alt

সম্পাদকীয়

জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তৃতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্পটি চলছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে অন্য দুটি অচল হয়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর আগেই। বাকি যে পাম্প দিয়ে কোনো মতে সেচ কার্যক্রম চলছিল সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন চার জেলার হাজারো কৃষক। পাম্পটি কবে সচল হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কুষ্টিয়াসহ চার জেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় ১৯৫৪ সালে। সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষি খাত ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছিল, উৎপাদন ব্যয়ও কমেছিল। যার সুফল শুধু কৃষকরাই পাননি, ভোক্তারাও পেয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।

এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছিল, এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে।

এক হিসাব অনুযায়ী, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ৩০০ টাকা। প্রকল্পের সেচের পানি না মিললে কৃষককে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হয়। এতে করে কৃষকের আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।

বোরো মৌসুমে কৃষকরা জিকে প্রকল্পের সেচের পানি পাবেন না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। জিকে প্রকল্পের নষ্ট পাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের তৃতীয় পাম্পটিও অকেজো হয়ে পড়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পাম্পটি চলছে না বলে জানা গেছে। প্রকল্পের তিনটি পাম্পের মধ্যে অন্য দুটি অচল হয়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর আগেই। বাকি যে পাম্প দিয়ে কোনো মতে সেচ কার্যক্রম চলছিল সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন চার জেলার হাজারো কৃষক। পাম্পটি কবে সচল হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কুষ্টিয়াসহ চার জেলার প্রায় চার লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিতে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয় ১৯৫৪ সালে। সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষি খাত ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের সেচ খরচ কমেছিল, উৎপাদন ব্যয়ও কমেছিল। যার সুফল শুধু কৃষকরাই পাননি, ভোক্তারাও পেয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় পাম্প নষ্ট থাকলে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যায় না।

এর আগে দেশের প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে জিকে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, এতে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে অন্তত ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বলা হয়েছিল, এর ফলে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে।

এক হিসাব অনুযায়ী, জিকে সেচ খালের পানি দিয়ে ধানের আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ৩০০ টাকা। প্রকল্পের সেচের পানি না মিললে কৃষককে ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের পানি ব্যবহার করতে হয়। এতে করে কৃষকের আবাদ করতে লাগবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে বহুগুণ।

বোরো মৌসুমে কৃষকরা জিকে প্রকল্পের সেচের পানি পাবেন না সেটা হতে পারে না। কোনো কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়–ক সেটা আমরা চাই না। জিকে প্রকল্পের নষ্ট পাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করে পানি সরবরাহ করা হবে সেটা আমাদের আশা। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা যেন জিকে সেচ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল পান সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।

back to top