alt

সম্পাদকীয়

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে শুরু করে হাসপাতালের বর্জ্য পর্যন্ত ফেলা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যত্রতত্র ময়লা ফেলার ফলে মহাসড়কের একাধিক অংশ সরু হয়ে এসেছে। যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্গন্ধে পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতালের বর্জ্য এর সঙ্গে মিশে স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য উপযুক্ত জমি না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়ক পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিলেও, নিজস্ব ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, মহাসড়ককে ময়ালার ভাগাড়মুক্ত করতে হবে। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জমি চিহ্নিত করতে হবে দ্রুত। জমি নির্বাচনের সময় সড়ক থেকে দূরত্ব এবং পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করতে হবে।

স্থানীয় প্রশাসন, পৌরসভা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ময়লা-আবর্জনা স্থানান্তর এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

হাসপাতালের বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব বর্জ্যরে জন্য বিশেষায়িত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং হাসপাতালগুলোর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার বিরুদ্ধে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অগ্রহণযোগ্য। এটি শুধু পরিবেশ দূষণ করে না, বরং দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যকারিতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং সাধারণ জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। দেশের মহাসড়ক শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি দেশের পরিচ্ছন্নতার প্রতীকও। তাই এ সমস্যার সমাধানে দেরি করা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যই মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে শুরু করে হাসপাতালের বর্জ্য পর্যন্ত ফেলা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

যত্রতত্র ময়লা ফেলার ফলে মহাসড়কের একাধিক অংশ সরু হয়ে এসেছে। যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্গন্ধে পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। হাসপাতালের বর্জ্য এর সঙ্গে মিশে স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য উপযুক্ত জমি না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়ক পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিলেও, নিজস্ব ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, মহাসড়ককে ময়ালার ভাগাড়মুক্ত করতে হবে। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জমি চিহ্নিত করতে হবে দ্রুত। জমি নির্বাচনের সময় সড়ক থেকে দূরত্ব এবং পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করতে হবে।

স্থানীয় প্রশাসন, পৌরসভা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ময়লা-আবর্জনা স্থানান্তর এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।

হাসপাতালের বর্জ্য আলাদাভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব বর্জ্যরে জন্য বিশেষায়িত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং হাসপাতালগুলোর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার বিরুদ্ধে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য অগ্রহণযোগ্য। এটি শুধু পরিবেশ দূষণ করে না, বরং দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যকারিতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং সাধারণ জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে। দেশের মহাসড়ক শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি দেশের পরিচ্ছন্নতার প্রতীকও। তাই এ সমস্যার সমাধানে দেরি করা আমাদের ভবিষ্যতের জন্যই মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে।

back to top