নওগাঁর বদলগাছীর কসবা এলাকায় ফসলি জমির ‘টপ সয়েল’ কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। একশ্রেণীর প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী এ কাজে যুক্ত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সহকারী (ভূমি) কমিশনারের আদেশে অফিসের নায়েব ব্যবসায়ীদের মাটি বহন করা গাড়ির চাবি খুলে আনেন। আবার ওদিকে গাড়িও চলে। প্রশাসন মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু কয়েকদিন পর আবার আগের মতোই মাটি বিক্রি চলতে থাকে।
ফসলিজমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান রয়েছে। তাই জমির উপরিভাগের সেই মাটি মাটি কাটা হলে জৈব উপাদান নষ্ট হয়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। ফসলের উৎপাদন কমে যায় বলে কৃষকরাও একসময় আবাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। টপ সয়েল রক্ষা করতে না পারলে আগামীতে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
ফসলি জমি বা উদ্ভিদ বিনষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা থাকলে সেখান থেকে মাটি কাটা যাবে না। কেউ তা অমান্য করলে তার জেল-জরিমানা করা যাবে বলে বিধান রয়েছে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে। কিন্তু এ আইন কঠোরভাবে খুব একটা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো হলে যে কোনো অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। আইনকানুন তৈরি করা হয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বা বন্ধ করার জন্য। সমস্যা হচ্ছে দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে কিন্তু দেখা যায় যথাযথ প্রয়োগ নেই বা প্রয়োগে শৈথিল্য রয়েছে। যে কারণে অপরাধ দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
নওগাঁর বদলগাছীর কসবায় প্রায় ১৫ বছর ধরে ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ফসলিজমি কমতে শুরু করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। শুধু বদলগাছীতেই নয়, দেশের অন্যান্য জায়গায় ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করার মতো অপরাধ চলে। সেখানেও মাটি কাটা বন্ধে করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের নির্দেশনাও আছে।
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
নওগাঁর বদলগাছীর কসবা এলাকায় ফসলি জমির ‘টপ সয়েল’ কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। একশ্রেণীর প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী এ কাজে যুক্ত। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সহকারী (ভূমি) কমিশনারের আদেশে অফিসের নায়েব ব্যবসায়ীদের মাটি বহন করা গাড়ির চাবি খুলে আনেন। আবার ওদিকে গাড়িও চলে। প্রশাসন মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালায়। কিন্তু কয়েকদিন পর আবার আগের মতোই মাটি বিক্রি চলতে থাকে।
ফসলিজমির উপরিভাগের ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান রয়েছে। তাই জমির উপরিভাগের সেই মাটি মাটি কাটা হলে জৈব উপাদান নষ্ট হয়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। ফসলের উৎপাদন কমে যায় বলে কৃষকরাও একসময় আবাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। টপ সয়েল রক্ষা করতে না পারলে আগামীতে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
ফসলি জমি বা উদ্ভিদ বিনষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা থাকলে সেখান থেকে মাটি কাটা যাবে না। কেউ তা অমান্য করলে তার জেল-জরিমানা করা যাবে বলে বিধান রয়েছে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে। কিন্তু এ আইন কঠোরভাবে খুব একটা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো হলে যে কোনো অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। আইনকানুন তৈরি করা হয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বা বন্ধ করার জন্য। সমস্যা হচ্ছে দেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে কিন্তু দেখা যায় যথাযথ প্রয়োগ নেই বা প্রয়োগে শৈথিল্য রয়েছে। যে কারণে অপরাধ দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
নওগাঁর বদলগাছীর কসবায় প্রায় ১৫ বছর ধরে ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ফসলিজমি কমতে শুরু করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। শুধু বদলগাছীতেই নয়, দেশের অন্যান্য জায়গায় ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করার মতো অপরাধ চলে। সেখানেও মাটি কাটা বন্ধে করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের নির্দেশনাও আছে।