alt

পাঠকের চিঠি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

: বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর আওতায় প্যারাবন বা ম্যানগ্রোভ বন গড়ে তোলা হয়। জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত কারণে উপকূলে বিপদ বাড়ছে। দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে উপকূল। এ হুমকি উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই বরং মোকাবিলা করতে হবে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও তারতম্যের কারণে দেশে পাহাড়ি বন প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন, সৃজিত উপকূলীয় বন, শালবন, জলাভূমির বন রয়েছে। দেশের জলবায়ূ, উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এসব বনের গুরুত্ব অস্বীকার্য। এগুলোর মধ্যে সৃজিত উপকূলীয় বন ও প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর বেষ্টনী হিসাবে কাজ করছে, জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

উপকূলীয় এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, টর্ণেডো সহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এর ফলে ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনে সৃজিত উপকূলীয় প্যারাবন। যেখানে নতুন নতুন বন সৃজন করার কথা, সম্প্রসারিত করার কথা- সেখানে তা ধ্বংস করা হচ্ছে, সংকুচিত করা হচ্ছে।

বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্যে প্যারাবন নিধন করা হলে ও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বন সংরক্ষণে দেশে কঠোর আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না। উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

tab

পাঠকের চিঠি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীর আওতায় প্যারাবন বা ম্যানগ্রোভ বন গড়ে তোলা হয়। জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত কারণে উপকূলে বিপদ বাড়ছে। দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে উপকূল। এ হুমকি উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই বরং মোকাবিলা করতে হবে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও তারতম্যের কারণে দেশে পাহাড়ি বন প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন, সৃজিত উপকূলীয় বন, শালবন, জলাভূমির বন রয়েছে। দেশের জলবায়ূ, উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এসব বনের গুরুত্ব অস্বীকার্য। এগুলোর মধ্যে সৃজিত উপকূলীয় বন ও প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর বেষ্টনী হিসাবে কাজ করছে, জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

উপকূলীয় এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, টর্ণেডো সহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এর ফলে ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনে সৃজিত উপকূলীয় প্যারাবন। যেখানে নতুন নতুন বন সৃজন করার কথা, সম্প্রসারিত করার কথা- সেখানে তা ধ্বংস করা হচ্ছে, সংকুচিত করা হচ্ছে।

বন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্যে প্যারাবন নিধন করা হলে ও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বন সংরক্ষণে দেশে কঠোর আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, প্রায় ক্ষেত্রেই আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না। উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ

back to top