alt

সম্পাদকীয়

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে দেশে ইন্টারনেটনির্ভরতা বাড়ছে। এর ব্যবহারকারীও বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক নানা ক্ষেত্রে যেমন ব্যক্তি জীবনেও তেমন ইন্টারনেট এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার অপরাধ। ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানির ঘটনা বাড়ছে।

সাইবার অপরাধের অন্যতম শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। গত শনিবার রাজধানীতে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা : বাস্তবতা ও করণীয়’ শিরোনামের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সভায় বক্তরা বলেছেন, ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্যের সহজলভ্যতা, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকারীর অজ্ঞতা এবং আইনি পদক্ষেপের ফাঁকফোকরের কারণে দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সাইবার জগতে নারীদের বড় একটি অংশ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে ৮ দফা সুপারিশ করেছে মহিলা পরিষদ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনি প্রতিকার না পাওয়ার কারণে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না বলে সাইবার অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আবার যারা সাইবার জগতে হয়রানির শিকার হন তাদের বড় একটি অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না কিংবা কোন আইনের আশ্রয় নেন না। এ কারণে একটা দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে।

সাইবার অপরাধের শিকার মানুষ কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও অনেক সময় প্রতিকার মেলে না। প্রতিকার চাইতে গেলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই নানান হয়রানির শিকার হতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু মামলা হয়। কিন্তু বিচার পাওয়ার জন্য নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। কারণ অপরাধীর সাজা হলে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। তখন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ জানাতে বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। এ কারণে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসে। অপরাধীদের মনে এমন ধারণা জন্মে যে, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না, শাস্তি ভোগ করতে হবে।

সাইবার জগতের ঝুঁকির বিষয়ে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে দেশে ইন্টারনেটনির্ভরতা বাড়ছে। এর ব্যবহারকারীও বাড়ছে। প্রাতিষ্ঠানিক নানা ক্ষেত্রে যেমন ব্যক্তি জীবনেও তেমন ইন্টারনেট এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার অপরাধ। ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানির ঘটনা বাড়ছে।

সাইবার অপরাধের অন্যতম শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। গত শনিবার রাজধানীতে ‘নারী ও কন্যার প্রতি সাইবার সহিংসতা : বাস্তবতা ও করণীয়’ শিরোনামের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সভায় বক্তরা বলেছেন, ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্যের সহজলভ্যতা, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারকারীর অজ্ঞতা এবং আইনি পদক্ষেপের ফাঁকফোকরের কারণে দেশে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সাইবার জগতে নারীদের বড় একটি অংশ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে ৮ দফা সুপারিশ করেছে মহিলা পরিষদ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনি প্রতিকার না পাওয়ার কারণে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না বলে সাইবার অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আবার যারা সাইবার জগতে হয়রানির শিকার হন তাদের বড় একটি অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না কিংবা কোন আইনের আশ্রয় নেন না। এ কারণে একটা দুষ্টচক্র তৈরি হয়েছে।

সাইবার অপরাধের শিকার মানুষ কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না সেটা একটা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও অনেক সময় প্রতিকার মেলে না। প্রতিকার চাইতে গেলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই নানান হয়রানির শিকার হতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু মামলা হয়। কিন্তু বিচার পাওয়ার জন্য নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়।

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। কারণ অপরাধীর সাজা হলে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। তখন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ জানাতে বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। এ কারণে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসে। অপরাধীদের মনে এমন ধারণা জন্মে যে, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না, শাস্তি ভোগ করতে হবে।

সাইবার জগতের ঝুঁকির বিষয়ে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলাতে হবে।

back to top