মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং শরীয়তপুরের শিবচর ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটি প্রভাবশালী মহল অবাধে বালু তুলছে বলে জানা গেছে। দিনরাত পদ্মা সেতুর পিলারের আশপাশে অর্ধশতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ বালু তোলার কাজ। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দুই কোটি ঘনফুট বালু তোলা হয়। সেসব বালু শতাধিক বাল্কহেড দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী থেকে বালু তোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। পাশাপশি সংশ্লিষ্টদের অনুমোদনও নিতে হয়। পদ্মা সেতুর নির্দিষ্ট কিছু পিলারের কাছে অনুমোদনের বাইরে বালু কাটছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসব বালু শতাধিক বাল্কহেডের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিক্রিও করছে। যারা সেখানে বালু কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাদের কী কোন দায়-দায়িত্ব আছে- আমরা সেটা জানতে চাই। শুধু অনুমোদন দিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। অনুমোদনের বাইরে কেউ কিছু করছে কিনা- সেটারও তদারকি করতে হবে। কেউ অতিরিক্ত বালু তুলছে কিনা তারও দেখভাল করতে হবে।
কোন নদী থেকে বালুতোলার আগে সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। তারপর কী পরিমাণ বালু তোলা যাবে, সেই বালু কোথায় যাবে তা নির্ধারণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। এর বাইরে বালু উত্তোলন করলে সেখানকার প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ে। আশপাশের জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়ে যায়। ঘরবাড়ি হারিয়ে তারা উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। দেশে অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, এখনও ঘটছে। এরপরও অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে। যেমনটা অবাধেই চলছে পদ্মা সেতুর সন্নিকটে। দেশের এত বড় একটা মেগা প্রকল্পের সন্নিকটে অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে- এমনটা জেনে আমরা অবাক হই।
পদ্মা সেতুর সন্নিকটে বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে যে বালু কাটার মহোৎসব চলছে তা বন্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং শরীয়তপুরের শিবচর ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটি প্রভাবশালী মহল অবাধে বালু তুলছে বলে জানা গেছে। দিনরাত পদ্মা সেতুর পিলারের আশপাশে অর্ধশতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ বালু তোলার কাজ। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দুই কোটি ঘনফুট বালু তোলা হয়। সেসব বালু শতাধিক বাল্কহেড দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নদী থেকে বালু তোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। পাশাপশি সংশ্লিষ্টদের অনুমোদনও নিতে হয়। পদ্মা সেতুর নির্দিষ্ট কিছু পিলারের কাছে অনুমোদনের বাইরে বালু কাটছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসব বালু শতাধিক বাল্কহেডের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিক্রিও করছে। যারা সেখানে বালু কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাদের কী কোন দায়-দায়িত্ব আছে- আমরা সেটা জানতে চাই। শুধু অনুমোদন দিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। অনুমোদনের বাইরে কেউ কিছু করছে কিনা- সেটারও তদারকি করতে হবে। কেউ অতিরিক্ত বালু তুলছে কিনা তারও দেখভাল করতে হবে।
কোন নদী থেকে বালুতোলার আগে সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। তারপর কী পরিমাণ বালু তোলা যাবে, সেই বালু কোথায় যাবে তা নির্ধারণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। এর বাইরে বালু উত্তোলন করলে সেখানকার প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ে। আশপাশের জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়ে যায়। ঘরবাড়ি হারিয়ে তারা উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। দেশে অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, এখনও ঘটছে। এরপরও অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে। যেমনটা অবাধেই চলছে পদ্মা সেতুর সন্নিকটে। দেশের এত বড় একটা মেগা প্রকল্পের সন্নিকটে অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে- এমনটা জেনে আমরা অবাক হই।
পদ্মা সেতুর সন্নিকটে বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে যে বালু কাটার মহোৎসব চলছে তা বন্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।