alt

পাঠকের চিঠি

তরমুজের দাম এত বেশি

: বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

তরমুজ মোটামুটি সবারই পছন্দের একটি রসালো ফল। রমজানের ইফতারসূচিতে তরমুজ কমবেশি সবাই রাখতে পছন্দ করেন।

বর্তমানে দেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থায় মোটামুটি সব রকমের ফলের দাম নাগালের বাইরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তরমুজ কেন কেজি দরে বিক্রি হবে? বছর তিনেক ধরে দেশের বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ফলমূল কেজি দরে বিক্রির অবৈধ প্রথা চালু করে বসেছে, যা খুবই দুঃখজনক।

কদিন পর হয়ত শোনা যাবে কলা, ডাব, কাঁঠাল, আনারসÑ এসব ফলও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছেÑ কৃষক (চাষি) যেসব ফলমূল উৎপাদন করেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে তা কেজি দরে বিক্রি করছেন কি? উত্তর অবশ্যই না। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করবার দুঃসাহস পান কোথা থেকে?

তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০০ টাকা দরে কিনছেন। যেখানে তরমুজের প্রতি কেজির রোষানলে দেশের সর্বস্তরের ক্রেতারাই পিষ্ট হচ্ছে নিয়ম করে। রমজান মাসে দেশের ফলমূলের বাজারগুলোতে রোজাদার ক্রেতারা ভীড় জমিয়েছে। এদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই আবেগের সুযোগ লুপে নিচ্ছে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণি। তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি, কোনো নড়চড় নেই। এ নিয়ে দেশের বাজারগুলোতে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং আড়তদার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে, ১ পিস তরমুজ কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। দেশের ক্রেতা সাধারণের অভিযোগÑ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের তরমুজ ১০০০ টাকায় বিক্রির কোনো মানে হয় না। যেখানে তরমুজ চাষি প্রতি পিসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পাচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে, চাষিরা কেন প্রতি কেজির দাম পাবেন না?

দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা হলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরবে।

রাহমান জিকু

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ প্রতিকার প্রসঙ্গে

কুষ্টিয়ায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় চাই

এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগে বয়সসীমা বাড়ানো হোক

ছবি

স্কাউটে আছে আনন্দের জগৎ

সম্মাননা স্মারক কি শুধুই একটি শব্দ

মোবাইল আসক্তি

খেলাপি ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিন

বই হোক প্রকৃত বন্ধু

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে সচেতনতা জরুরি

ব্রিজ চাই

প্রসঙ্গ : পরিযায়ী পাখি

ছবি

পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে

ছবি

গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে হবে

কেন এত আত্মহত্যা

দুর্নীতি বন্ধ হবে কবে

ছবি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

পিতা-মাতার স্থান হোক সন্তানের কাছে, বৃদ্ধাশ্রমে নয়

ছবি

ট্রেনের বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ

অভিনব কৌশলে প্রতারণা

ট্রেনে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হোক

ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হতে হবে

পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান

ছবি

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হোক

ছবি

অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

ঈদযাত্রা হোক ভোগান্তিমুক্ত

আত্মহত্যা সমাধান নয়

বেকারত্ব দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে

ছবি

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী

কোচিং ব্যবসা আর কত?

কর্মক্ষেত্রে নারীর অধিকার

ছবি

সময়সূচি মেনে চলুক ট্রেন

ছবি

উপকূলীয় বন রক্ষা করুন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতন

রাবিতে মশার উপদ্রব

ছবি

চমেক হাসপাতালে নিরাপত্তা চাই

নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হোক

tab

পাঠকের চিঠি

তরমুজের দাম এত বেশি

বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

তরমুজ মোটামুটি সবারই পছন্দের একটি রসালো ফল। রমজানের ইফতারসূচিতে তরমুজ কমবেশি সবাই রাখতে পছন্দ করেন।

বর্তমানে দেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থায় মোটামুটি সব রকমের ফলের দাম নাগালের বাইরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তরমুজ কেন কেজি দরে বিক্রি হবে? বছর তিনেক ধরে দেশের বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ফলমূল কেজি দরে বিক্রির অবৈধ প্রথা চালু করে বসেছে, যা খুবই দুঃখজনক।

কদিন পর হয়ত শোনা যাবে কলা, ডাব, কাঁঠাল, আনারসÑ এসব ফলও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছেÑ কৃষক (চাষি) যেসব ফলমূল উৎপাদন করেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে তা কেজি দরে বিক্রি করছেন কি? উত্তর অবশ্যই না। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করবার দুঃসাহস পান কোথা থেকে?

তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০০ টাকা দরে কিনছেন। যেখানে তরমুজের প্রতি কেজির রোষানলে দেশের সর্বস্তরের ক্রেতারাই পিষ্ট হচ্ছে নিয়ম করে। রমজান মাসে দেশের ফলমূলের বাজারগুলোতে রোজাদার ক্রেতারা ভীড় জমিয়েছে। এদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই আবেগের সুযোগ লুপে নিচ্ছে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণি। তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি, কোনো নড়চড় নেই। এ নিয়ে দেশের বাজারগুলোতে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং আড়তদার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।

প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে, ১ পিস তরমুজ কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। দেশের ক্রেতা সাধারণের অভিযোগÑ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের তরমুজ ১০০০ টাকায় বিক্রির কোনো মানে হয় না। যেখানে তরমুজ চাষি প্রতি পিসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পাচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে, চাষিরা কেন প্রতি কেজির দাম পাবেন না?

দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা হলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরবে।

রাহমান জিকু

back to top