খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় আত্মহত্যা নিয়ে বড় বড় শিরোনাম। জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার শিরোনাম পত্রিকার পাতা থেকে সরছেই না। যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী আত্মহত্যার প্রবনতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম; যা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা বিষয়। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এভাবে একেকটা ফুলের কলি পরিপূর্ণভাবে ফুটে তার সুবাস ছড়ানোর আগেই ঝড়ে যাচ্ছে; যা একটা দেশের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।
সুন্দর স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে নিজেকে নিজের হাতে হত্যা করে মৃত্যু দেওয়াই আত্মহত্যা। জীবন দুঃখ, কষ্ট, সমস্যা ও বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হবেই, মানসিক চাপ থাকবেই তাই বলে তার জন্য আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একটা জীবনে বাবা মা, ভাইবোন সকলের অবদান থাকে। একজন মা দশ মাস গর্ভধারণ করে নিজের সাথে লড়াই করে সন্তানকে পৃথিবীতে আনেন, তার সন্তান পৃথিবীর সাথে লড়াই না করে হেরে যাওয়ার জন্য নয়।
মনে রাখতে হবে দুঃখের পরেই সুখ-যন্ত্রণার পরেই স্বস্তি মিলে, রাতের পরেই দিন আসে। তাই ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। ধৈর্য ধারণ করতে হবে, নিজেকে অসম্ভব ভালোবাসতে হবে। ধর্মকে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে আঁকড়ে ধরতে হবে, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলে সঠিক পথের সন্ধান পাবে। আত্মহত্যা নামক মানসিক ব্যাধি থেকে প্রতিকার যাওয়া যাবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস, সাহস, মনোবল রাখতে হবে। হেরে গেলে চলবে না।
আত্মহত্যা দুর্বল চরিত্রে বাহক। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, ‘আত্মহত্যা জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।’
নাদিয়া সুলতানা
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় আত্মহত্যা নিয়ে বড় বড় শিরোনাম। জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার শিরোনাম পত্রিকার পাতা থেকে সরছেই না। যেন পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী আত্মহত্যার প্রবনতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম; যা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা বিষয়। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এভাবে একেকটা ফুলের কলি পরিপূর্ণভাবে ফুটে তার সুবাস ছড়ানোর আগেই ঝড়ে যাচ্ছে; যা একটা দেশের জন্য অভিশাপ স্বরূপ।
সুন্দর স্বাভাবিক মৃত্যুকে উপেক্ষা করে নিজেকে নিজের হাতে হত্যা করে মৃত্যু দেওয়াই আত্মহত্যা। জীবন দুঃখ, কষ্ট, সমস্যা ও বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হবেই, মানসিক চাপ থাকবেই তাই বলে তার জন্য আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। একটা জীবনে বাবা মা, ভাইবোন সকলের অবদান থাকে। একজন মা দশ মাস গর্ভধারণ করে নিজের সাথে লড়াই করে সন্তানকে পৃথিবীতে আনেন, তার সন্তান পৃথিবীর সাথে লড়াই না করে হেরে যাওয়ার জন্য নয়।
মনে রাখতে হবে দুঃখের পরেই সুখ-যন্ত্রণার পরেই স্বস্তি মিলে, রাতের পরেই দিন আসে। তাই ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। ধৈর্য ধারণ করতে হবে, নিজেকে অসম্ভব ভালোবাসতে হবে। ধর্মকে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে আঁকড়ে ধরতে হবে, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলে সঠিক পথের সন্ধান পাবে। আত্মহত্যা নামক মানসিক ব্যাধি থেকে প্রতিকার যাওয়া যাবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস, সাহস, মনোবল রাখতে হবে। হেরে গেলে চলবে না।
আত্মহত্যা দুর্বল চরিত্রে বাহক। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, ‘আত্মহত্যা জীবনের সবচেয়ে বড় কাপুরুষতার পরিচয়।’
নাদিয়া সুলতানা