‘স্বাধীনতা’ জনজীবনের খুবই অর্থবহ একটা শব্দ। মানুষের অন্যতম অধিকার। একটা জাতির পরিচয়। আর আমরা বাঙালি, স্বাধীন জাতি। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। এই স্বাধীনতা শত বছরের সাধনার ফল।
ইংরেজরা প্রায় ২০০ (১৭৫৭-১৯৪৭) বছর শাসন-শোষণের পর সমগ্র ভারতবর্ষকে ভেঙে ভারত পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত করে। পাকিস্তানের আবার দুটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রায় ২৪ বছর (১৯৪৭-১৯৭১) শাসন করে। এ শোষণ-শাসন নিপীড়নের মধ্যে বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা সৃষ্টি হয়। মূলত ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদের শুরু। মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের মধ্য দিয়ে বাঙালি নিজের অধিকার বুঝে নিতে শেখে।
৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এসবের মধ্যে ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল হারে জয়লাভ করলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে কুন্ঠিভূত করে রাখতে চেয়েছিলো। বাঙালি নিজের অধিকার নিয়ে তৎপর হলে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে বাঙালির উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ নৃশংসতার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু একটা বার্তার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার রেশ ধরে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, উপহার দিয়েছেন আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ আমরা স্বাধীন জাতি। ভাষার স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার সব আমরা ভোগ করছি। আমাদের একটা আলাদা সংবিধান আছে, আমাদের একটা আলাদা পতাকা আছে, আমাদের আলাদা ভাষা আছে।
আমরা অনন্য জাতি কারণ আমরা বাঙালি। দুর্বার, অদম্য পূর্ব-পুরুষদের জন্য পরম পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। ৫৪তম এই জাতীয় দিবসে সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। এই শ্রদ্ধা শুধু একদিনের নয় সবসময়ের জন্য।
ছাবিহা জামান
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
‘স্বাধীনতা’ জনজীবনের খুবই অর্থবহ একটা শব্দ। মানুষের অন্যতম অধিকার। একটা জাতির পরিচয়। আর আমরা বাঙালি, স্বাধীন জাতি। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। এই স্বাধীনতা শত বছরের সাধনার ফল।
ইংরেজরা প্রায় ২০০ (১৭৫৭-১৯৪৭) বছর শাসন-শোষণের পর সমগ্র ভারতবর্ষকে ভেঙে ভারত পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে বিভক্ত করে। পাকিস্তানের আবার দুটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান। বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রায় ২৪ বছর (১৯৪৭-১৯৭১) শাসন করে। এ শোষণ-শাসন নিপীড়নের মধ্যে বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা সৃষ্টি হয়। মূলত ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদের শুরু। মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের মধ্য দিয়ে বাঙালি নিজের অধিকার বুঝে নিতে শেখে।
৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এসবের মধ্যে ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল হারে জয়লাভ করলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে কুন্ঠিভূত করে রাখতে চেয়েছিলো। বাঙালি নিজের অধিকার নিয়ে তৎপর হলে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে বাঙালির উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। এ নৃশংসতার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু একটা বার্তার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার রেশ ধরে আমাদের পূর্ব-পুরুষরা আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, উপহার দিয়েছেন আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ আমরা স্বাধীন জাতি। ভাষার স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার সব আমরা ভোগ করছি। আমাদের একটা আলাদা সংবিধান আছে, আমাদের একটা আলাদা পতাকা আছে, আমাদের আলাদা ভাষা আছে।
আমরা অনন্য জাতি কারণ আমরা বাঙালি। দুর্বার, অদম্য পূর্ব-পুরুষদের জন্য পরম পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। ৫৪তম এই জাতীয় দিবসে সকল শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। এই শ্রদ্ধা শুধু একদিনের নয় সবসময়ের জন্য।
ছাবিহা জামান