নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখল হয়ে গেছে। এজন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। নালার উপর সবজি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সবজি বাজারের দোকানগুলো ইজারাও দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কাও করা হয়নি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেলের নালাটি দিয়ে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ নালার উপর কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে বাজার গড়ে তুলেছে। পরিষ্কার না করায় নালার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষা আসন্নপ্রায়। পানি ও বর্জ্য নির্গমনের পথ এভাবে বন্ধ থাকলে পুরো এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নাগরিক সেবা নিশ্চিতে বাজারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেই সেবা নিশ্চিতের জন্য আরেকটা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলো কেন- এই প্রশ্ন পৌর কর্তৃপক্ষকে আমরা করতে চাই। তার ওপর রেলের নালা দখল করে বাজার স্থাপন করা হয়েছে। শহরে পয়ঃনিষ্কাশন নালা না থাকলে নাগরিকদের জীবনে ভোগান্তি নেমে আসে।
পৌরসভার আয় বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লক্ষ্যে ৪০ বছর আগে রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভাকে চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর করে। কিন্তু ওই চুক্তিতে রেলের নালার কথা উল্লেখ ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে- চুক্তির তোয়াক্কা না করে পৌর মেয়র নালার উপর সবজি বাজার নির্মাণ করলেন কোন ক্ষমতাবলে।
দেশজুড়ে রেলের জমি দখল করা হয়। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চলে। কদিনের মাথায় আবার যা তা-ই হয়ে যায়। রেলের জমিকে প্রভাবশালীরা পরিত্যক্ত জমি মনে করে থাকেন। তাই তারা খুব সহজেই দখল করতে পারে। এর কারণ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকলে আইন অমান্য করে সৈয়দপুর পৌর মেয়র পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখল করে কীভাবে।
সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশন নালা দখল করে অবৈধভাবে বাজার গড়ে তোলার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। নাগরিকদের নির্বিঘ্ন জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখে নালাটি বর্ষা শুরুর আগেই উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দখলদার যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ২২ মে ২০২৩
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখল হয়ে গেছে। এজন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে। নালার উপর সবজি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সবজি বাজারের দোকানগুলো ইজারাও দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কাও করা হয়নি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেলের নালাটি দিয়ে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ নালার উপর কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে বাজার গড়ে তুলেছে। পরিষ্কার না করায় নালার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষা আসন্নপ্রায়। পানি ও বর্জ্য নির্গমনের পথ এভাবে বন্ধ থাকলে পুরো এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নাগরিক সেবা নিশ্চিতে বাজারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেই সেবা নিশ্চিতের জন্য আরেকটা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলো কেন- এই প্রশ্ন পৌর কর্তৃপক্ষকে আমরা করতে চাই। তার ওপর রেলের নালা দখল করে বাজার স্থাপন করা হয়েছে। শহরে পয়ঃনিষ্কাশন নালা না থাকলে নাগরিকদের জীবনে ভোগান্তি নেমে আসে।
পৌরসভার আয় বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লক্ষ্যে ৪০ বছর আগে রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ দশমিক ৭৫ একর জমি পৌরসভাকে চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তর করে। কিন্তু ওই চুক্তিতে রেলের নালার কথা উল্লেখ ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে- চুক্তির তোয়াক্কা না করে পৌর মেয়র নালার উপর সবজি বাজার নির্মাণ করলেন কোন ক্ষমতাবলে।
দেশজুড়ে রেলের জমি দখল করা হয়। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চলে। কদিনের মাথায় আবার যা তা-ই হয়ে যায়। রেলের জমিকে প্রভাবশালীরা পরিত্যক্ত জমি মনে করে থাকেন। তাই তারা খুব সহজেই দখল করতে পারে। এর কারণ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকলে আইন অমান্য করে সৈয়দপুর পৌর মেয়র পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখল করে কীভাবে।
সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশন নালা দখল করে অবৈধভাবে বাজার গড়ে তোলার যে অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। নাগরিকদের নির্বিঘ্ন জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখে নালাটি বর্ষা শুরুর আগেই উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দখলদার যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।