মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ, নিরাপদ এবং সুপেয় পানি চাই। খাবার পানি নিরাপদ না হলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চাষাবাদ, মৎস্যসম্পদ উৎপাদন, নৌযোগাযোগ, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের প্রশ্নে পানির বিকল্প নেই। শুধু মানুষ নয় জীবজগতের সব প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য পানি অপরিহার্য।
দেশে নিরাপদ পানির জোগান নিশ্চিত করার পথে এখনো অনেক বাধা রয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও উপকূলের বাসিন্দারা সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন।
গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব পানি দিবস। পানি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শান্তির জন্য পানি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়েছে।
পানির সঙ্গে মানবজাতির শান্তির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। মানব সভ্যতার অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, পানির জন্য অনেক লড়াই-সংঘাত হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে অনেক স্থানে পানির জন্য হাহাকার দেখা দেয়। পানির গুরুত্ব বোঝাতে অনেকেই বলে থাকেন, সুপেয় পানির অভাবের কারণে ভবিষ্যতে মানব সভ্যতাকে হয়ত বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই সুপেয় পানির অভাব অশান্তির কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে খাল-বিলের মতো জলাশয়ের প্রাচুর্যে রয়েছে। যদিও এখন অনেক নদ-নদী এবং জলাশয় অস্তিত্ব হারিয়েছে। খাল-বিল, নদ-নদীর দেশে সুপেয় পানির সংকট কেন হচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক মানুষ এখনো উন্নত উৎস থেকে পানি পাচ্ছে না। মানুষের জন্য কেবল পানির জোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
পানির দুষ্প্রাপ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে এর সুষম বণ্টন। দেশের অনেক স্থানে বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির অসম বণ্টন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পানি সংকট দূর করতে চাই পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। উৎস থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পানির ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ এর ওপর নির্ভর করছে জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়।
রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪
মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ, নিরাপদ এবং সুপেয় পানি চাই। খাবার পানি নিরাপদ না হলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চাষাবাদ, মৎস্যসম্পদ উৎপাদন, নৌযোগাযোগ, নগরায়ণ ও শিল্পায়নের প্রশ্নে পানির বিকল্প নেই। শুধু মানুষ নয় জীবজগতের সব প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবনধারণের জন্য পানি অপরিহার্য।
দেশে নিরাপদ পানির জোগান নিশ্চিত করার পথে এখনো অনেক বাধা রয়েছে। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও উপকূলের বাসিন্দারা সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন।
গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব পানি দিবস। পানি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শান্তির জন্য পানি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়েছে।
পানির সঙ্গে মানবজাতির শান্তির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। মানব সভ্যতার অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, পানির জন্য অনেক লড়াই-সংঘাত হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে অনেক স্থানে পানির জন্য হাহাকার দেখা দেয়। পানির গুরুত্ব বোঝাতে অনেকেই বলে থাকেন, সুপেয় পানির অভাবের কারণে ভবিষ্যতে মানব সভ্যতাকে হয়ত বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই সুপেয় পানির অভাব অশান্তির কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে খাল-বিলের মতো জলাশয়ের প্রাচুর্যে রয়েছে। যদিও এখন অনেক নদ-নদী এবং জলাশয় অস্তিত্ব হারিয়েছে। খাল-বিল, নদ-নদীর দেশে সুপেয় পানির সংকট কেন হচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। দেশের অনেক মানুষ এখনো উন্নত উৎস থেকে পানি পাচ্ছে না। মানুষের জন্য কেবল পানির জোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
পানির দুষ্প্রাপ্যতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে এর সুষম বণ্টন। দেশের অনেক স্থানে বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির অসম বণ্টন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পানি সংকট দূর করতে চাই পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। উৎস থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পানির ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ এর ওপর নির্ভর করছে জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়।