alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

: বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড়ের কাটা মাটি বিক্রি করছে। গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক, মুসলিমপাড়া, তৈকর্মা, হাতিমুড়া, বাইল্যাছড়ি, ছোটপিলাক, চিংগুলিপাড়া, লুন্দুক্যাপাড়া, বুদংপাড়া ও ফজরটিলার অর্ধশত পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে।

পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তারা এ কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। একটি এলাকা থেকে এতগুলো পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

পাহাড়কে বলা হয় ভূপৃষ্ঠের খুঁটি। আবার এটি জলস্তম্ভও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করার পরিণতি ভয়াবহ। পাহাড় ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে। এতে জীববৈচিত্র্যও টিকে থাকতে পারে।

শুধু গুইমারা উপজেলায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পাহাড় ধ্বংস করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়।

আমরা বলতে চাই, কোনো অজুহাতেই পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করা সমীচীন হবে না। যা কিছু করা হোক না কেন, সেটা আইন মেনেই করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা যাবে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

আমরা আশা করব গুইমারা উপজেলাসহ দেশের যেখানেই পাহাড় কাটা হচ্ছে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। আর গুইমারায় যারা পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় পাহাড়ের মাটি কাটা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। একটি প্রভাবশালী চক্র পাহাড়ের কাটা মাটি বিক্রি করছে। গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক, মুসলিমপাড়া, তৈকর্মা, হাতিমুড়া, বাইল্যাছড়ি, ছোটপিলাক, চিংগুলিপাড়া, লুন্দুক্যাপাড়া, বুদংপাড়া ও ফজরটিলার অর্ধশত পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটা হচ্ছে।

পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তারা এ কাজ দীর্ঘদিন ধরে করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাহাড় কাটার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা হয়েছে, পাহাড় কাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রয়োগ হতে খুব একটা দেখা যায় না। একটি এলাকা থেকে এতগুলো পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল, এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন আমরা করতে চাই।

পাহাড়কে বলা হয় ভূপৃষ্ঠের খুঁটি। আবার এটি জলস্তম্ভও। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করার পরিণতি ভয়াবহ। পাহাড় ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে। এতে জীববৈচিত্র্যও টিকে থাকতে পারে।

শুধু গুইমারা উপজেলায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও পাহাড় ধ্বংস করা হচ্ছে। এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশিত হয়।

আমরা বলতে চাই, কোনো অজুহাতেই পাহাড় কাটা বা ধ্বংস করা সমীচীন হবে না। যা কিছু করা হোক না কেন, সেটা আইন মেনেই করতে হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা যাবে না। আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

আমরা আশা করব গুইমারা উপজেলাসহ দেশের যেখানেই পাহাড় কাটা হচ্ছে তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেবে। আর গুইমারায় যারা পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top