ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড়ের কাটা মাটি বিক্রি করছে। গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক, মুসলিমপাড়া, তৈকর্মা, হাতিমুড়া, বাইল্যাছড়ি, ছোটপিলাক, চিংগুলিপাড়া, লুন্দুক্যাপাড়া, বুদংপাড়া ও ফজরটিলার অর্ধশত পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে।
পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তারা এ কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। একটি এলাকা থেকে এতগুলো পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
পাহাড়কে বলা হয় ভূপৃষ্ঠের খুঁটি। আবার এটি জলস্তম্ভও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করার পরিণতি ভয়াবহ। পাহাড় ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে। এতে জীববৈচিত্র্যও টিকে থাকতে পারে।
শুধু গুইমারা উপজেলায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পাহাড় ধ্বংস করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়।
আমরা বলতে চাই, কোনো অজুহাতেই পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করা সমীচীন হবে না। যা কিছু করা হোক না কেন, সেটা আইন মেনেই করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা যাবে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
আমরা আশা করব গুইমারা উপজেলাসহ দেশের যেখানেই পাহাড় কাটা হচ্ছে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। আর গুইমারায় যারা পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড়ের কাটা মাটি বিক্রি করছে। গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক, মুসলিমপাড়া, তৈকর্মা, হাতিমুড়া, বাইল্যাছড়ি, ছোটপিলাক, চিংগুলিপাড়া, লুন্দুক্যাপাড়া, বুদংপাড়া ও ফজরটিলার অর্ধশত পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে।
পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তারা এ কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। একটি এলাকা থেকে এতগুলো পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।
পাহাড়কে বলা হয় ভূপৃষ্ঠের খুঁটি। আবার এটি জলস্তম্ভও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করার পরিণতি ভয়াবহ। পাহাড় ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে। এতে জীববৈচিত্র্যও টিকে থাকতে পারে।
শুধু গুইমারা উপজেলায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পাহাড় ধ্বংস করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়।
আমরা বলতে চাই, কোনো অজুহাতেই পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করা সমীচীন হবে না। যা কিছু করা হোক না কেন, সেটা আইন মেনেই করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা যাবে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
আমরা আশা করব গুইমারা উপজেলাসহ দেশের যেখানেই পাহাড় কাটা হচ্ছে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। আর গুইমারায় যারা পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।