নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে রয়েছে বহু ঘটনা। বহু মনীষী এর প্রতিবাদ করেছেন। সমাধানের লক্ষ্যে বহু আন্দোলনও করেছেন। এত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ বঙ্গ নারীরা কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখেছে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পূর্ব প্রচলন এখনও রয়ে গেছে।
এখনও কিছু গ্রাম বা শহরে মেয়েরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। কারণ তারা মনে করে কর্মক্ষেত্রে একজন নারী থেকে পুরুষ ভালো কাজ করতে পারবে।
পরিবারে সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। পিতামাতা ছেলে সন্তানের খুব জোর দিয়ে ও স্বযতেœ লালন-পালন করে থাকেন, কেননা তাদের ধারণা পিতামাতা বৃদ্ধ হলে ছেলে সন্তানই তাদের ভার বহন করবে কিন্তু ঘটে ঠিক উল্টোটি। এ সমাজের পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মেয়েদের সম্পর্কে এমনটি ধারণা থাকে যে, তারা বড় হলে স্বামীর বাড়ি চলে যাবে, তাই ঐভাবে ছেলেদের মত জোর দিয়ে লালন-পালন করা হয় না।
কিছু পরিবার তারা মেনে নেয় মেয়েদের অধিকারের কথা, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় ওখানেও পক্ষপাতিত্ব থাকে। মেয়েদের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ওপর চরম অবিচার করা হয়। বলা হয় ঠিকই একজন নারী তার ইচ্ছামতো যা চায় করতে পারবে কিন্তু তা করার মতো ঐ পরিবেশ ও সুযোগ কোনোটাই থাকে না।
কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের শুধু মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে চিন্তা করি, তাহলেই সবাই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। একটা ছেলের যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি একটা মেয়েরও মুক্তির প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় একটুখানি স্বাধীনতার। তাদেরও ইচ্ছে হয় ছেলেদের মতো করে স্বপ্নগুলো ধরার। নীল আকাশে মুক্ত পাখির মতো স্বপ্ন দেখার।
আসুন, আমরা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। সমাজে সব স্তরে এর পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি করি। তখনই দেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে। তবেই আমরা বলতে পারবো নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার।
আফরিনা আক্তার
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে রয়েছে বহু ঘটনা। বহু মনীষী এর প্রতিবাদ করেছেন। সমাধানের লক্ষ্যে বহু আন্দোলনও করেছেন। এত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ বঙ্গ নারীরা কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখেছে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পূর্ব প্রচলন এখনও রয়ে গেছে।
এখনও কিছু গ্রাম বা শহরে মেয়েরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। কারণ তারা মনে করে কর্মক্ষেত্রে একজন নারী থেকে পুরুষ ভালো কাজ করতে পারবে।
পরিবারে সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। পিতামাতা ছেলে সন্তানের খুব জোর দিয়ে ও স্বযতেœ লালন-পালন করে থাকেন, কেননা তাদের ধারণা পিতামাতা বৃদ্ধ হলে ছেলে সন্তানই তাদের ভার বহন করবে কিন্তু ঘটে ঠিক উল্টোটি। এ সমাজের পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মেয়েদের সম্পর্কে এমনটি ধারণা থাকে যে, তারা বড় হলে স্বামীর বাড়ি চলে যাবে, তাই ঐভাবে ছেলেদের মত জোর দিয়ে লালন-পালন করা হয় না।
কিছু পরিবার তারা মেনে নেয় মেয়েদের অধিকারের কথা, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় ওখানেও পক্ষপাতিত্ব থাকে। মেয়েদের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ওপর চরম অবিচার করা হয়। বলা হয় ঠিকই একজন নারী তার ইচ্ছামতো যা চায় করতে পারবে কিন্তু তা করার মতো ঐ পরিবেশ ও সুযোগ কোনোটাই থাকে না।
কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের শুধু মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে চিন্তা করি, তাহলেই সবাই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। একটা ছেলের যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি একটা মেয়েরও মুক্তির প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় একটুখানি স্বাধীনতার। তাদেরও ইচ্ছে হয় ছেলেদের মতো করে স্বপ্নগুলো ধরার। নীল আকাশে মুক্ত পাখির মতো স্বপ্ন দেখার।
আসুন, আমরা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। সমাজে সব স্তরে এর পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি করি। তখনই দেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে। তবেই আমরা বলতে পারবো নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার।
আফরিনা আক্তার