alt

সম্পাদকীয়

যানজট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানী ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করেন ৭ শতাংশ মানুষ। অথচ এসব গাড়ি সড়কের ৭০ ভাগ জায়গা দখল করে রাখে। যানজটেরও অন্যতম কারণ ব্যক্তিগত গাড়ি। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে যানজটের কারণে প্রতিদিন ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

যানজট শুধু মানুষের অমূল্য সময়কেই কেড়ে নিচ্ছে না, শরীর-মনের ওপরও ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসব ক্ষতির আর্থিক মূল্য কত সেটা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা হিসাব কষে দেখিয়েছে।

ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে রাজধানীতে যানজট তৈরি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। তবে এটা একমাত্র কারণ নয়। একটি নগরীকে তখনই আধুনিক বলা যায় যখন তার মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ জায়গায় রাস্তা থাকে। কিন্তু ঢাকায় রাস্তা আছে সাত থেকে আট ভাগ? এ হিসাবে ঢাকাকে আধুনিক নগরী বলার উপায় নেই।

আবার যে সড়ক আছে তার বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। সড়ক দখলের রয়েছে নানা মাত্রা। শুধু হকাররাই সড়ক দখল করে না। সড়কের ওপর রাখা হয় নির্মাণসামগ্রী। যথেচ্ছভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এখানে মোটরবাইক উঠে যায় ফুটপাতে আর মানুষ হেঁটে চলে সড়কে।

আনফিট গাড়িও বড় একটি সমস্যা। একই সড়কে দ্রুতগতির যানের পাশাপাশি ধীরগতির যান চলছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দুর্বলতা। মানুষ ট্রাফিক আইন মানতে চায় না বা মানে না। ট্রাফিক আইনের প্রয়োগে শৈথিল্য দেখা যায়।

রাজধানীর যানজট নিরসনে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপই নেয়া হয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। শুধু প্রকল্প বড় হলেই যানজট সমস্যা থাকবে না এটা ভাবার কারণ নেই। স্বল্পমেয়াদে ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করাও জরুরি। সকালে ফুটপাত বা সড়ক দখলমুক্ত করা হলে তা বিকালে পুনর্দখল হওয়া বন্ধ করতে হবে।

এক-দুটি সমস্যার সমাধান করলে যানজট দূর হবে না। এ সমস্যা দূর করার জন্য সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নগর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে একযোগে। রাজধানীমুখী চাপ কমানোও জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

যানজট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রোববার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানী ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করেন ৭ শতাংশ মানুষ। অথচ এসব গাড়ি সড়কের ৭০ ভাগ জায়গা দখল করে রাখে। যানজটেরও অন্যতম কারণ ব্যক্তিগত গাড়ি। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে যানজটের কারণে প্রতিদিন ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

যানজট শুধু মানুষের অমূল্য সময়কেই কেড়ে নিচ্ছে না, শরীর-মনের ওপরও ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এসব ক্ষতির আর্থিক মূল্য কত সেটা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা হিসাব কষে দেখিয়েছে।

ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে রাজধানীতে যানজট তৈরি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। তবে এটা একমাত্র কারণ নয়। একটি নগরীকে তখনই আধুনিক বলা যায় যখন তার মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ জায়গায় রাস্তা থাকে। কিন্তু ঢাকায় রাস্তা আছে সাত থেকে আট ভাগ? এ হিসাবে ঢাকাকে আধুনিক নগরী বলার উপায় নেই।

আবার যে সড়ক আছে তার বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। সড়ক দখলের রয়েছে নানা মাত্রা। শুধু হকাররাই সড়ক দখল করে না। সড়কের ওপর রাখা হয় নির্মাণসামগ্রী। যথেচ্ছভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। এখানে মোটরবাইক উঠে যায় ফুটপাতে আর মানুষ হেঁটে চলে সড়কে।

আনফিট গাড়িও বড় একটি সমস্যা। একই সড়কে দ্রুতগতির যানের পাশাপাশি ধীরগতির যান চলছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দুর্বলতা। মানুষ ট্রাফিক আইন মানতে চায় না বা মানে না। ট্রাফিক আইনের প্রয়োগে শৈথিল্য দেখা যায়।

রাজধানীর যানজট নিরসনে এ পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপই নেয়া হয়েছে। শত শত কোটি টাকার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। শুধু প্রকল্প বড় হলেই যানজট সমস্যা থাকবে না এটা ভাবার কারণ নেই। স্বল্পমেয়াদে ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করাও জরুরি। সকালে ফুটপাত বা সড়ক দখলমুক্ত করা হলে তা বিকালে পুনর্দখল হওয়া বন্ধ করতে হবে।

এক-দুটি সমস্যার সমাধান করলে যানজট দূর হবে না। এ সমস্যা দূর করার জন্য সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করতে হবে সমন্বিতভাবে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নগর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে একযোগে। রাজধানীমুখী চাপ কমানোও জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

back to top