ঈদ উপলক্ষে কর্মজীবী মানুষ চান পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্তে কিছু সময় কাটাতে। এজন্য কেউ লঞ্চে, কেউ বাসে আবার কেউবা ট্রেনে যাত্রা করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ঈদ এলেই বেসরকারি সব পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে যায় কয়েকগুণ।
ট্রেনসহ বেশির ভাগ গণপরিবহনের টিকিট এখন অনলাইনে কাটা যায়, তাই টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনের বিষয়টি না থাকলেও টিকিটের অপ্রতুলতা রয়েছে; যা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এই সুযোগে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার লাইসেন্সবিহীন গাড়ি। যেগুলোর চালক থাকেন পুরোপুরি অদক্ষ এবং অধিকাংশ লাইসেন্সবিহীন।
বাস কোম্পানিগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দ্রুততার সঙ্গে যাত্রী আনা-নেয়া করা। এক কোম্পানি আরেক কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রধান সড়কগুলোয় প্রতিনিয়ত চালিয়ে থাকে। যার ফলে রাস্তায় হুটহাট করেই মানবসৃষ্ট এ কৃত্রিম দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ঈদ এলেই যেন সড়ক সংস্কারের হিড়িক পড়ে যায়। সড়কে সংস্কার ও নির্মাণকাজের জন্য যানবাহনের গতি কমে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
ঈদের সময় নানা কারণে সড়ক আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিধায় যাত্রীর নিরাপত্তায় এ সময়ে প্রশাসনের বিশেষ তৎপরতা কাম্য। ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রতিবছরই ওঠে। কেউ যাতে যাত্রীর চাপ, পরিবহন সংকটের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে জন্য আগাম সতর্কতা প্রত্যাশিত।
তাছাড়া যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা দরকার। ঈদে যাতে সবাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে যেতে পারে, সে জন্য দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বস্তুত সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থাপনা, সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বাড়তি আয়োজন গ্রহণের মাধ্যমে উৎসবকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।
আব্দুর রহিম
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
ঈদ উপলক্ষে কর্মজীবী মানুষ চান পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্তে কিছু সময় কাটাতে। এজন্য কেউ লঞ্চে, কেউ বাসে আবার কেউবা ট্রেনে যাত্রা করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো ঈদ এলেই বেসরকারি সব পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে যায় কয়েকগুণ।
ট্রেনসহ বেশির ভাগ গণপরিবহনের টিকিট এখন অনলাইনে কাটা যায়, তাই টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনের বিষয়টি না থাকলেও টিকিটের অপ্রতুলতা রয়েছে; যা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রার অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এই সুযোগে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার লাইসেন্সবিহীন গাড়ি। যেগুলোর চালক থাকেন পুরোপুরি অদক্ষ এবং অধিকাংশ লাইসেন্সবিহীন।
বাস কোম্পানিগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে দ্রুততার সঙ্গে যাত্রী আনা-নেয়া করা। এক কোম্পানি আরেক কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রধান সড়কগুলোয় প্রতিনিয়ত চালিয়ে থাকে। যার ফলে রাস্তায় হুটহাট করেই মানবসৃষ্ট এ কৃত্রিম দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ঈদ এলেই যেন সড়ক সংস্কারের হিড়িক পড়ে যায়। সড়কে সংস্কার ও নির্মাণকাজের জন্য যানবাহনের গতি কমে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
ঈদের সময় নানা কারণে সড়ক আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিধায় যাত্রীর নিরাপত্তায় এ সময়ে প্রশাসনের বিশেষ তৎপরতা কাম্য। ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ প্রতিবছরই ওঠে। কেউ যাতে যাত্রীর চাপ, পরিবহন সংকটের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে জন্য আগাম সতর্কতা প্রত্যাশিত।
তাছাড়া যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা দরকার। ঈদে যাতে সবাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে যেতে পারে, সে জন্য দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বস্তুত সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থাপনা, সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বাড়তি আয়োজন গ্রহণের মাধ্যমে উৎসবকে আনন্দময় করে তুলতে হবে।
আব্দুর রহিম