‘মশা মারতে কামান দাগা’Ñএই বাগধারা ব্যবহার করা হয় তুচ্ছার্থেÑ অর্থাৎ মশা অতি সামান্য প্রাণী হলেও এত হাঁকডাকের কি আছে! কিন্তু সেই মশাই হয়ে উঠেছে অতি ভয়ঙ্কর। মশার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
নগরীর মানুষের যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মশাÑ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসাবাড়িতে কয়েল জ্বালিয়ে মশা মারা বা তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিধনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। এডিস মশা নিধনে সরকার সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়; কিন্তু কোটি কোটি টাকার বাজেটে এডিস মশা নিধন করা সম্ভবপর হচ্ছে না। যার প্রধান কারণ হলো- কার্যকরী ও দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা। মশা ও এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জনসাধারণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, শুধু ডেঙ্গুতেই গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গেছে। এ বছর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। তাই কর্তৃপক্ষের শুরু থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকাটা জরুরি এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মশা বিস্তারের বেশকিছু কারণ হলো ময়লা আবর্জনা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা। নালা-নর্দমা, খালে ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে এই নালায় ময়লা জমে মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাবার হোটেল ও রেস্তোরার পাশে উচ্ছিষ্ট খাবার খোলা জায়গায় পেলে রাখার কারণে মশা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ডাস্টবিন ব্যবহার তেমন করেনা, যার ফলে মশা আরো বেশি হচ্ছে। বাসা বাড়িতে ফুলের টব, অপরিষ্কার পরিচর্যাহীন ঝোপঝাড় ও বিভিন্ন গর্তে জমা থাকা পানিতে মশা বিস্তারের অন্যতম কারণ। মশা নিধনের জন্য চোখে পড়ার মতো কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন কোটি টাকা খরচ করেও মশার উপদ্র্রব কমাতে পারছে না।
মশা ও এডিস মশা নিধনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের মশার কার্যকরী স্প্রে মারা জরুরি। এছাড়া বাসা বাড়িতে ঝোপঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টবের পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। নালা-নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে।
রায়হান উদ্দিন
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
‘মশা মারতে কামান দাগা’Ñএই বাগধারা ব্যবহার করা হয় তুচ্ছার্থেÑ অর্থাৎ মশা অতি সামান্য প্রাণী হলেও এত হাঁকডাকের কি আছে! কিন্তু সেই মশাই হয়ে উঠেছে অতি ভয়ঙ্কর। মশার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
নগরীর মানুষের যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মশাÑ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসাবাড়িতে কয়েল জ্বালিয়ে মশা মারা বা তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিধনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। এডিস মশা নিধনে সরকার সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়; কিন্তু কোটি কোটি টাকার বাজেটে এডিস মশা নিধন করা সম্ভবপর হচ্ছে না। যার প্রধান কারণ হলো- কার্যকরী ও দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ না করা। মশা ও এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জনসাধারণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, শুধু ডেঙ্গুতেই গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গেছে। এ বছর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। তাই কর্তৃপক্ষের শুরু থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকাটা জরুরি এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মশা বিস্তারের বেশকিছু কারণ হলো ময়লা আবর্জনা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা। নালা-নর্দমা, খালে ময়লা পরিষ্কার না করার কারণে এই নালায় ময়লা জমে মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাবার হোটেল ও রেস্তোরার পাশে উচ্ছিষ্ট খাবার খোলা জায়গায় পেলে রাখার কারণে মশা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ডাস্টবিন ব্যবহার তেমন করেনা, যার ফলে মশা আরো বেশি হচ্ছে। বাসা বাড়িতে ফুলের টব, অপরিষ্কার পরিচর্যাহীন ঝোপঝাড় ও বিভিন্ন গর্তে জমা থাকা পানিতে মশা বিস্তারের অন্যতম কারণ। মশা নিধনের জন্য চোখে পড়ার মতো কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন কোটি টাকা খরচ করেও মশার উপদ্র্রব কমাতে পারছে না।
মশা ও এডিস মশা নিধনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের মশার কার্যকরী স্প্রে মারা জরুরি। এছাড়া বাসা বাড়িতে ঝোপঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টবের পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। নালা-নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে।
রায়হান উদ্দিন