alt

সম্পাদকীয়

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

রাজশাহীর চারঘাটে ১৪০টি নলকূপে আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চল কর্তৃক পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প-এর আওতায় ১৫ হাজার নলকূপ পরীক্ষা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, এর মধ্যে ১৪০টি নলকূপের পানিতে ৫০ পিপিবি-র বেশি মাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতি মিলেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো একটি বড় সমস্যা। দেশের অনেক মানুষকেই বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পানের সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। মানুষের জন্য শুধু পানির জোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। খাবার পানি নিরাপদ না হলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিশেষকরে শিশু ও নারীদের এর জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। তবে এই তথ্য কতটা সঠিক তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে সেটাকে নিরাপদ বলা যাবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে দেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমার কারণে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। মানুষও এখন এ বিষয়ে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান গতিতে কাজ করলে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নাগরিকদের আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করার পথে চ্যালেঞ্জগুলো কী সেটা নীতি-নির্ধারকদের না জানবার কথা নয়। জরুরি হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া। বরাদ্দকৃত অর্থের সুষম বণ্টনও নিশ্চিত করতে হবে।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

tab

সম্পাদকীয়

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

রাজশাহীর চারঘাটে ১৪০টি নলকূপে আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চল কর্তৃক পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প-এর আওতায় ১৫ হাজার নলকূপ পরীক্ষা করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, এর মধ্যে ১৪০টি নলকূপের পানিতে ৫০ পিপিবি-র বেশি মাত্রায় আর্সেনিকের উপস্থিতি মিলেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো একটি বড় সমস্যা। দেশের অনেক মানুষকেই বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে আর্সেনিকের উপস্থিতি রয়েছে। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ এখনো নিরাপদ পানি পানের সুযোগ থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে। মানুষের জন্য শুধু পানির জোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। খাবার পানি নিরাপদ না হলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিশেষকরে শিশু ও নারীদের এর জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। তবে এই তথ্য কতটা সঠিক তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে সেটাকে নিরাপদ বলা যাবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে দেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমার কারণে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। মানুষও এখন এ বিষয়ে আগের চেয়ে বেশি সচেতন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমান গতিতে কাজ করলে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নাগরিকদের আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করার পথে চ্যালেঞ্জগুলো কী সেটা নীতি-নির্ধারকদের না জানবার কথা নয়। জরুরি হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া। বরাদ্দকৃত অর্থের সুষম বণ্টনও নিশ্চিত করতে হবে।

back to top