alt

সম্পাদকীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

: মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।

হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে যে, মুফতি আব্দুল হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা ছিল অবৈধ। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলায় সরাসরি কোনো সাক্ষী না থাকার কারণে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত চার্জশিটের কারণে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে। ২০১১ সালে এই মামলার অন্যতম আসামী মুফতি আব্দুল হান্নান দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তা প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় কার বা কাদের। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ মানুষ আহত হয়।

গ্রেনেড হামলা যে হয়েছিল তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এই হামলা চালিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, হামলাকারী কারা। হামলাকারীদের কে খুঁজে বের করবে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ীদের আদৌ কি খুঁজে বের করা হবে, নাকি দেশের অনেক অন্যায়ের মতো এই ঘটানাও অন্ধকারেই থেকে যাবে?

দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিরই উদাহরণ ২১ আগস্ট। ২১ আগস্টের কারণে দেশের এই সংঘাতমূলক রাজনীতি আরও সংঘাতপূর্ণ হয়েছে। যেসব কারণে দেশ আজকের এই অবস্থায় এসেছে তার অন্যতম একটা কারণ সেদিনের গ্রেনেড হামলা। বিচারহীনভাবে এমন একটা ঘটনা চলে যেতে পারে না।

এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে। সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় সেটাও দেখতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা সেটা জানতে হলেও অপেক্ষা করতে হবে।

বৈষম্যহীন আইনের শাসনের নতুন বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অন্যায়-অপরাধের বিচার করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে অনেকটা দিয়েছে যেই গ্রেনেড হামলা তার সুষ্ঠু বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনো অপরাধের প্রতিকার করতে হলে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে প্রকৃত দায়ীদের খুঁজে বের করা দরকার, তাদের বিচার হওয়া দরকার।

মানুষ চায়, সকল অন্যায়-অপরাধের বিচার হোক, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাক।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।

হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে যে, মুফতি আব্দুল হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা ছিল অবৈধ। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলায় সরাসরি কোনো সাক্ষী না থাকার কারণে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত চার্জশিটের কারণে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে। ২০১১ সালে এই মামলার অন্যতম আসামী মুফতি আব্দুল হান্নান দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তা প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।

প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় কার বা কাদের। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ মানুষ আহত হয়।

গ্রেনেড হামলা যে হয়েছিল তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এই হামলা চালিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, হামলাকারী কারা। হামলাকারীদের কে খুঁজে বের করবে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ীদের আদৌ কি খুঁজে বের করা হবে, নাকি দেশের অনেক অন্যায়ের মতো এই ঘটানাও অন্ধকারেই থেকে যাবে?

দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিরই উদাহরণ ২১ আগস্ট। ২১ আগস্টের কারণে দেশের এই সংঘাতমূলক রাজনীতি আরও সংঘাতপূর্ণ হয়েছে। যেসব কারণে দেশ আজকের এই অবস্থায় এসেছে তার অন্যতম একটা কারণ সেদিনের গ্রেনেড হামলা। বিচারহীনভাবে এমন একটা ঘটনা চলে যেতে পারে না।

এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে। সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় সেটাও দেখতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা সেটা জানতে হলেও অপেক্ষা করতে হবে।

বৈষম্যহীন আইনের শাসনের নতুন বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অন্যায়-অপরাধের বিচার করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে অনেকটা দিয়েছে যেই গ্রেনেড হামলা তার সুষ্ঠু বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনো অপরাধের প্রতিকার করতে হলে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে প্রকৃত দায়ীদের খুঁজে বের করা দরকার, তাদের বিচার হওয়া দরকার।

মানুষ চায়, সকল অন্যায়-অপরাধের বিচার হোক, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাক।

back to top