বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কাগজে-কলমে চালু রয়েছে; কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি ভবনই ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত। গত এক বছর এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীকে দেখা যায়নি। ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভবনের মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম তদারকি ও দেখভালের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ গা করছে না।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯০ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। ভবনটি একসময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম চালিয়ে এলেও এক বছর ধরে তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিদর্শিকা, স্যাকমো, এফডব্লিএ ও মাঠকর্মীদের আর দেখাও মিলছে না। কোনো কার্যক্রমও নেই। ফলে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।
দরিদ্র মানুষকে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করেছে। এতে দরিদ্র মানুষ বেশি উপকৃত হবে। মানুষ এখান থেকে নিরাপদ প্রসূতিসেবা, নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এক্ষেত্রে মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখতে পারে; কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবকাঠামো সুবিধা নেই। একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো সুবিধাই যদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের চিকিৎসাসেবা তো দুরূহ হয়ে যাবে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গার অভাবে কোথাও স্থায়ীভাবে বসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করব সে সুযোগও পাচ্ছি না। তবে নতুন ভবনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গত এক বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এ কথা স্বীকারও করেছেন বহরবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রটির ভবন নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমরা আশা করব।
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কাগজে-কলমে চালু রয়েছে; কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি ভবনই ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত। গত এক বছর এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীকে দেখা যায়নি। ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভবনের মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম তদারকি ও দেখভালের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ গা করছে না।
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯০ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। ভবনটি একসময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম চালিয়ে এলেও এক বছর ধরে তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিদর্শিকা, স্যাকমো, এফডব্লিএ ও মাঠকর্মীদের আর দেখাও মিলছে না। কোনো কার্যক্রমও নেই। ফলে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।
দরিদ্র মানুষকে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করেছে। এতে দরিদ্র মানুষ বেশি উপকৃত হবে। মানুষ এখান থেকে নিরাপদ প্রসূতিসেবা, নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এক্ষেত্রে মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখতে পারে; কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবকাঠামো সুবিধা নেই। একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো সুবিধাই যদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের চিকিৎসাসেবা তো দুরূহ হয়ে যাবে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গার অভাবে কোথাও স্থায়ীভাবে বসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করব সে সুযোগও পাচ্ছি না। তবে নতুন ভবনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গত এক বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এ কথা স্বীকারও করেছেন বহরবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রটির ভবন নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমরা আশা করব।