তীব্র শীতে একটু উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহান অনেকেই। গোসলে ব্যবহার করেন গরম পানি। আগুন পোহাতে গিয়ে বা গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া ও গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগীদের ভিড় বাড়ছে। গুরুতর রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই মারা যান।
আগুন পোহাতে গিয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নারীরা। আগুন পোহানোর সময় শাড়ি বা চাদরে আগুন লেগে দগ্ধ হচ্ছেন কেউ কেউ। আর গরম পানিতে শিশুদের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সেবা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৬২৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ রোগীই ছিলেন শীত মৌসুমের রোগী এবং তাদের বেশির ভাগই আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী।
হাসপাতালগুলোতে শয্যার সীমাবদ্ধতা আছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। তবে শুধু শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া সমস্যার প্রতিকারে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন পোহানোর সংস্কৃতি বদলানো জরুরি। আগুন যদি পোহাতেই হয় সেক্ষেত্রে পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি, চাদর বা কম্বল গায়ে দিয়ে আগুন পোহানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোসল করার সময় গরম পানি পাতিলে করে না নিয়ে বালতিতে করে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আগুন লাগা বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
অনেকে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে তাপ পোহাতে গিয়ে দুঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আগুন পোহানোর পর আগুন ভালোভাবে নেভানো হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে।
শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
তীব্র শীতে একটু উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহান অনেকেই। গোসলে ব্যবহার করেন গরম পানি। আগুন পোহাতে গিয়ে বা গরম পানি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া ও গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগীদের ভিড় বাড়ছে। গুরুতর রোগীদের পাঠানো হচ্ছে বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই মারা যান।
আগুন পোহাতে গিয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নারীরা। আগুন পোহানোর সময় শাড়ি বা চাদরে আগুন লেগে দগ্ধ হচ্ছেন কেউ কেউ। আর গরম পানিতে শিশুদের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এক হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সেবা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৬২৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ রোগীই ছিলেন শীত মৌসুমের রোগী এবং তাদের বেশির ভাগই আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া রোগী।
হাসপাতালগুলোতে শয্যার সীমাবদ্ধতা আছে। শয্যা সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। তবে শুধু শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। আগুনে পোড়া বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া সমস্যার প্রতিকারে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন পোহানোর সংস্কৃতি বদলানো জরুরি। আগুন যদি পোহাতেই হয় সেক্ষেত্রে পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি, চাদর বা কম্বল গায়ে দিয়ে আগুন পোহানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোসল করার সময় গরম পানি পাতিলে করে না নিয়ে বালতিতে করে নিয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আগুন লাগা বা গরম পানিতে ঝলসে যাওয়ার পরে প্রাথমিকভাবে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।
অনেকে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে তাপ পোহাতে গিয়ে দুঘটনার শিকার হন। এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। আগুন পোহানোর পর আগুন ভালোভাবে নেভানো হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হবে।