চাকরি নেই। ইন্টারভিউর পর ইন্টারভিউ দিয়ে কপালে জুটছে না একটা চাকরি। তাই সর্বত্রই তরুণ প্রজন্ম এমন অবসাদে ভুগছে, যা ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর শামিল। তাছাড়া আরও তো কারণ আছে, সময় মতো বিয়েশাদি করতে পারছে না একটা চাকরির অভাবে। দেশের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ শিক্ষিত বেকার তরুণ প্রজন্ম। চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় তারা হতাশা বা মানসিক অবসাদে ভোগায় সামগ্রিকভাবে তা দেশের ভালো থাকা বা সুখের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
যারা চাকরি পাচ্ছে আর যারা চাকরি পাচ্ছে নাÑ এজন্য পাওয়া আর না পাওয়াদের মধ্যে মেলবন্ধন ও বিশ্বাসের দেওয়ালে ফাটল ধরাচ্ছে। তপ্ত ঘৃণার তরলে পুড়ছে দেশ, পুড়ছে প্রীতি, ন্যায় ও নীতি।
একদিকে বেকারত্ব যে জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দারিদ্র্য-অভাব, অন্যদিকে হিংসা-হাহাকার দেশবাসীকে করেছে চরম অসুখী। বেকারত্বের কারণে আজ বিপন্ন সামাজিক সম্প্রীতি। শ্বাসরুদ্ধকর, দম বন্ধ করা পরিবেশ চারিদিকে। তরুণ প্রজন্মকে বেকার রেখে হিংসা ও ভয় মুক্ত সমাজ গড়তে পারলে কি করে সুখী হবে দেশ?
মানুষে মানুষে মেলবন্ধন, সহমর্মিতা ও প্রীতির প্রয়োজন। আর এজন্য প্রতিটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া খুবই জরুরি। এ দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপরই বর্তায়।
এক কথায় বাস্তবমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে দারিদ্র্য, দুর্নীতি, বেকারত্ব দূর করে সকল নাগরিকের জীবনের মানোন্নয়নে শাসককে দৃষ্টি দিতে হবে। চায় সার্বিক সচেতনতা। নিজস্ব বৌধ-বুদ্ধি, ইতিবাচক মানসিকতা দিয়ে যদি অন্তরের অন্ধকার দূর করে খুলে দিতে পারে সরকার তাহলে সর্ব শ্রেণির নাগরিক সমাজ খুশির দরজায় পৌঁছে যাবে।
তবেই তো সুখী পৃথিবীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। এজন্য রাষ্ট্রের প্রথম কাজ বেকারত্ব দূর করাÑ এটাই জরুরি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪
চাকরি নেই। ইন্টারভিউর পর ইন্টারভিউ দিয়ে কপালে জুটছে না একটা চাকরি। তাই সর্বত্রই তরুণ প্রজন্ম এমন অবসাদে ভুগছে, যা ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’-এর শামিল। তাছাড়া আরও তো কারণ আছে, সময় মতো বিয়েশাদি করতে পারছে না একটা চাকরির অভাবে। দেশের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ শিক্ষিত বেকার তরুণ প্রজন্ম। চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণায় তারা হতাশা বা মানসিক অবসাদে ভোগায় সামগ্রিকভাবে তা দেশের ভালো থাকা বা সুখের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
যারা চাকরি পাচ্ছে আর যারা চাকরি পাচ্ছে নাÑ এজন্য পাওয়া আর না পাওয়াদের মধ্যে মেলবন্ধন ও বিশ্বাসের দেওয়ালে ফাটল ধরাচ্ছে। তপ্ত ঘৃণার তরলে পুড়ছে দেশ, পুড়ছে প্রীতি, ন্যায় ও নীতি।
একদিকে বেকারত্ব যে জন্য তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দারিদ্র্য-অভাব, অন্যদিকে হিংসা-হাহাকার দেশবাসীকে করেছে চরম অসুখী। বেকারত্বের কারণে আজ বিপন্ন সামাজিক সম্প্রীতি। শ্বাসরুদ্ধকর, দম বন্ধ করা পরিবেশ চারিদিকে। তরুণ প্রজন্মকে বেকার রেখে হিংসা ও ভয় মুক্ত সমাজ গড়তে পারলে কি করে সুখী হবে দেশ?
মানুষে মানুষে মেলবন্ধন, সহমর্মিতা ও প্রীতির প্রয়োজন। আর এজন্য প্রতিটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া খুবই জরুরি। এ দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের উপরই বর্তায়।
এক কথায় বাস্তবমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে দারিদ্র্য, দুর্নীতি, বেকারত্ব দূর করে সকল নাগরিকের জীবনের মানোন্নয়নে শাসককে দৃষ্টি দিতে হবে। চায় সার্বিক সচেতনতা। নিজস্ব বৌধ-বুদ্ধি, ইতিবাচক মানসিকতা দিয়ে যদি অন্তরের অন্ধকার দূর করে খুলে দিতে পারে সরকার তাহলে সর্ব শ্রেণির নাগরিক সমাজ খুশির দরজায় পৌঁছে যাবে।
তবেই তো সুখী পৃথিবীর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। এজন্য রাষ্ট্রের প্রথম কাজ বেকারত্ব দূর করাÑ এটাই জরুরি।
লিয়াকত হোসেন খোকন