চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগী আসে সুস্থ হওয়ার জন্য। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে আর অনেকেই না-ফেরার দেশে চলে যায়। এখানে আগত রোগীরা রোগের ওপর নির্ভর করে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা, রাতের পর রাত, দিনের পর দিন এবং মাসের পর মাস কাটাতে হয় এই মেডিকেলে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেডিকেলে রোগীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আনসার বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, নৈশ প্রহরী এবং মেডিকেলের বিভিন্ন টিম। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও রোগীরা বা রোগীর সঙ্গে থাকা রোগীর আত্মীয় বা সঙ্গীরা নিরাপদে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না রাতে। কারণ মেডিকেলে অনেক দিন থাকতে হয়। এ কারণে রোগীরা তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমনÑ মোবাইল, চার্জার, টাকা-পয়সা, মানিব্যাগ, রোগীর বিভিন্ন রিপোর্টপত্র, কাপড়চোপড় ইত্যাদি নিয়ে আসে। কিন্তু রাতে ঘুমাতে পারে না রোগীরা চোরের ভয়ে।
মধ্যরাতের পর পাগল সেজে, বাকপ্রতিবন্ধী সেজে, মেডিকেলের লোক ইত্যাদি সেজে তারা রোগীর জিনিসপত্র চুরি করে। রোগী এত অনিশ্চিত যে যেইখানে এত সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও মেডিকেলের ভিতরে নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেইখানে বাইরে নিরাপত্তার কথা ভাবা বিলাসিতা।
রোগী এবং সাধারণ মানুষের একটা বড় ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তা হলোÑ যেখানে এত ধরনের নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে সেখানে চোররা চুরি করে কীভাবে? এতে কি নিরাপত্তা কর্মীর হাত আছে? প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আবেদনÑ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য নিরাপত্তা চাই।
মোহাম্মদ ছরোয়ার
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগী আসে সুস্থ হওয়ার জন্য। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে আর অনেকেই না-ফেরার দেশে চলে যায়। এখানে আগত রোগীরা রোগের ওপর নির্ভর করে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা, রাতের পর রাত, দিনের পর দিন এবং মাসের পর মাস কাটাতে হয় এই মেডিকেলে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেডিকেলে রোগীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে আনসার বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, নৈশ প্রহরী এবং মেডিকেলের বিভিন্ন টিম। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও রোগীরা বা রোগীর সঙ্গে থাকা রোগীর আত্মীয় বা সঙ্গীরা নিরাপদে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না রাতে। কারণ মেডিকেলে অনেক দিন থাকতে হয়। এ কারণে রোগীরা তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমনÑ মোবাইল, চার্জার, টাকা-পয়সা, মানিব্যাগ, রোগীর বিভিন্ন রিপোর্টপত্র, কাপড়চোপড় ইত্যাদি নিয়ে আসে। কিন্তু রাতে ঘুমাতে পারে না রোগীরা চোরের ভয়ে।
মধ্যরাতের পর পাগল সেজে, বাকপ্রতিবন্ধী সেজে, মেডিকেলের লোক ইত্যাদি সেজে তারা রোগীর জিনিসপত্র চুরি করে। রোগী এত অনিশ্চিত যে যেইখানে এত সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও মেডিকেলের ভিতরে নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেইখানে বাইরে নিরাপত্তার কথা ভাবা বিলাসিতা।
রোগী এবং সাধারণ মানুষের একটা বড় ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তা হলোÑ যেখানে এত ধরনের নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে সেখানে চোররা চুরি করে কীভাবে? এতে কি নিরাপত্তা কর্মীর হাত আছে? প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আবেদনÑ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের জন্য নিরাপত্তা চাই।
মোহাম্মদ ছরোয়ার