২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।
হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে যে, মুফতি আব্দুল হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা ছিল অবৈধ। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলায় সরাসরি কোনো সাক্ষী না থাকার কারণে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত চার্জশিটের কারণে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে। ২০১১ সালে এই মামলার অন্যতম আসামী মুফতি আব্দুল হান্নান দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তা প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।
প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় কার বা কাদের। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ মানুষ আহত হয়।
গ্রেনেড হামলা যে হয়েছিল তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এই হামলা চালিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, হামলাকারী কারা। হামলাকারীদের কে খুঁজে বের করবে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ীদের আদৌ কি খুঁজে বের করা হবে, নাকি দেশের অনেক অন্যায়ের মতো এই ঘটানাও অন্ধকারেই থেকে যাবে?
দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিরই উদাহরণ ২১ আগস্ট। ২১ আগস্টের কারণে দেশের এই সংঘাতমূলক রাজনীতি আরও সংঘাতপূর্ণ হয়েছে। যেসব কারণে দেশ আজকের এই অবস্থায় এসেছে তার অন্যতম একটা কারণ সেদিনের গ্রেনেড হামলা। বিচারহীনভাবে এমন একটা ঘটনা চলে যেতে পারে না।
এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে। সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় সেটাও দেখতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা সেটা জানতে হলেও অপেক্ষা করতে হবে।
বৈষম্যহীন আইনের শাসনের নতুন বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অন্যায়-অপরাধের বিচার করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে অনেকটা দিয়েছে যেই গ্রেনেড হামলা তার সুষ্ঠু বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনো অপরাধের প্রতিকার করতে হলে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে প্রকৃত দায়ীদের খুঁজে বের করা দরকার, তাদের বিচার হওয়া দরকার।
মানুষ চায়, সকল অন্যায়-অপরাধের বিচার হোক, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাক।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদ- এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে অনেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।
হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে যে, মুফতি আব্দুল হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা ছিল অবৈধ। আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলায় সরাসরি কোনো সাক্ষী না থাকার কারণে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত চার্জশিটের কারণে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে। ২০১১ সালে এই মামলার অন্যতম আসামী মুফতি আব্দুল হান্নান দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তা প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।
প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় কার বা কাদের। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ মানুষ আহত হয়।
গ্রেনেড হামলা যে হয়েছিল তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। কেউ না কেউ এই হামলা চালিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, হামলাকারী কারা। হামলাকারীদের কে খুঁজে বের করবে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ীদের আদৌ কি খুঁজে বের করা হবে, নাকি দেশের অনেক অন্যায়ের মতো এই ঘটানাও অন্ধকারেই থেকে যাবে?
দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিরই উদাহরণ ২১ আগস্ট। ২১ আগস্টের কারণে দেশের এই সংঘাতমূলক রাজনীতি আরও সংঘাতপূর্ণ হয়েছে। যেসব কারণে দেশ আজকের এই অবস্থায় এসেছে তার অন্যতম একটা কারণ সেদিনের গ্রেনেড হামলা। বিচারহীনভাবে এমন একটা ঘটনা চলে যেতে পারে না।
এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে। সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয় সেটাও দেখতে হবে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা সেটা জানতে হলেও অপেক্ষা করতে হবে।
বৈষম্যহীন আইনের শাসনের নতুন বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব অন্যায়-অপরাধের বিচার করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি বদলে অনেকটা দিয়েছে যেই গ্রেনেড হামলা তার সুষ্ঠু বিচার হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনো অপরাধের প্রতিকার করতে হলে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে প্রকৃত দায়ীদের খুঁজে বের করা দরকার, তাদের বিচার হওয়া দরকার।
মানুষ চায়, সকল অন্যায়-অপরাধের বিচার হোক, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাক।