পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। সাততলা একটি ভবনের বেজমেন্টে পৌঁছাতেই এক দিন ব্যয় করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার তৎপরতায় যথেষ্ট গতি না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনা সামলাতেই সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হচ্ছে। কখনো যদি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তখন তা মোকাবিলা করা হবে কীভাবে সেই ভাবনা পেয়ে বসেছে অনেককে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের কাজে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। দেশের যেখানেই যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখা যায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। কাজে আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে কেন, দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা প্রলম্বিত হয় কেন-সেটা একটা প্রশ্ন।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, কোথাও কোনো ভবন বিধ্বস্ত হলে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে যে সক্ষমতা থাকা দরকার সেটা তাদের রয়েছে। এমনকি ২২ তলা উঁচু ভবনও যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাহলে সেখানেও তারা কাজ করতে পারবে। তবে এর মধ্যেও কিন্তু আছে। ১০০ টনের বেশি ওজনের ভবন ধসে পড়লে তার কাঠামো ধরে রাখার মতো ক্রেন ফায়ার সার্ভিসের নেই। অত্যাধুনিক কিছু সরঞ্জামের ঘাটতির কথা সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিরা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন। আবার রানা প্লাজার মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তা সামলানো তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনবল ঘাটতির কথাও শোনা যায়।
বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের একার পক্ষে তা সামলানো সম্ভব নয়। নানা কারণেই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্তৃপক্ষের সাহয্য-সহযোগিতা লাগে। এজন্য সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর একাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সিদ্দিকবাজারের দুর্ঘটনায় রাজউক বা সিটি করপোরেশন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পেরেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে আছে। নানা কারণে নগরবাসী বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে মহাবিপর্যয় ঘটতে পারে। দেশে কোনো বিপদ ঘটুক সেটা কেউই চায় না। তবে বিপদের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নিতে হয়। বিপদ মোকাবিলায় বা উদ্ধার তৎপরতায় সক্ষমতার কোনো ঘাটতি থাকলে তা দ্রুত পূরণ করতে হবে। যে কোনো বিপদে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ যেন সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা জরুরি।
ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুরযোগের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এ কারণে যেন ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া যায়। অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণে ভবন ধসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট হতে হবে।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। সাততলা একটি ভবনের বেজমেন্টে পৌঁছাতেই এক দিন ব্যয় করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার তৎপরতায় যথেষ্ট গতি না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনা সামলাতেই সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হচ্ছে। কখনো যদি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তখন তা মোকাবিলা করা হবে কীভাবে সেই ভাবনা পেয়ে বসেছে অনেককে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের কাজে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। দেশের যেখানেই যখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখা যায়। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। কাজে আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে কেন, দুর্ঘটনা-পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা প্রলম্বিত হয় কেন-সেটা একটা প্রশ্ন।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, কোথাও কোনো ভবন বিধ্বস্ত হলে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে যে সক্ষমতা থাকা দরকার সেটা তাদের রয়েছে। এমনকি ২২ তলা উঁচু ভবনও যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাহলে সেখানেও তারা কাজ করতে পারবে। তবে এর মধ্যেও কিন্তু আছে। ১০০ টনের বেশি ওজনের ভবন ধসে পড়লে তার কাঠামো ধরে রাখার মতো ক্রেন ফায়ার সার্ভিসের নেই। অত্যাধুনিক কিছু সরঞ্জামের ঘাটতির কথা সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিরা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকারও করেছেন। আবার রানা প্লাজার মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তা সামলানো তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনবল ঘাটতির কথাও শোনা যায়।
বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের একার পক্ষে তা সামলানো সম্ভব নয়। নানা কারণেই সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্তৃপক্ষের সাহয্য-সহযোগিতা লাগে। এজন্য সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর একাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সিদ্দিকবাজারের দুর্ঘটনায় রাজউক বা সিটি করপোরেশন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পেরেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকা বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে আছে। নানা কারণে নগরবাসী বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে মহাবিপর্যয় ঘটতে পারে। দেশে কোনো বিপদ ঘটুক সেটা কেউই চায় না। তবে বিপদের কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নিতে হয়। বিপদ মোকাবিলায় বা উদ্ধার তৎপরতায় সক্ষমতার কোনো ঘাটতি থাকলে তা দ্রুত পূরণ করতে হবে। যে কোনো বিপদে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ যেন সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা জরুরি।
ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুরযোগের ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এ কারণে যেন ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া যায়। অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণে ভবন ধসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সংশ্লিষ্টদের সচেষ্ট হতে হবে।