alt

পাঠকের চিঠি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

: বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

শিক্ষার্থী নির্যাতন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এই ভয়াবহ রূপ সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের পরিমাণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংস্কৃতির চর্চার চেয়ে বিকৃত চর্চার পরিমাণই বেশি আর এই বিকৃত চর্চার নিদর্শন হলো শিক্ষার্থী নির্যাতন। নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নীরবে ক্যাম্পাসে চলে যায়! অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে! এমনকি আত্মহত্যার মতো অনিবার্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আর এসব অভিযোগের তীর বরাবরই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এবং কিছু হিংসাত্মক শিক্ষকের দিকে যায়।

২০২১ সালে প্লান্ট ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ‘চ্যালেঞ্জিং ফেয়ার অব ভায়োলেন্স’ প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী সিনিয়র সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে শারীরিক মানসিক নির্যাতন, হয়রানি, ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপের শিকার হচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির নীতিমালা রয়েছে এবং সেখানে উল্লেখ করা আছে যে একজন অপরাধী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা এমনকি আইনের হাতে তুলে দেয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রয়েছে; কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলেও সাময়িক পরিষ্কার ছাড়া বড় ধরনের শাস্তি দেয়া হয় না, ফলে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা এবং অপরাধের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তাই এই নির্যাতন নিপীড়ন নির্মূল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগ ও সামাজিক নৈতিক শিক্ষার উপর দেয়া উচিত।

ইয়ামিন আলী

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

জাতীয় দিবস

tab

পাঠকের চিঠি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

শিক্ষার্থী নির্যাতন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এই ভয়াবহ রূপ সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের পরিমাণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংস্কৃতির চর্চার চেয়ে বিকৃত চর্চার পরিমাণই বেশি আর এই বিকৃত চর্চার নিদর্শন হলো শিক্ষার্থী নির্যাতন। নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নীরবে ক্যাম্পাসে চলে যায়! অনেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে! এমনকি আত্মহত্যার মতো অনিবার্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আর এসব অভিযোগের তীর বরাবরই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এবং কিছু হিংসাত্মক শিক্ষকের দিকে যায়।

২০২১ সালে প্লান্ট ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ‘চ্যালেঞ্জিং ফেয়ার অব ভায়োলেন্স’ প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী সিনিয়র সহপাঠী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে শারীরিক মানসিক নির্যাতন, হয়রানি, ব্যঙ্গ-বিদ্রƒপের শিকার হচ্ছেন।

বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির নীতিমালা রয়েছে এবং সেখানে উল্লেখ করা আছে যে একজন অপরাধী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা এমনকি আইনের হাতে তুলে দেয়ার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রয়েছে; কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলেও সাময়িক পরিষ্কার ছাড়া বড় ধরনের শাস্তি দেয়া হয় না, ফলে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা এবং অপরাধের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তাই এই নির্যাতন নিপীড়ন নির্মূল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগ ও সামাজিক নৈতিক শিক্ষার উপর দেয়া উচিত।

ইয়ামিন আলী

back to top