গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তৃতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্পটি চলছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে অন্য দুটি অচল হয়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর আগেই। বাকি যে পাম্প দিয়ে কোনো মতে সেচ কার্যক্রম চলছিল সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন চার জেলার হাজারো কৃষক। পাম্পটি কবে সচল হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়াসহ চার জেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় ১৯৫৪ সালে। সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষি খাত ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছিল, উৎপাদন ব্যয়ও কমেছিল। যার সুফল শুধু কৃষকরাই পাননি, ভোক্তারাও পেয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।
এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছিল, এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে।
এক হিসাব অনুযায়ী, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ৩০০ টাকা। প্রকল্পের সেচের পানি না মিললে কৃষককে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হয়। এতে করে কৃষকের আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।
বোরো মৌসুমে কৃষকরা জিকে প্রকল্পের সেচের পানি পাবেন না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। জিকে প্রকল্পের নষ্ট পাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তৃতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্পটি চলছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে অন্য দুটি অচল হয়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর আগেই। বাকি যে পাম্প দিয়ে কোনো মতে সেচ কার্যক্রম চলছিল সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন চার জেলার হাজারো কৃষক। পাম্পটি কবে সচল হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়াসহ চার জেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় ১৯৫৪ সালে। সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষি খাত ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছিল, উৎপাদন ব্যয়ও কমেছিল। যার সুফল শুধু কৃষকরাই পাননি, ভোক্তারাও পেয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।
এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছিল, এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে।
এক হিসাব অনুযায়ী, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ৩০০ টাকা। প্রকল্পের সেচের পানি না মিললে কৃষককে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হয়। এতে করে কৃষকের আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।
বোরো মৌসুমে কৃষকরা জিকে প্রকল্পের সেচের পানি পাবেন না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। জিকে প্রকল্পের নষ্ট পাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।