শরীর ও মনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি অপরটির পরিপূরক। শরীর খারাপ হলে যেমন মন খারাপ থাকে, ঠিক তেমনি মন খারাপ থাকলেও শরীর অসুস্থ থাকে। তবে আমরা শারীরিক অসুস্থতাটাকে যতটা গুরুত্ব দেই, মানসিক অসুস্থতাকে ততটা গুরুত্ব দেই না। আর এই মানসিক অসুস্থতা অর্থাৎ দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রতিনিয়ত অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বেশ লক্ষ্য করা যায়। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে- পারিবারিক সমস্যা, বেকারত্ব, নিসঙ্গতা, প্রেমে ব্যর্থতা পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি। যেখানে ব্যক্তিজীবনের দক্ষতা উপলব্ধি করে, জীবনের স্বাভাবিক চাপগুলোর মোকাবেলা করার কথা সেখানে নিজেরাই আমরা মানসিক অসুস্থতায় ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছি। তবে মানসিক অসুস্থতার অন্যতম একটি কারণ হলো যন্ত্রনির্ভর হওয়া। এর ফলশ্রুতিতে মানুষ এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে যে, এক সাথে বসে গল্প করা, হাসিঠাট্টা, খেলাধুলা কিংবা একে অন্যকে সময় দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক জীবনের উপর।
ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা, বাধা বিপত্তি ঘটবেই। তবে আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থ থাকতে হবে। সর্বপ্রথমে আমাদের যন্ত্রনির্ভর এই জীবন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় এসব কার্যক্রমের সাথে নিজেকে সব সময় যুক্ত রাখতে হবে।
খেলাধুলা বিনোদন, বইপড়াসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। এতে শারীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে খুব সহজেই ব্যক্তিজীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে। তাই আমাদের ব্যক্তিজীবনে যাই ঘটে যাক না কেন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
সুমাইয়া বিনতে নুর
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
শরীর ও মনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি অপরটির পরিপূরক। শরীর খারাপ হলে যেমন মন খারাপ থাকে, ঠিক তেমনি মন খারাপ থাকলেও শরীর অসুস্থ থাকে। তবে আমরা শারীরিক অসুস্থতাটাকে যতটা গুরুত্ব দেই, মানসিক অসুস্থতাকে ততটা গুরুত্ব দেই না। আর এই মানসিক অসুস্থতা অর্থাৎ দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রতিনিয়ত অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি বেশ লক্ষ্য করা যায়। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে- পারিবারিক সমস্যা, বেকারত্ব, নিসঙ্গতা, প্রেমে ব্যর্থতা পারিপার্শ্বিক অবস্থা ইত্যাদি। যেখানে ব্যক্তিজীবনের দক্ষতা উপলব্ধি করে, জীবনের স্বাভাবিক চাপগুলোর মোকাবেলা করার কথা সেখানে নিজেরাই আমরা মানসিক অসুস্থতায় ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছি। তবে মানসিক অসুস্থতার অন্যতম একটি কারণ হলো যন্ত্রনির্ভর হওয়া। এর ফলশ্রুতিতে মানুষ এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে যে, এক সাথে বসে গল্প করা, হাসিঠাট্টা, খেলাধুলা কিংবা একে অন্যকে সময় দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলছে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যক্তি, পরিবার, সামাজিক জীবনের উপর।
ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা, বাধা বিপত্তি ঘটবেই। তবে আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থ থাকতে হবে। সর্বপ্রথমে আমাদের যন্ত্রনির্ভর এই জীবন থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় এসব কার্যক্রমের সাথে নিজেকে সব সময় যুক্ত রাখতে হবে।
খেলাধুলা বিনোদন, বইপড়াসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। এতে শারীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে। আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে খুব সহজেই ব্যক্তিজীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে। তাই আমাদের ব্যক্তিজীবনে যাই ঘটে যাক না কেন, মানসিকভাবে সুস্থ থাকা প্রয়োজন।
সুমাইয়া বিনতে নুর