দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণের পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা যাতায়াত-যোগাযোগের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সংস্কার-পুনঃসংস্কার করা হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা শেষ হয় না। জনগণের ভোগান্তিও দূর হয় না।
সড়কে চলাচলের দুর্ভোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কটি মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে ভোগান্তি তৈরি করছে। সড়কের অনেক স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বছর তিনেক আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে যে, সড়ক সংস্কারের অনেক নিয়মই মানা হয়নি। ব্যবহার করা হয়নি মানসম্মত উপকরণ। তার ওপর উক্ত সড়কে চলাচল করেছে ভারি যানবাহন। যে কারণে সড়কটি টেকসই হয়নি।
নির্মাণ বা সংস্কার করার পর সড়কগুলো টেকসই হয় না কেন- এটা পুরনো প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্মাণের পর দেশের কোনো সড়ক ভালোয় ভালোয় মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে কিনা সেটা জানা দরকার। এমনও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে যে, সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়। তখন সেই সড়ক সংস্কার বা পুনর্নিমাণের জন্য আবার কাজ করা হয়। এতে করে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়।
সড়ক তৈরি করার সময় নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানতে হবে। মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটানো জরুরি।
সড়কের উপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, সেসব যানবাহন কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- সেটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সড়কই ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও দেখা যায় সেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবহন চলছে। ফলে যা হবার তা-ই হয়। সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক টেকসই করতে হলে ভারি যানবাহন চলাচলের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণের পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা যাতায়াত-যোগাযোগের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সংস্কার-পুনঃসংস্কার করা হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা শেষ হয় না। জনগণের ভোগান্তিও দূর হয় না।
সড়কে চলাচলের দুর্ভোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কটি মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে ভোগান্তি তৈরি করছে। সড়কের অনেক স্থানে বিটুমিন উঠে গেছে, তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বছর তিনেক আগে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয়নি। অভিযোগ উঠেছে যে, সড়ক সংস্কারের অনেক নিয়মই মানা হয়নি। ব্যবহার করা হয়নি মানসম্মত উপকরণ। তার ওপর উক্ত সড়কে চলাচল করেছে ভারি যানবাহন। যে কারণে সড়কটি টেকসই হয়নি।
নির্মাণ বা সংস্কার করার পর সড়কগুলো টেকসই হয় না কেন- এটা পুরনো প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক খাত অনিয়ম-দুর্নীতির একটি বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্মাণের পর দেশের কোনো সড়ক ভালোয় ভালোয় মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছে কিনা সেটা জানা দরকার। এমনও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে যে, সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই ভেঙে যায়। তখন সেই সড়ক সংস্কার বা পুনর্নিমাণের জন্য আবার কাজ করা হয়। এতে করে রাষ্ট্রের টাকার অপচয় হয়।
সড়ক তৈরি করার সময় নিয়মকানুন যথাযথভাবে মানতে হবে। মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। তাহলে সেটা টেকসই হবে। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অবসান ঘটানো জরুরি।
সড়কের উপর দিয়ে কোন ধরনের এবং কত যানবাহন চলবে, সেসব যানবাহন কী পরিমাণ ভার বহন করতে হবে- সেটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সড়কই ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। তারপরও দেখা যায় সেসব সড়ক দিয়ে ভারী যানবহন চলছে। ফলে যা হবার তা-ই হয়। সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সড়ক টেকসই করতে হলে ভারি যানবাহন চলাচলের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।