অপরিকল্পিত বাঁধ ও দখল-ভরাটের কারণে নাব্য হারিয়েছে মাগুরার ১০টি নদ-নদী। নাব্য হারানোর কারণে শুকনো মৌসুমে নৌযোগাযোগ বিঘিœত হয়, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মেলে না। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা হয়। নদ-নদী নাব্য হারানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাল-বিলের ওপর। নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক জলাশয় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু মাগুরা নয়, শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। আর তখন নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রীক জনজীবনে নেমে আসে নানান ভোগান্তি।
শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক নিয়মেই নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যায়। তবে এটাই নাব্য কমার একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময় পলি জমে জমে নদ-নদীর গভীরতা কমে। এটাও প্রাকৃতিক নিয়ম। উজান থেকে নদ-নদীতে শুধু পানিই আসে না, এর সঙ্গে পলিমাটিও আসে। উজান থেকে আসা পলি জমে হাজার বছর ধরে এই ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিসেবে পলিমাটি আশীর্বাদ। আবার এটাও সত্য যে, পলিমাটির কারণে নৌপথও রুদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও রয়েছে মনুষ্য সৃষ্টি কারণ। নির্বাচারে দখল আর বর্জ্য ফেলার কারণে অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখল-দূষণের এই সমস্যা শুধু শহন-নগরে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশেই কমবেশি এই অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে।
নদ-নদীর নাব্য বজায় রাখতে হলে সবার আগে দখল-দূষণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। নদ-নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বালু তোলা হয় নির্বিচারে। গত দেড় দশকে নদী দখল-দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি নদ-নদী খনন করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, নদী খননে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণে দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। সমালোচকরা বলেন, সংস্থাটির কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের কর্মতৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এজন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। আর নদ-নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। তলদেশ থেকে উঠানো পলি যেন আবার নদ-নদীতে গিয়ে না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
অপরিকল্পিত বাঁধ ও দখল-ভরাটের কারণে নাব্য হারিয়েছে মাগুরার ১০টি নদ-নদী। নাব্য হারানোর কারণে শুকনো মৌসুমে নৌযোগাযোগ বিঘিœত হয়, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মেলে না। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা হয়। নদ-নদী নাব্য হারানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাল-বিলের ওপর। নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক জলাশয় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু মাগুরা নয়, শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। আর তখন নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রীক জনজীবনে নেমে আসে নানান ভোগান্তি।
শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক নিয়মেই নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যায়। তবে এটাই নাব্য কমার একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময় পলি জমে জমে নদ-নদীর গভীরতা কমে। এটাও প্রাকৃতিক নিয়ম। উজান থেকে নদ-নদীতে শুধু পানিই আসে না, এর সঙ্গে পলিমাটিও আসে। উজান থেকে আসা পলি জমে হাজার বছর ধরে এই ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিসেবে পলিমাটি আশীর্বাদ। আবার এটাও সত্য যে, পলিমাটির কারণে নৌপথও রুদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও রয়েছে মনুষ্য সৃষ্টি কারণ। নির্বাচারে দখল আর বর্জ্য ফেলার কারণে অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখল-দূষণের এই সমস্যা শুধু শহন-নগরে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশেই কমবেশি এই অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে।
নদ-নদীর নাব্য বজায় রাখতে হলে সবার আগে দখল-দূষণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। নদ-নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বালু তোলা হয় নির্বিচারে। গত দেড় দশকে নদী দখল-দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি নদ-নদী খনন করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, নদী খননে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণে দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। সমালোচকরা বলেন, সংস্থাটির কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের কর্মতৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এজন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। আর নদ-নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। তলদেশ থেকে উঠানো পলি যেন আবার নদ-নদীতে গিয়ে না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।