প্রতি বছর উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বিপুলসংখ্যক লোক ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গমন করে থাকে। বর্তমানে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমনের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪%। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ ভারতে যাচ্ছেন সুচিকিৎসার আশায়।
বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে পাঁচ হাজার ৫৫টি। বেসরকারি হাসাপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ১৮৩টি। অর্থাৎ বাংলাদেশে মোট চিকিৎসালয় রয়েছে ৫ হাজার ১০৯টি।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন ডাক্তাররা সময় নিয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে না। রোগীর রোগ নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন না। সঠিক রোগ নির্ণয়ে জটিলতার সম্মুখীন হন। মাঝে-মধ্যেই রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা না করেই ঔষধ নির্বাচনের কারণে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
২৪ লাখ ৭০ হাজার মেডিকেল ট্যুরিস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মানুষ মেডিকেল ট্যুরিজমে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে। গত ১০ বছরে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগী বেড়ে আটগুণ ও চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
এখন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাচ্ছে প্রায় ২৭ লাখ ১০ হাজার রোগী। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব মানুষ মূলত ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এর মধ্যে রোগীর ৯২ শতাংশই যাচ্ছে ভারতে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় দেশ থেকে প্রতি বছর বিশাল অংকের টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
দেশের চিকিৎসা পদ্ধতির ত্রুটি প্রতিরোধ করে জনগণের আস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে সচেষ্ট হতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে। দেশে সুচিকিৎসা পেলে দেশবাসী বিদেশে যাওয়ার ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।
আফ্রিয়া অলিন
বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
প্রতি বছর উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বিপুলসংখ্যক লোক ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গমন করে থাকে। বর্তমানে ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমনের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪%। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ ভারতে যাচ্ছেন সুচিকিৎসার আশায়।
বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে পাঁচ হাজার ৫৫টি। বেসরকারি হাসাপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ১৮৩টি। অর্থাৎ বাংলাদেশে মোট চিকিৎসালয় রয়েছে ৫ হাজার ১০৯টি।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন ডাক্তাররা সময় নিয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে না। রোগীর রোগ নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন না। সঠিক রোগ নির্ণয়ে জটিলতার সম্মুখীন হন। মাঝে-মধ্যেই রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা না করেই ঔষধ নির্বাচনের কারণে রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
২৪ লাখ ৭০ হাজার মেডিকেল ট্যুরিস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মানুষ মেডিকেল ট্যুরিজমে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে। গত ১০ বছরে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগী বেড়ে আটগুণ ও চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
এখন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যাচ্ছে প্রায় ২৭ লাখ ১০ হাজার রোগী। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব মানুষ মূলত ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এর মধ্যে রোগীর ৯২ শতাংশই যাচ্ছে ভারতে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় দেশ থেকে প্রতি বছর বিশাল অংকের টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।
দেশের চিকিৎসা পদ্ধতির ত্রুটি প্রতিরোধ করে জনগণের আস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে সচেষ্ট হতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও আইন প্রণয়ন করতে হবে। দেশে সুচিকিৎসা পেলে দেশবাসী বিদেশে যাওয়ার ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।
আফ্রিয়া অলিন