, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে, গণমাধ্যম এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, কর্মচারিদের তাদের প্রাপ্য বেতন বা যুক্তিযুক্ত বেতন প্রদান করতে হবে, বিচার বিভাগ এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, কর্মচারিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, দায়িত্বশীল ও কর্তব্য পালনকারি ব্যক্তিদের পুরষ্কৃত করে উৎসাহ প্রদান করতে হবে ইত্যাদি কাজ এর মাধ্যমে দুর্নীতি সামান্যতম প্রতিরোধ করা যায়।
দুর্নীতি রোধ এ সরকার এর চেয়ে প্রতিটি নাগরিক এর সাহায্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুর্নীতি রোধ এ নিজ স্থান থেকে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
মোহাম্মদ ছরোয়ার