alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কমবে কিভাবে

: শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ২৩.১৯ শতাংশ। গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৪৪ জন। এর আগে জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৪৭২ জন। বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক হিসাব থেকে জানা গেছে এ তথ্য। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন মারা গেছেন, ৮৬৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২০৬ জন, যা মোট নিহত মানুষের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২ দশমিক শূন্য ৭। দেশের নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভি চ্যানেলের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার বিষয়টি শুধু সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করলে হবে না। প্রতিটি প্রাণ অমূল্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায় তারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝায় পরিণত হয়।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে আরও আগেই। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনার আরো কিছু কারণ হচ্ছে- আনফিট যান, নিয়ন্ত্রণহীন গতি, ড্রাইভার-হেলপারদের বেপরোয়া মানসিকতা, তাদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।

দেশের সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর গঠিত কমিটিগুলো নানান সুপারিশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালতও; কিন্তু সড়কে নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা।

দুর্ঘটনা কেন ঘটে বা এটা প্রতিরোধে করণীয় কী- সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছে- করণীয়গুলো যথাযথাভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা। সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা সরকার বা আদালতের কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না, আইন মানতে চায় না। তাদের অন্যায় চাপের কাছে প্রায়ই সরকারকে নতিস্বীকার করতে হয়। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজ কঠিন হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা কমবে কিভাবে

শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ২৩.১৯ শতাংশ। গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৪৪ জন। এর আগে জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ৪৭২ জন। বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক হিসাব থেকে জানা গেছে এ তথ্য। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৪ জন মারা গেছেন, ৮৬৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২০৬ জন, যা মোট নিহত মানুষের ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩২ দশমিক শূন্য ৭। দেশের নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভি চ্যানেলের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার বিষয়টি শুধু সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করলে হবে না। প্রতিটি প্রাণ অমূল্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায় তারা কর্মক্ষমতা হারিয়ে পরিবারের বোঝায় পরিণত হয়।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে আরও আগেই। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সড়ক দুর্ঘটনার আরো কিছু কারণ হচ্ছে- আনফিট যান, নিয়ন্ত্রণহীন গতি, ড্রাইভার-হেলপারদের বেপরোয়া মানসিকতা, তাদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি।

দেশের সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর গঠিত কমিটিগুলো নানান সুপারিশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালতও; কিন্তু সড়কে নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা।

দুর্ঘটনা কেন ঘটে বা এটা প্রতিরোধে করণীয় কী- সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছে- করণীয়গুলো যথাযথাভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা। সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা সরকার বা আদালতের কোন আদেশ-নির্দেশেরই তোয়াক্কা করে না, আইন মানতে চায় না। তাদের অন্যায় চাপের কাছে প্রায়ই সরকারকে নতিস্বীকার করতে হয়। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজ কঠিন হবে।

back to top