alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে

: সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

নতুন নতুন বাড়িঘর গড়ে উঠছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিজমির ওপর। সেখানে আবাদি জমিতে স্থাপিত হয়েছে অনেক ইটভাটা। উপকূলীয় এই এলাকায় লবণাক্ততা ও নদী ভাঙনের প্রভাবেও কমছে কৃষিজমি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নানা কারণে মোরেলগঞ্জে প্রতি বছর একশ হেক্টর ফসলিজমি অকৃষিজমিতে পরিণত হচ্ছে।

কৃষিজমি কমছে দেশজুড়েই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘কৃষি শুমারি রিপোর্ট-২০১৯’ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১.৮৬ কোটি একর। অথচ ২০০৮ সালে ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ১.৯ কোটি একর, অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১১ এই ১১ বছরে দেশে নিট আবাদি জমি কমেছে প্রায় ৪ লাখ একর।

একাধিক কারণে দেশের কৃষিজমি কমছে। জমি বাড়ছে না কিন্তু এর প্রয়োজন বাড়ছে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। শিল্প কলকারখানা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও কমছে কৃষিজমি। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের (এসআরডিআই) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের পর থেকে প্রতি বছর ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বছরে কৃষিজমি কমছে তিন হাজার হেক্টর ।

দেশের অর্থনীতি এখনও অনেকাংশে কৃষিনির্ভর। করোনা মহামারীতে কৃষির গুরুত্ব আবার বোঝা গেছে। দিন দিন কৃষিজমি কমার খবরটি ভালো নয়। জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। কাজেই কৃষিজমির ওপর চাপ অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কৃষিজমির পরিমাণ কমতে থাকলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। কেবল উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে ভবিষ্যতের চাহিদা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে কিনা সেটা ভাবার অবকাশ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা হলে কৃষিজমি আশঙ্কাজনক হারে কমতো না। নগরায়ণ, আবাসন, শিল্পকলকারখানা গড়ে তুলতে হবে পরিকল্পিতভাবে। কোনো অবস্থাতেই তিন ফসলি কৃষিজমিকে ধ্বংস করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়েরও নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের মানতে হবে। যে কোনো মূল্যে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে। ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি-২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০’ অনুসারে কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই নীতির বাস্তবায়ন জরুরি।

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে

সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪

নতুন নতুন বাড়িঘর গড়ে উঠছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষিজমির ওপর। সেখানে আবাদি জমিতে স্থাপিত হয়েছে অনেক ইটভাটা। উপকূলীয় এই এলাকায় লবণাক্ততা ও নদী ভাঙনের প্রভাবেও কমছে কৃষিজমি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নানা কারণে মোরেলগঞ্জে প্রতি বছর একশ হেক্টর ফসলিজমি অকৃষিজমিতে পরিণত হচ্ছে।

কৃষিজমি কমছে দেশজুড়েই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘কৃষি শুমারি রিপোর্ট-২০১৯’ এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে নিট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১.৮৬ কোটি একর। অথচ ২০০৮ সালে ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ১.৯ কোটি একর, অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১১ এই ১১ বছরে দেশে নিট আবাদি জমি কমেছে প্রায় ৪ লাখ একর।

একাধিক কারণে দেশের কৃষিজমি কমছে। জমি বাড়ছে না কিন্তু এর প্রয়োজন বাড়ছে। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের চাহিদা বেড়েছে। এর প্রভাবে গড়ে উঠছে ইটভাটা। শিল্প কলকারখানা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও কমছে কৃষিজমি। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের (এসআরডিআই) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের পর থেকে প্রতি বছর ৬৮ হাজার ৭৬০ হেক্টর আবাদি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বছরে কৃষিজমি কমছে তিন হাজার হেক্টর ।

দেশের অর্থনীতি এখনও অনেকাংশে কৃষিনির্ভর। করোনা মহামারীতে কৃষির গুরুত্ব আবার বোঝা গেছে। দিন দিন কৃষিজমি কমার খবরটি ভালো নয়। জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। কাজেই কৃষিজমির ওপর চাপ অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কৃষিজমির পরিমাণ কমতে থাকলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। কেবল উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে ভবিষ্যতের চাহিদা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে কিনা সেটা ভাবার অবকাশ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা হলে কৃষিজমি আশঙ্কাজনক হারে কমতো না। নগরায়ণ, আবাসন, শিল্পকলকারখানা গড়ে তুলতে হবে পরিকল্পিতভাবে। কোনো অবস্থাতেই তিন ফসলি কৃষিজমিকে ধ্বংস করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়েরও নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা সংশ্লিষ্টদের মানতে হবে। যে কোনো মূল্যে কৃষিজমি রক্ষা করতে হবে। ‘জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতি-২০১০’ এবং ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ভূমি জোনিং আইন-২০১০’ অনুসারে কৃষিজমি কৃষিকাজ ব্যতীত অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই নীতির বাস্তবায়ন জরুরি।

back to top