হতদরিদ্র প্রান্তিক মানুষ বাজারমূল্যে চাল কিনতে পারে না। প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে কমমূল্যে চাল কিনে দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে, সেই লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় সরকার।
কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দরিদ্রদের কাছে বিতরণ করা সেই চাল পাওয়া গেছে বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ীর দোকানে। ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন ১১ বস্তা চাল। চালের বস্তার ওপরে লেখাও রয়েছে, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’Ñসেøাগানটি। দৃশ্যটি দেখা গেছে নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের নতুনহাট বাজারে। সেখানে একটি খুচরা চালের দোকানে ১১ বস্তা ‘খাদ্যবান্ধব’র চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন খুচরা চালের বাজারের দোকানঘরে সারিবদ্ধভাবে এসব চালের বস্তা সাজিয়ে রাখতে দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দোকান মালিক বলছেন, এসব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনা আমার জানা নেই। একজন গ্রাম পুলিশ, বিজিবি সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এই চাল আমার কাছে বিক্রি করেছেন। তারা নাকি এসব চাল সরকারি রেশন হিসেবে পান। তাই আমি কিনে দোকানে রেখেছি বিক্রির জন্য।
কিন্তু স্থানীয়রা দোকান মালিকের কথা মানতে নারাজ। তারা অভিযোগ তুলেছেন, এখানে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আছেন। যারা নিয়মিত সরকারি চাল গোপনে কম দামে কিনে বস্তা পাল্টিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন।
শুধু নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নতুনহাট বাজারেই যে খাদ্যবান্ধবের চাল বিক্রি হচ্ছে তা না। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা ঘটতে দেখা যায়। দেশে করোনা সংকট চলাকালে গৃহবন্দী গরিব মানুষগুলোর দিন কেটেছে অনাহারে-অর্ধাহারে। তখন তাদের অর্থ উপর্জন করার কোনো উপায় ছিল না। করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে তখন সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তখন দেশের অনেক অঞ্চলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গরিবের ভিজিডি, ভিজিএফ ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল-গম আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি খবর তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়।
অতীতে অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা, জেল-জরিমানার উদাহরণও দেশে কম নেই। তারপরও এটা বন্ধ হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, এসব কাজে জড়িত থাকে কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসৎ কর্মকর্তা। আমরা বলতে চাই, যারা গরিবের চাল আত্মসাৎ করে, তারা যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। মাঝে মধ্যে নয়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে প্রশাসনকে।
পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। গরিবের চাল কেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীর দোকানে পাওয়া গেল তা খুঁজে বের করতে হবে। চাল উদ্ধার করে গরিবের চাল গরিবের কাছে বিতরণ করারও ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকে পার পেয়ে যায়। পতœীতলায় এমনটি করার সুযোগ কেউ যেন না পায় সেটা প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে।
সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
হতদরিদ্র প্রান্তিক মানুষ বাজারমূল্যে চাল কিনতে পারে না। প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে কমমূল্যে চাল কিনে দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে, সেই লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় সরকার।
কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দরিদ্রদের কাছে বিতরণ করা সেই চাল পাওয়া গেছে বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ীর দোকানে। ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন ১১ বস্তা চাল। চালের বস্তার ওপরে লেখাও রয়েছে, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’Ñসেøাগানটি। দৃশ্যটি দেখা গেছে নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের নতুনহাট বাজারে। সেখানে একটি খুচরা চালের দোকানে ১১ বস্তা ‘খাদ্যবান্ধব’র চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন খুচরা চালের বাজারের দোকানঘরে সারিবদ্ধভাবে এসব চালের বস্তা সাজিয়ে রাখতে দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দোকান মালিক বলছেন, এসব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনা আমার জানা নেই। একজন গ্রাম পুলিশ, বিজিবি সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এই চাল আমার কাছে বিক্রি করেছেন। তারা নাকি এসব চাল সরকারি রেশন হিসেবে পান। তাই আমি কিনে দোকানে রেখেছি বিক্রির জন্য।
কিন্তু স্থানীয়রা দোকান মালিকের কথা মানতে নারাজ। তারা অভিযোগ তুলেছেন, এখানে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আছেন। যারা নিয়মিত সরকারি চাল গোপনে কম দামে কিনে বস্তা পাল্টিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন।
শুধু নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার নতুনহাট বাজারেই যে খাদ্যবান্ধবের চাল বিক্রি হচ্ছে তা না। দেশের অনেক স্থানেই এমনটা ঘটতে দেখা যায়। দেশে করোনা সংকট চলাকালে গৃহবন্দী গরিব মানুষগুলোর দিন কেটেছে অনাহারে-অর্ধাহারে। তখন তাদের অর্থ উপর্জন করার কোনো উপায় ছিল না। করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে তখন সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তখন দেশের অনেক অঞ্চলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গরিবের ভিজিডি, ভিজিএফ ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল-গম আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি খবর তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়।
অতীতে অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা, জেল-জরিমানার উদাহরণও দেশে কম নেই। তারপরও এটা বন্ধ হচ্ছে না কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, এসব কাজে জড়িত থাকে কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু অসৎ কর্মকর্তা। আমরা বলতে চাই, যারা গরিবের চাল আত্মসাৎ করে, তারা যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। মাঝে মধ্যে নয়, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে প্রশাসনকে।
পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন, উক্ত অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। গরিবের চাল কেন খুচরা চাল ব্যবসায়ীর দোকানে পাওয়া গেল তা খুঁজে বের করতে হবে। চাল উদ্ধার করে গরিবের চাল গরিবের কাছে বিতরণ করারও ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক সময় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকে পার পেয়ে যায়। পতœীতলায় এমনটি করার সুযোগ কেউ যেন না পায় সেটা প্রশাসনকে মাথায় রাখতে হবে।