alt

পাঠকের চিঠি

নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন

: বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে রয়েছে বহু ঘটনা। বহু মনীষী এর প্রতিবাদ করেছেন। সমাধানের লক্ষ্যে বহু আন্দোলনও করেছেন। এত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ বঙ্গ নারীরা কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখেছে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পূর্ব প্রচলন এখনও রয়ে গেছে।

এখনও কিছু গ্রাম বা শহরে মেয়েরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। কারণ তারা মনে করে কর্মক্ষেত্রে একজন নারী থেকে পুরুষ ভালো কাজ করতে পারবে।

পরিবারে সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। পিতামাতা ছেলে সন্তানের খুব জোর দিয়ে ও স্বযতেœ লালন-পালন করে থাকেন, কেননা তাদের ধারণা পিতামাতা বৃদ্ধ হলে ছেলে সন্তানই তাদের ভার বহন করবে কিন্তু ঘটে ঠিক উল্টোটি। এ সমাজের পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মেয়েদের সম্পর্কে এমনটি ধারণা থাকে যে, তারা বড় হলে স্বামীর বাড়ি চলে যাবে, তাই ঐভাবে ছেলেদের মত জোর দিয়ে লালন-পালন করা হয় না।

কিছু পরিবার তারা মেনে নেয় মেয়েদের অধিকারের কথা, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় ওখানেও পক্ষপাতিত্ব থাকে। মেয়েদের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ওপর চরম অবিচার করা হয়। বলা হয় ঠিকই একজন নারী তার ইচ্ছামতো যা চায় করতে পারবে কিন্তু তা করার মতো ঐ পরিবেশ ও সুযোগ কোনোটাই থাকে না।

কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের শুধু মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে চিন্তা করি, তাহলেই সবাই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। একটা ছেলের যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি একটা মেয়েরও মুক্তির প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় একটুখানি স্বাধীনতার। তাদেরও ইচ্ছে হয় ছেলেদের মতো করে স্বপ্নগুলো ধরার। নীল আকাশে মুক্ত পাখির মতো স্বপ্ন দেখার।

আসুন, আমরা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। সমাজে সব স্তরে এর পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি করি। তখনই দেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে। তবেই আমরা বলতে পারবো নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার।

আফরিনা আক্তার

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

tab

পাঠকের চিঠি

নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন

বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে রয়েছে বহু ঘটনা। বহু মনীষী এর প্রতিবাদ করেছেন। সমাধানের লক্ষ্যে বহু আন্দোলনও করেছেন। এত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজ বঙ্গ নারীরা কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখেছে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পূর্ব প্রচলন এখনও রয়ে গেছে।

এখনও কিছু গ্রাম বা শহরে মেয়েরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। পরিবারে, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। কারণ তারা মনে করে কর্মক্ষেত্রে একজন নারী থেকে পুরুষ ভালো কাজ করতে পারবে।

পরিবারে সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। পিতামাতা ছেলে সন্তানের খুব জোর দিয়ে ও স্বযতেœ লালন-পালন করে থাকেন, কেননা তাদের ধারণা পিতামাতা বৃদ্ধ হলে ছেলে সন্তানই তাদের ভার বহন করবে কিন্তু ঘটে ঠিক উল্টোটি। এ সমাজের পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মেয়েদের সম্পর্কে এমনটি ধারণা থাকে যে, তারা বড় হলে স্বামীর বাড়ি চলে যাবে, তাই ঐভাবে ছেলেদের মত জোর দিয়ে লালন-পালন করা হয় না।

কিছু পরিবার তারা মেনে নেয় মেয়েদের অধিকারের কথা, কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় ওখানেও পক্ষপাতিত্ব থাকে। মেয়েদের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার ওপর চরম অবিচার করা হয়। বলা হয় ঠিকই একজন নারী তার ইচ্ছামতো যা চায় করতে পারবে কিন্তু তা করার মতো ঐ পরিবেশ ও সুযোগ কোনোটাই থাকে না।

কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের শুধু মেয়ে হিসেবে চিন্তা না করে মানুষ হিসেবে চিন্তা করি, তাহলেই সবাই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। একটা ছেলের যেমন স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি একটা মেয়েরও মুক্তির প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় একটুখানি স্বাধীনতার। তাদেরও ইচ্ছে হয় ছেলেদের মতো করে স্বপ্নগুলো ধরার। নীল আকাশে মুক্ত পাখির মতো স্বপ্ন দেখার।

আসুন, আমরা নারীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করি। সমাজে সব স্তরে এর পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি করি। তখনই দেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে। তবেই আমরা বলতে পারবো নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অধিকার।

আফরিনা আক্তার

back to top