alt

সম্পাদকীয়

পদ্মা সেতুর কাছে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

: শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং শরীয়তপুরের শিবচর ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটি প্রভাবশালী মহল অবাধে বালু তুলছে বলে জানা গেছে। দিনরাত পদ্মা সেতুর পিলারের আশপাশে অর্ধশতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ বালু তোলার কাজ। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দুই কোটি ঘনফুট বালু তোলা হয়। সেসব বালু শতাধিক বাল্কহেড দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী থেকে বালু তোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। পাশাপশি সংশ্লিষ্টদের অনুমোদনও নিতে হয়। পদ্মা সেতুর নির্দিষ্ট কিছু পিলারের কাছে অনুমোদনের বাইরে বালু কাটছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসব বালু শতাধিক বাল্কহেডের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিক্রিও করছে। যারা সেখানে বালু কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাদের কী কোন দায়-দায়িত্ব আছে- আমরা সেটা জানতে চাই। শুধু অনুমোদন দিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। অনুমোদনের বাইরে কেউ কিছু করছে কিনা- সেটারও তদারকি করতে হবে। কেউ অতিরিক্ত বালু তুলছে কিনা তারও দেখভাল করতে হবে।

কোন নদী থেকে বালুতোলার আগে সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। তারপর কী পরিমাণ বালু তোলা যাবে, সেই বালু কোথায় যাবে তা নির্ধারণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। এর বাইরে বালু উত্তোলন করলে সেখানকার প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ে। আশপাশের জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়ে যায়। ঘরবাড়ি হারিয়ে তারা উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। দেশে অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, এখনও ঘটছে। এরপরও অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে। যেমনটা অবাধেই চলছে পদ্মা সেতুর সন্নিকটে। দেশের এত বড় একটা মেগা প্রকল্পের সন্নিকটে অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে- এমনটা জেনে আমরা অবাক হই।

পদ্মা সেতুর সন্নিকটে বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে যে বালু কাটার মহোৎসব চলছে তা বন্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পদ্মা সেতুর কাছে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং শরীয়তপুরের শিবচর ও জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটি প্রভাবশালী মহল অবাধে বালু তুলছে বলে জানা গেছে। দিনরাত পদ্মা সেতুর পিলারের আশপাশে অর্ধশতাধিক ড্রেজার দিয়ে চলছে এ বালু তোলার কাজ। প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দুই কোটি ঘনফুট বালু তোলা হয়। সেসব বালু শতাধিক বাল্কহেড দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নদী থেকে বালু তোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। পাশাপশি সংশ্লিষ্টদের অনুমোদনও নিতে হয়। পদ্মা সেতুর নির্দিষ্ট কিছু পিলারের কাছে অনুমোদনের বাইরে বালু কাটছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসব বালু শতাধিক বাল্কহেডের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিক্রিও করছে। যারা সেখানে বালু কাটার অনুমোদন দিয়েছে তাদের কী কোন দায়-দায়িত্ব আছে- আমরা সেটা জানতে চাই। শুধু অনুমোদন দিয়ে বসে থাকলেই চলবে না। অনুমোদনের বাইরে কেউ কিছু করছে কিনা- সেটারও তদারকি করতে হবে। কেউ অতিরিক্ত বালু তুলছে কিনা তারও দেখভাল করতে হবে।

কোন নদী থেকে বালুতোলার আগে সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। তারপর কী পরিমাণ বালু তোলা যাবে, সেই বালু কোথায় যাবে তা নির্ধারণ সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়। এর বাইরে বালু উত্তোলন করলে সেখানকার প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ে। আশপাশের জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা নিঃস্ব হয়ে যায়। ঘরবাড়ি হারিয়ে তারা উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে। দেশে অতীতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, এখনও ঘটছে। এরপরও অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে। যেমনটা অবাধেই চলছে পদ্মা সেতুর সন্নিকটে। দেশের এত বড় একটা মেগা প্রকল্পের সন্নিকটে অনুমোদন ছাড়া বালু উত্তোলন চলছে- এমনটা জেনে আমরা অবাক হই।

পদ্মা সেতুর সন্নিকটে বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে যে বালু কাটার মহোৎসব চলছে তা বন্ধ করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top