alt

সম্পাদকীয়

দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করুন

: মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বয়ড়া বেড়িবাঁধ গত ৩৪ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। বেড়িবাঁধটি শুধু বন্যা নিয়ন্ত্রণেই কাজে আসে না, এটা জনসাধারণের চলাচলের পথও বটে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে একদিকে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে বন্যার পানিতে বহু জনপদ তলিয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু জামালপুরের একটি জায়গাতেই নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বছরের পর বছর সংস্কার করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কোন এলাকার বাঁধ ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা সংস্কার করতে বছরের পর বছর লেগে যায়।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এখানে নিয়মিতিই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। এ বছরও বন্যার পানিতে দেশের বহু এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার মতো দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশের বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ না দেয়া চরম উদাসীনতা ও অবহেলারই নিদর্শন। আবার যে বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয় সেগুলো টেকসই হয় না। বাঁধ নির্মাণের উপকরণের পরিমাণ ও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই। যেখানে যে পরিমাণ নির্মাণসামগ্রী দেয়ার কথা সেখানে সে পরিমাণ দেয়া হয় না। আবার যেটুকু দেয়া হয় তাও মানসম্মত না।

বাঁধে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক যদি মেরামত করা হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই বাঁধ নির্মাণের পরে যথাযথভাবে দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যেখানে বাঁধ সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত করতে হবে। তা না হলে আগামীতে বড় কোন দুর্যোগের কবল থেকে জানমাল রক্ষা করা কঠিন হবে। বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারে উপকরণের পরিমাণগত ও গুণগত মান কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কাজে কেউ অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

দ্রুত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করুন

মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বয়ড়া বেড়িবাঁধ গত ৩৪ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। বেড়িবাঁধটি শুধু বন্যা নিয়ন্ত্রণেই কাজে আসে না, এটা জনসাধারণের চলাচলের পথও বটে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে একদিকে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, সংস্কার করা না হলে যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে বন্যার পানিতে বহু জনপদ তলিয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু জামালপুরের একটি জায়গাতেই নয়, দেশের আরও অনেক স্থানেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বছরের পর বছর সংস্কার করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কোন এলাকার বাঁধ ভেঙে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা সংস্কার করতে বছরের পর বছর লেগে যায়।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এখানে নিয়মিতিই বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। এ বছরও বন্যার পানিতে দেশের বহু এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার মতো দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা একটি দেশের বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে মনোযোগ না দেয়া চরম উদাসীনতা ও অবহেলারই নিদর্শন। আবার যে বাঁধগুলো নির্মাণ করা হয় সেগুলো টেকসই হয় না। বাঁধ নির্মাণের উপকরণের পরিমাণ ও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই। যেখানে যে পরিমাণ নির্মাণসামগ্রী দেয়ার কথা সেখানে সে পরিমাণ দেয়া হয় না। আবার যেটুকু দেয়া হয় তাও মানসম্মত না।

বাঁধে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক যদি মেরামত করা হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই বাঁধ নির্মাণের পরে যথাযথভাবে দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যেখানে বাঁধ সংস্কার প্রয়োজন তা দ্রুত করতে হবে। তা না হলে আগামীতে বড় কোন দুর্যোগের কবল থেকে জানমাল রক্ষা করা কঠিন হবে। বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারে উপকরণের পরিমাণগত ও গুণগত মান কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কাজে কেউ অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top