alt

পাঠকের চিঠি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানী ঢাকার মতো জনবহুল শহরেও অগ্নিদুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনো আমাদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অথচ এই ভয়াবহ ঘটনার মাস না পেরোতেই ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগজনক।

অগ্নিকা-ের সময় করণীয় কি, কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারের কৌশল, দাহ্য পদার্থ কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ও নিকটস্থ ফায়ারসার্ভিস হেল্পলাইনে যোগাযোগের উপায় অনেকে জানে না। ফলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পায়। তাই অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং এর ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাসে জনসাধারণের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এই জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নাটক, বিশেষ কর্মশালা, বিজ্ঞাপন প্রভৃতি প্রচার করা যেতে পারে। যেমন: আগুন নেভানোর প্রধান পদ্ধতিসমূহ তথা স্টার্ভেশন, স্মোদারিং, কুলিং; কিভাবে অগ্নিকা-ের সূচনা ঘটতে পারে, বৈদ্যুতিক সুইচ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম, দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের নিয়মাবলী, অগ্নিকান্ডে নিজেকে রক্ষায় করণীয়, রান্নাঘরে নিরাপত্তা রক্ষার পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রাম তৈরি করা যেতে পারে। এগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষরা অগ্নিদুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সচেতন হবে।

আমাদের দেশে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানে উৎসুক জনতার ভিড় তৈরি হয়। অনেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে ছবি বা ভিডিও ধারণে ব্যস্ত থাকে। এতে ট্রাফিক জ্যামসহ ফায়ার সার্ভিসের কাজে বিঘ্ন ঘটে যা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। অনেক সময় উৎসুক জনতা নিজেও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই জনগণকে অগ্নিকান্ডের কারণ ও ঝুঁকি জানানোর পাশাপাশি নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে ও জানাতে হবে।

অগ্নিদুর্ঘটনার সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ম্যাপ তৈরি করে এর সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এতে মানুষ ঐসকল এলাকা ও স্থাপনা ভ্রমণে সতর্ক থাকতে পারবে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানে জরুরি এলার্ট জারি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানের তথ্য মিডিয়ার সাহায্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করে ঐ স্থানের পার্শ্ববর্তী এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা সম্ভব। এতে ইমার্জেন্সি সিগন্যালের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আমাদের সবার সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতাই অগ্নিকা-ের ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই দ্রুত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য। সুতরাং যত শীঘ্র সম্ভব সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিৎ, যাতে অগ্নিকা-ের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুলাংশে হ্রাস পায়।

নূর-এ-জান্নাত নিপা

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

tab

পাঠকের চিঠি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানী ঢাকার মতো জনবহুল শহরেও অগ্নিদুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনো আমাদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অথচ এই ভয়াবহ ঘটনার মাস না পেরোতেই ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগজনক।

অগ্নিকা-ের সময় করণীয় কি, কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারের কৌশল, দাহ্য পদার্থ কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ও নিকটস্থ ফায়ারসার্ভিস হেল্পলাইনে যোগাযোগের উপায় অনেকে জানে না। ফলে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পায়। তাই অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং এর ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাসে জনসাধারণের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এই জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নাটক, বিশেষ কর্মশালা, বিজ্ঞাপন প্রভৃতি প্রচার করা যেতে পারে। যেমন: আগুন নেভানোর প্রধান পদ্ধতিসমূহ তথা স্টার্ভেশন, স্মোদারিং, কুলিং; কিভাবে অগ্নিকা-ের সূচনা ঘটতে পারে, বৈদ্যুতিক সুইচ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম, দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের নিয়মাবলী, অগ্নিকান্ডে নিজেকে রক্ষায় করণীয়, রান্নাঘরে নিরাপত্তা রক্ষার পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রাম তৈরি করা যেতে পারে। এগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষরা অগ্নিদুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সচেতন হবে।

আমাদের দেশে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানে উৎসুক জনতার ভিড় তৈরি হয়। অনেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে ছবি বা ভিডিও ধারণে ব্যস্ত থাকে। এতে ট্রাফিক জ্যামসহ ফায়ার সার্ভিসের কাজে বিঘ্ন ঘটে যা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। অনেক সময় উৎসুক জনতা নিজেও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই জনগণকে অগ্নিকান্ডের কারণ ও ঝুঁকি জানানোর পাশাপাশি নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে ও জানাতে হবে।

অগ্নিদুর্ঘটনার সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ম্যাপ তৈরি করে এর সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এতে মানুষ ঐসকল এলাকা ও স্থাপনা ভ্রমণে সতর্ক থাকতে পারবে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানে জরুরি এলার্ট জারি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনা কবলিত স্থানের তথ্য মিডিয়ার সাহায্যে তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করে ঐ স্থানের পার্শ্ববর্তী এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা সম্ভব। এতে ইমার্জেন্সি সিগন্যালের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

আমাদের সবার সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতাই অগ্নিকা-ের ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। তাই দ্রুত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য। সুতরাং যত শীঘ্র সম্ভব সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অগ্নিদুর্ঘটনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিৎ, যাতে অগ্নিকা-ের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুলাংশে হ্রাস পায়।

নূর-এ-জান্নাত নিপা

back to top