alt

সম্পাদকীয়

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কাগজে-কলমে চালু রয়েছে; কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি ভবনই ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত। গত এক বছর এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীকে দেখা যায়নি। ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভবনের মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম তদারকি ও দেখভালের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ গা করছে না।

জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯০ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। ভবনটি একসময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম চালিয়ে এলেও এক বছর ধরে তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিদর্শিকা, স্যাকমো, এফডব্লিএ ও মাঠকর্মীদের আর দেখাও মিলছে না। কোনো কার্যক্রমও নেই। ফলে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।

দরিদ্র মানুষকে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করেছে। এতে দরিদ্র মানুষ বেশি উপকৃত হবে। মানুষ এখান থেকে নিরাপদ প্রসূতিসেবা, নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এক্ষেত্রে মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখতে পারে; কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবকাঠামো সুবিধা নেই। একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো সুবিধাই যদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের চিকিৎসাসেবা তো দুরূহ হয়ে যাবে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গার অভাবে কোথাও স্থায়ীভাবে বসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করব সে সুযোগও পাচ্ছি না। তবে নতুন ভবনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

গত এক বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এ কথা স্বীকারও করেছেন বহরবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রটির ভবন নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমরা আশা করব।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কাগজে-কলমে চালু রয়েছে; কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি ভবনই ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত। গত এক বছর এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীকে দেখা যায়নি। ফলে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভবনের মূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম তদারকি ও দেখভালের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ গা করছে না।

জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ১৯৯০ সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। ভবনটি একসময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম চালিয়ে এলেও এক বছর ধরে তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিদর্শিকা, স্যাকমো, এফডব্লিএ ও মাঠকর্মীদের আর দেখাও মিলছে না। কোনো কার্যক্রমও নেই। ফলে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।

দরিদ্র মানুষকে বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়। তাই সরকার মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করেছে। এতে দরিদ্র মানুষ বেশি উপকৃত হবে। মানুষ এখান থেকে নিরাপদ প্রসূতিসেবা, নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। এক্ষেত্রে মোরেলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ভূমিকা রাখতে পারে; কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অবকাঠামো সুবিধা নেই। একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবকাঠামো সুবিধাই যদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের চিকিৎসাসেবা তো দুরূহ হয়ে যাবে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গার অভাবে কোথাও স্থায়ীভাবে বসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করব সে সুযোগও পাচ্ছি না। তবে নতুন ভবনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

গত এক বছর ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এ কথা স্বীকারও করেছেন বহরবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বহরবুনিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রটির ভবন নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমরা আশা করব।

back to top