alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দেশি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে

: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ি ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে ভারতে স্বীকৃতি পেল কীভাবে সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কের মধ্যেই টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিডিটি জিআই সনদ দিয়েছে।

এই সনদের মাধ্যমে যে উল্লিখিত বিতর্কের অবসান হয়েছে বা হবে তা নয়। বরং কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী একটি শাড়ির জিআই স্বীকৃতির জন্য যে কাজ আরও আগেই করা উচিত ছিল সেটা এতদিনেও কেন করা হয়নি? দেশে জিআই আইন রয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন আরও দশ বছর আগেই ২০১৩ সালে পাস হয়েছে। এতবছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির মতো পণ্যের জিআই করা হয়নি। ভারতে যখন শাড়িটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় তখন বাংলাদেশ থেকে আপত্তিও তোলা হয়নি।

জানা গেছে, ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও)অনুমোদনও পেয়েছে দেশটি। এই অবস্থায় ডিপিডিটির স্বীকৃতি কতটা কাজে আসবে সেটা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব প্রশ্নের মীমাংসা সহজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না।

জিআই আইন পাস হওয়ার পর দেশে মাত্র ডজনদুয়েক পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর গদাইলস্করি চালের কারণে ঐতিহ্যবাহী অনেক পণ্যের জিআই স্বীকৃতি আদায়ের কাজ চলছে শম্বুক গতিতে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো কাজই হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে কিছু পণ্যের স্বীকৃতি হাতছাড়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও অনেক পণ্যের জিআই স্বীকৃতি হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ শাপলা, কাঁঠাল, চা, পাট, সুন্দরবনের গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, কিছু প্রজাতির মাছ বাংলাদেশেও যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। কাজেই এসব পণ্যের জিআই সনদ দ্রুত করা না হলে সেগুলোর অবস্থাও টাঙ্গাইলের শাড়ির মতো হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়। বিশেষ করে যেসব পণ্য অন্যদেশেও রয়েছে সেসব পণ্যের স্বীকৃতির কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে সেটা আমাদের আশা। তাদেরকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে।

অনেকে বলছেন, পণ্যের উৎস ও এর নিবন্ধন নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লিসবন চুক্তি। তারা মনে করেন, এই চুক্তিতে বাংলাদেশে স্বাক্ষর করলে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারে। কেউ কেউ সব অংশীজনদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলছেন। বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন সেটা আমাদের আশা।

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দেশি পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের শাড়ি ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে ভারতে স্বীকৃতি পেল কীভাবে সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কের মধ্যেই টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিডিটি জিআই সনদ দিয়েছে।

এই সনদের মাধ্যমে যে উল্লিখিত বিতর্কের অবসান হয়েছে বা হবে তা নয়। বরং কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী একটি শাড়ির জিআই স্বীকৃতির জন্য যে কাজ আরও আগেই করা উচিত ছিল সেটা এতদিনেও কেন করা হয়নি? দেশে জিআই আইন রয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি আইন আরও দশ বছর আগেই ২০১৩ সালে পাস হয়েছে। এতবছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির মতো পণ্যের জিআই করা হয়নি। ভারতে যখন শাড়িটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় তখন বাংলাদেশ থেকে আপত্তিও তোলা হয়নি।

জানা গেছে, ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়ির জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও)অনুমোদনও পেয়েছে দেশটি। এই অবস্থায় ডিপিডিটির স্বীকৃতি কতটা কাজে আসবে সেটা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব প্রশ্নের মীমাংসা সহজে আসবে বলে মনে হচ্ছে না।

জিআই আইন পাস হওয়ার পর দেশে মাত্র ডজনদুয়েক পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর গদাইলস্করি চালের কারণে ঐতিহ্যবাহী অনেক পণ্যের জিআই স্বীকৃতি আদায়ের কাজ চলছে শম্বুক গতিতে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো কাজই হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে কিছু পণ্যের স্বীকৃতি হাতছাড়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আরও অনেক পণ্যের জিআই স্বীকৃতি হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ শাপলা, কাঁঠাল, চা, পাট, সুন্দরবনের গোলপাতা, সুন্দরীগাছ, কিছু প্রজাতির মাছ বাংলাদেশেও যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। কাজেই এসব পণ্যের জিআই সনদ দ্রুত করা না হলে সেগুলোর অবস্থাও টাঙ্গাইলের শাড়ির মতো হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কাজে কোনো গাফিলতি কাম্য নয়। বিশেষ করে যেসব পণ্য অন্যদেশেও রয়েছে সেসব পণ্যের স্বীকৃতির কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে সেটা আমাদের আশা। তাদেরকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে।

অনেকে বলছেন, পণ্যের উৎস ও এর নিবন্ধন নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লিসবন চুক্তি। তারা মনে করেন, এই চুক্তিতে বাংলাদেশে স্বাক্ষর করলে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারে। কেউ কেউ সব অংশীজনদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলছেন। বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন সেটা আমাদের আশা।

back to top