alt

সম্পাদকীয়

রংপুরে এলইডি বাতি স্থাপনে দুর্নীতি

: মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। কথা ছিল, জার্মানি অথবা ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক পোস্ট এবং এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী কাজও করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাতি স্থাপনের পর জানা গেল সেগুলো নিম্নমানের এবং চীনের তৈরি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করেছে। ফলে সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পাঠায় রসিক কর্তৃপক্ষ। পরে সরবরাহ করা বাতিগুলো নিম্নমানের বলে বুয়েট থেকে প্রতিবেদন দেয়া হয় তাদের।

নিম্নমানের বতিগুলো অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই দফা চিঠি দিয়েছেন রসিক মেয়র। এরপরও সেগুলো অপসারণ বা বদলানোর কাজ শুরু করা হয় নি বলে জানা গেছে। বরং বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়রের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার সাহস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেল কোথায়। আমরা আরও জানতে চাই যে, এ ধরনের নিম্নমানের বাতি তারা স্থাপন করল কীভাবে। সে সময় কী ঠিকমতো দেখভাল করা হয়েছে? না কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রসিক-এর হুঁশ হয়েছে যে, নিম্নমানের বাতি স্থাপন করা হয়েছে।

নিম্নমানের বাতি স্থাপন করার পরে রসিক কর্তৃপক্ষের কাজ শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তারা কি চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি অন্য কোন পদক্ষেপ নিবে-সেটা আমরা জানতে চাই। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল-সেটাও জানা দরকার।

চিঠি চালাচালির এই পর্ব শেষ করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একটা আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হোক। তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কাজ না পায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরবে, আর দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেবাবঞ্চিত হবে এলাকার বাসিন্দারা সেটা হতে পারে না।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

রংপুরে এলইডি বাতি স্থাপনে দুর্নীতি

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। কথা ছিল, জার্মানি অথবা ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক পোস্ট এবং এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী কাজও করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাতি স্থাপনের পর জানা গেল সেগুলো নিম্নমানের এবং চীনের তৈরি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করেছে। ফলে সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পাঠায় রসিক কর্তৃপক্ষ। পরে সরবরাহ করা বাতিগুলো নিম্নমানের বলে বুয়েট থেকে প্রতিবেদন দেয়া হয় তাদের।

নিম্নমানের বতিগুলো অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই দফা চিঠি দিয়েছেন রসিক মেয়র। এরপরও সেগুলো অপসারণ বা বদলানোর কাজ শুরু করা হয় নি বলে জানা গেছে। বরং বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়রের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার সাহস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেল কোথায়। আমরা আরও জানতে চাই যে, এ ধরনের নিম্নমানের বাতি তারা স্থাপন করল কীভাবে। সে সময় কী ঠিকমতো দেখভাল করা হয়েছে? না কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রসিক-এর হুঁশ হয়েছে যে, নিম্নমানের বাতি স্থাপন করা হয়েছে।

নিম্নমানের বাতি স্থাপন করার পরে রসিক কর্তৃপক্ষের কাজ শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তারা কি চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি অন্য কোন পদক্ষেপ নিবে-সেটা আমরা জানতে চাই। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল-সেটাও জানা দরকার।

চিঠি চালাচালির এই পর্ব শেষ করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একটা আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হোক। তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কাজ না পায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরবে, আর দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেবাবঞ্চিত হবে এলাকার বাসিন্দারা সেটা হতে পারে না।

back to top