alt

সম্পাদকীয়

মিথেন নির্গমন কমানো জরুরি

: সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেন গ্যাসকেই বেশি দায়ী মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে এই প্রাকৃতিক গ্যাস এমনকি কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। কারণ মিথেনে উষ্ণায়ন বেশি বাড়ে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব প্রতিরোধে মিথেন নির্গমন কমানো অত্যন্ত জরুরি।

রাজধানী ঢাকায় মিথেনের উপস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ লেটারস-এর একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া বিশ্বের ৬১টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। গত ১৪ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূ-উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবি বিশ্লেষণ করে ওই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে ঢাকার বায়ুম-লে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়েছে ২১ দশমিক ১ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন)।

মিথেন গ্যাস সৃষ্টির বড় কারণ হচ্ছে বর্জ্যরে ভাগাড়। জানা গেছে, ঢাকায় ১৩টি স্থানে অবস্থিত বর্জ্যরে ভাগাড় মিথেন গ্যাসের জন্য বহুলাংশে দায়ী। রাজধানীতে ৪৭ শতাংশ মিথেনের সৃষ্টি হচ্ছে এসব ভাগাড় থেকে। ভাগাড়ে ফেলা জৈব ও পলিথিন-প্লাস্টিক বর্জ্য পচে মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। জলাভূমিতে জমা হওয়া দূষিত পানি, নদ-নদীর দূষণের কারণেও মিথেন গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকায় আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। এটাও মিথেন গ্যাস বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ। বাড়তি জনসংখ্যা মানে বাড়তি বর্জ্য। কিন্তু এখানে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আবাসিক ও শিল্পকারখানার ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সংযোগ থেকেও মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

মিথেন গ্যাস যে শুধু জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তা নয়। বাতাসে মিথেনের উপস্থিতি বাড়লে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। যে কারণে রাজধানীবাসীর বড় একটি অংশকে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগতে হয়।

মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই গ্যাসের উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি। রাজধানীর জনঘনত্ব কমাতে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। আবাসিক ও শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে হতে হবে সতর্ক।

পাহাড়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

ভিডব্লিউবির চাল নিয়ে অনিয়ম বন্ধ করুন

সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করুন

রুদ্র প্রকৃতি

দুমকির ভাড়ানি খালে সেতু চাই

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

ভৈরবে খাল খননে বাধা দূর করুন

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

খোয়াই নদী বাঁচাতে টেকসই ব্যবস্থা নিন

নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

বাসাইলে সেতু পুনর্নির্মাণে পদক্ষেপ নিন

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

মিথেন নির্গমন কমানো জরুরি

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইডের পর মিথেন গ্যাসকেই বেশি দায়ী মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে এই প্রাকৃতিক গ্যাস এমনকি কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। কারণ মিথেনে উষ্ণায়ন বেশি বাড়ে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব প্রতিরোধে মিথেন নির্গমন কমানো অত্যন্ত জরুরি।

রাজধানী ঢাকায় মিথেনের উপস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ লেটারস-এর একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া বিশ্বের ৬১টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। গত ১৪ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূ-উপগ্রহ থেকে নেয়া ছবি বিশ্লেষণ করে ওই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, ওই সময়ের মধ্যে ঢাকার বায়ুম-লে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ বেড়েছে ২১ দশমিক ১ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন)।

মিথেন গ্যাস সৃষ্টির বড় কারণ হচ্ছে বর্জ্যরে ভাগাড়। জানা গেছে, ঢাকায় ১৩টি স্থানে অবস্থিত বর্জ্যরে ভাগাড় মিথেন গ্যাসের জন্য বহুলাংশে দায়ী। রাজধানীতে ৪৭ শতাংশ মিথেনের সৃষ্টি হচ্ছে এসব ভাগাড় থেকে। ভাগাড়ে ফেলা জৈব ও পলিথিন-প্লাস্টিক বর্জ্য পচে মিথেন গ্যাস তৈরি হচ্ছে। জলাভূমিতে জমা হওয়া দূষিত পানি, নদ-নদীর দূষণের কারণেও মিথেন গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে।

ঢাকায় আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি। এটাও মিথেন গ্যাস বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ। বাড়তি জনসংখ্যা মানে বাড়তি বর্জ্য। কিন্তু এখানে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। আবাসিক ও শিল্পকারখানার ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সংযোগ থেকেও মিথেন গ্যাস নির্গত হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

মিথেন গ্যাস যে শুধু জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তা নয়। বাতাসে মিথেনের উপস্থিতি বাড়লে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। যে কারণে রাজধানীবাসীর বড় একটি অংশকে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় ভুগতে হয়।

মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমাতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই গ্যাসের উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা জরুরি। রাজধানীর জনঘনত্ব কমাতে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। আবাসিক ও শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে হতে হবে সতর্ক।

back to top