রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। কথা ছিল, জার্মানি অথবা ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক পোস্ট এবং এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী কাজও করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাতি স্থাপনের পর জানা গেল সেগুলো নিম্নমানের এবং চীনের তৈরি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করেছে। ফলে সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পাঠায় রসিক কর্তৃপক্ষ। পরে সরবরাহ করা বাতিগুলো নিম্নমানের বলে বুয়েট থেকে প্রতিবেদন দেয়া হয় তাদের।
নিম্নমানের বতিগুলো অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই দফা চিঠি দিয়েছেন রসিক মেয়র। এরপরও সেগুলো অপসারণ বা বদলানোর কাজ শুরু করা হয় নি বলে জানা গেছে। বরং বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়রের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার সাহস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেল কোথায়। আমরা আরও জানতে চাই যে, এ ধরনের নিম্নমানের বাতি তারা স্থাপন করল কীভাবে। সে সময় কী ঠিকমতো দেখভাল করা হয়েছে? না কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রসিক-এর হুঁশ হয়েছে যে, নিম্নমানের বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নিম্নমানের বাতি স্থাপন করার পরে রসিক কর্তৃপক্ষের কাজ শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তারা কি চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি অন্য কোন পদক্ষেপ নিবে-সেটা আমরা জানতে চাই। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল-সেটাও জানা দরকার।
চিঠি চালাচালির এই পর্ব শেষ করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একটা আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হোক। তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কাজ না পায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরবে, আর দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেবাবঞ্চিত হবে এলাকার বাসিন্দারা সেটা হতে পারে না।
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। কথা ছিল, জার্মানি অথবা ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক পোস্ট এবং এলইডি বাতি স্থাপন করা হবে। সে অনুযায়ী কাজও করেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাতি স্থাপনের পর জানা গেল সেগুলো নিম্নমানের এবং চীনের তৈরি। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী বাতি সরবরাহ না করে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি স্থাপন করেছে। ফলে সড়কে আলোর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের আপত্তির মুখে সরবরাহ করার বাতি পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েটে) পাঠায় রসিক কর্তৃপক্ষ। পরে সরবরাহ করা বাতিগুলো নিম্নমানের বলে বুয়েট থেকে প্রতিবেদন দেয়া হয় তাদের।
নিম্নমানের বতিগুলো অপসারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই দফা চিঠি দিয়েছেন রসিক মেয়র। এরপরও সেগুলো অপসারণ বা বদলানোর কাজ শুরু করা হয় নি বলে জানা গেছে। বরং বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে নিম্নমানের চীনের তৈরি বাতি চালিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়রের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার সাহস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেল কোথায়। আমরা আরও জানতে চাই যে, এ ধরনের নিম্নমানের বাতি তারা স্থাপন করল কীভাবে। সে সময় কী ঠিকমতো দেখভাল করা হয়েছে? না কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রসিক-এর হুঁশ হয়েছে যে, নিম্নমানের বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নিম্নমানের বাতি স্থাপন করার পরে রসিক কর্তৃপক্ষের কাজ শুধু চিঠি চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তারা কি চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি অন্য কোন পদক্ষেপ নিবে-সেটা আমরা জানতে চাই। দরপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে কাজ পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল-সেটাও জানা দরকার।
চিঠি চালাচালির এই পর্ব শেষ করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে একটা আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হোক। তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কাজ না পায় সেই ব্যবস্থাও নিতে হবে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতি করে কেউ রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরবে, আর দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেবাবঞ্চিত হবে এলাকার বাসিন্দারা সেটা হতে পারে না।