তরমুজ মোটামুটি সবারই পছন্দের একটি রসালো ফল। রমজানের ইফতারসূচিতে তরমুজ কমবেশি সবাই রাখতে পছন্দ করেন।
বর্তমানে দেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থায় মোটামুটি সব রকমের ফলের দাম নাগালের বাইরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তরমুজ কেন কেজি দরে বিক্রি হবে? বছর তিনেক ধরে দেশের বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ফলমূল কেজি দরে বিক্রির অবৈধ প্রথা চালু করে বসেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
কদিন পর হয়ত শোনা যাবে কলা, ডাব, কাঁঠাল, আনারসÑ এসব ফলও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছেÑ কৃষক (চাষি) যেসব ফলমূল উৎপাদন করেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে তা কেজি দরে বিক্রি করছেন কি? উত্তর অবশ্যই না। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করবার দুঃসাহস পান কোথা থেকে?
তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০০ টাকা দরে কিনছেন। যেখানে তরমুজের প্রতি কেজির রোষানলে দেশের সর্বস্তরের ক্রেতারাই পিষ্ট হচ্ছে নিয়ম করে। রমজান মাসে দেশের ফলমূলের বাজারগুলোতে রোজাদার ক্রেতারা ভীড় জমিয়েছে। এদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই আবেগের সুযোগ লুপে নিচ্ছে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণি। তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি, কোনো নড়চড় নেই। এ নিয়ে দেশের বাজারগুলোতে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং আড়তদার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে, ১ পিস তরমুজ কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। দেশের ক্রেতা সাধারণের অভিযোগÑ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের তরমুজ ১০০০ টাকায় বিক্রির কোনো মানে হয় না। যেখানে তরমুজ চাষি প্রতি পিসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পাচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে, চাষিরা কেন প্রতি কেজির দাম পাবেন না?
দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা হলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরবে।
রাহমান জিকু
বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
তরমুজ মোটামুটি সবারই পছন্দের একটি রসালো ফল। রমজানের ইফতারসূচিতে তরমুজ কমবেশি সবাই রাখতে পছন্দ করেন।
বর্তমানে দেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থায় মোটামুটি সব রকমের ফলের দাম নাগালের বাইরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তরমুজ কেন কেজি দরে বিক্রি হবে? বছর তিনেক ধরে দেশের বাজারগুলোতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ফলমূল কেজি দরে বিক্রির অবৈধ প্রথা চালু করে বসেছে, যা খুবই দুঃখজনক।
কদিন পর হয়ত শোনা যাবে কলা, ডাব, কাঁঠাল, আনারসÑ এসব ফলও কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছেÑ কৃষক (চাষি) যেসব ফলমূল উৎপাদন করেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে তা কেজি দরে বিক্রি করছেন কি? উত্তর অবশ্যই না। তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করবার দুঃসাহস পান কোথা থেকে?
তরমুজ ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস ১০০ টাকা দরে কিনছেন। যেখানে তরমুজের প্রতি কেজির রোষানলে দেশের সর্বস্তরের ক্রেতারাই পিষ্ট হচ্ছে নিয়ম করে। রমজান মাসে দেশের ফলমূলের বাজারগুলোতে রোজাদার ক্রেতারা ভীড় জমিয়েছে। এদিকে ধর্মপ্রাণ মানুষের সেই আবেগের সুযোগ লুপে নিচ্ছে দেশের অসাধু ব্যবসায়ী শ্রেণি। তরমুজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি, কোনো নড়চড় নেই। এ নিয়ে দেশের বাজারগুলোতে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং আড়তদার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে, ১ পিস তরমুজ কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। দেশের ক্রেতা সাধারণের অভিযোগÑ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের তরমুজ ১০০০ টাকায় বিক্রির কোনো মানে হয় না। যেখানে তরমুজ চাষি প্রতি পিসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পাচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে, চাষিরা কেন প্রতি কেজির দাম পাবেন না?
দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারি সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা হলে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরবে।
রাহমান জিকু