alt

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

অপরিকল্পিত বাঁধ ও দখল-ভরাটের কারণে নাব্য হারিয়েছে মাগুরার ১০টি নদ-নদী। নাব্য হারানোর কারণে শুকনো মৌসুমে নৌযোগাযোগ বিঘিœত হয়, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মেলে না। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা হয়। নদ-নদী নাব্য হারানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাল-বিলের ওপর। নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক জলাশয় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু মাগুরা নয়, শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। আর তখন নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রীক জনজীবনে নেমে আসে নানান ভোগান্তি।

শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক নিয়মেই নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যায়। তবে এটাই নাব্য কমার একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময় পলি জমে জমে নদ-নদীর গভীরতা কমে। এটাও প্রাকৃতিক নিয়ম। উজান থেকে নদ-নদীতে শুধু পানিই আসে না, এর সঙ্গে পলিমাটিও আসে। উজান থেকে আসা পলি জমে হাজার বছর ধরে এই ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিসেবে পলিমাটি আশীর্বাদ। আবার এটাও সত্য যে, পলিমাটির কারণে নৌপথও রুদ্ধ হয়ে পড়ে।

আরও রয়েছে মনুষ্য সৃষ্টি কারণ। নির্বাচারে দখল আর বর্জ্য ফেলার কারণে অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখল-দূষণের এই সমস্যা শুধু শহন-নগরে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশেই কমবেশি এই অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে।

নদ-নদীর নাব্য বজায় রাখতে হলে সবার আগে দখল-দূষণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। নদ-নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বালু তোলা হয় নির্বিচারে। গত দেড় দশকে নদী দখল-দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাশাপাশি নদ-নদী খনন করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, নদী খননে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণে দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। সমালোচকরা বলেন, সংস্থাটির কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের কর্মতৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এজন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। আর নদ-নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। তলদেশ থেকে উঠানো পলি যেন আবার নদ-নদীতে গিয়ে না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

অপরিকল্পিত বাঁধ ও দখল-ভরাটের কারণে নাব্য হারিয়েছে মাগুরার ১০টি নদ-নদী। নাব্য হারানোর কারণে শুকনো মৌসুমে নৌযোগাযোগ বিঘিœত হয়, চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি মেলে না। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যা হয়। নদ-নদী নাব্য হারানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাল-বিলের ওপর। নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক জলাশয় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু মাগুরা নয়, শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক নদ-নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেয়। আর তখন নৌপথগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীকেন্দ্রীক জনজীবনে নেমে আসে নানান ভোগান্তি।

শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক নিয়মেই নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমে যায়। তবে এটাই নাব্য কমার একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময় পলি জমে জমে নদ-নদীর গভীরতা কমে। এটাও প্রাকৃতিক নিয়ম। উজান থেকে নদ-নদীতে শুধু পানিই আসে না, এর সঙ্গে পলিমাটিও আসে। উজান থেকে আসা পলি জমে হাজার বছর ধরে এই ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই হিসেবে পলিমাটি আশীর্বাদ। আবার এটাও সত্য যে, পলিমাটির কারণে নৌপথও রুদ্ধ হয়ে পড়ে।

আরও রয়েছে মনুষ্য সৃষ্টি কারণ। নির্বাচারে দখল আর বর্জ্য ফেলার কারণে অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। দখল-দূষণের এই সমস্যা শুধু শহন-নগরে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশেই কমবেশি এই অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে।

নদ-নদীর নাব্য বজায় রাখতে হলে সবার আগে দখল-দূষণের অপসংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে। নদ-নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বালু তোলা হয় নির্বিচারে। গত দেড় দশকে নদী দখল-দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাশাপাশি নদ-নদী খনন করা জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, নদী খননে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) যোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণে দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার নৌপথ হারিয়ে গেছে। সমালোচকরা বলেন, সংস্থাটির কাজে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব আছে। নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণে তাদের কর্মতৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে অনেক নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এজন্য দরকার দূরদর্শীতা ও দায়িত্বশীলতা। আর নদ-নদী খনন করতে হবে গভীরভাবে। তলদেশ থেকে উঠানো পলি যেন আবার নদ-নদীতে গিয়ে না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

back to top