alt

সম্পাদকীয়

মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটিতে লোকবল নিয়োগ দিন

: রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলীতে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে তিন বছর আগে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ চিকিৎসক-নার্সদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবনও। কিন্তু চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়া ও চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। তাই জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ এই এলাকার মা ও শিশুরা। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ রোববার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় অনেক স্বাস্থ্যসেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই। মায়েদের জরুরি প্রসবকালীন সেবা পেতে যেতে হয় জেলা সদরের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দরিদ্র মানুষের পক্ষে প্রায়ই যা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। জরুরি চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারাও যায় বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে এটি একটি ভালো খবর। কিন্তু চিকিৎসা কেন্দ্রটি যদি পূর্ণাঙ্গ আকারে চালু করা না যায়, এর সেবা যদি স্থানীয়রা না পায় তাহলে সেই ‘ভালো’র কোন মানে হয় না। শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় না। স্বাস্থ্যসেবা দিতে হলে চিকিৎসক-নার্স চাই, চিকিৎসা সরঞ্জাম চাই। যার কোনটাই চিকিৎসা কেন্দ্রে নেই। সেখানে এখন কাজ করছেন একজন করে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, নৈশপ্রহরী ও সুইপার। তারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের লোকবল দিয়েই যদি ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালানো হয়-তাহলে এত টাকা খরচ করে অবকাঠামো নির্মাণের কী দরকার ছিল! নির্মাণের তিন বছর পরও চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি কেন- সেটা একটা প্রশ্ন।

দেউলী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবল এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম যে লাগবে সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুব ভালো করেই জানা আছে। তাদের বিষয়টি চিঠি দিয়েও জানানো হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে উক্ত এলাকায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন মাথাব্যথা নেই।

আমরা চাই, দেউলী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাস্থ্য সেবা চালু করা হোক। সেজন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে গ্রাম এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকভাবে কাজ করছে-সেটা আমরা দেখতে চাই।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রটিতে লোকবল নিয়োগ দিন

রোববার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলীতে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে তিন বছর আগে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ চিকিৎসক-নার্সদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আবাসিক ভবনও। কিন্তু চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেয়া ও চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। তাই জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নসহ এই এলাকার মা ও শিশুরা। এ নিয়ে সংবাদ-এ আজ রোববার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় অনেক স্বাস্থ্যসেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই। মায়েদের জরুরি প্রসবকালীন সেবা পেতে যেতে হয় জেলা সদরের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দরিদ্র মানুষের পক্ষে প্রায়ই যা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। জরুরি চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী মারাও যায় বলে গুরুতর অভিযোগ মিলেছে।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে এটি একটি ভালো খবর। কিন্তু চিকিৎসা কেন্দ্রটি যদি পূর্ণাঙ্গ আকারে চালু করা না যায়, এর সেবা যদি স্থানীয়রা না পায় তাহলে সেই ‘ভালো’র কোন মানে হয় না। শুধু অবকাঠামো নির্মাণ করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় না। স্বাস্থ্যসেবা দিতে হলে চিকিৎসক-নার্স চাই, চিকিৎসা সরঞ্জাম চাই। যার কোনটাই চিকিৎসা কেন্দ্রে নেই। সেখানে এখন কাজ করছেন একজন করে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, নৈশপ্রহরী ও সুইপার। তারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের লোকবল দিয়েই যদি ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালানো হয়-তাহলে এত টাকা খরচ করে অবকাঠামো নির্মাণের কী দরকার ছিল! নির্মাণের তিন বছর পরও চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি কেন- সেটা একটা প্রশ্ন।

দেউলী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবল এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম যে লাগবে সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুব ভালো করেই জানা আছে। তাদের বিষয়টি চিঠি দিয়েও জানানো হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে উক্ত এলাকায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন মাথাব্যথা নেই।

আমরা চাই, দেউলী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাস্থ্য সেবা চালু করা হোক। সেজন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে গ্রাম এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকভাবে কাজ করছে-সেটা আমরা দেখতে চাই।

back to top