alt

উপ-সম্পাদকীয়

পারিবারিক অপরাধপ্রবণতা ও কয়েকটি প্রশ্ন

সাঈদ চৌধুরী

: মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

ছোট্ট সন্তান যখন মায়ের বুকের দুধ খায় তখন বাবারা পাশে গিয়ে সন্তাকে দুধ খাইয়ে দিতে কত আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সন্তান আস্তে আস্তে আদরে বড় হতে থাকে। সব আপনি দেখেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট হওয়ার প্রথম ধাপটি কি আপনি লক্ষ করেন না, নাকি বোঝেন না?

নষ্ট হওয়ার পর সন্তানের কতগুলো আবদার আপনি রাখেন এবং কেন রাখেন?

কত বছর বয়স থেকে সন্তানকে দেখে আপনি ভয় পান যে সন্তানকে এখন কিছু বললেই আপনার দিকে তেড়ে আসবে?

যেদিন প্রথম সন্তানকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন সেদিন কি আপনি কোনো এমন ব্যবস্থা করেছেন যাতে সন্তান আর এমন কিছু না করে?

কবে বুঝলেন সন্তান আপনাকে আর মানছে না? তখন যদি সন্তানকে আর ফেরানোই না যায় তবে করণীয় ঠিক করতে কি আপনি কোনো ভাবনা ভেবেছিলেন?

সন্তানরা তাদের ইচ্ছামতো চলতে চায় কিন্তু বাবা-মা যদি বোঝায় তখন তারা থামে। কোন সন্তানরা বাবা-মায়ের কথায় থামে এটা আগে ভাবুন। যারা ছোটবেলা থেকে মা-বাবাকে বুঝতে পারে তারা।

এখন মা-বাবাকে বোঝার জন্য সন্তানকে কতটুকু সময় আপনি দিয়েছেন? কিশোর গ্যাং বা নেশায় আসক্তি বাড়ল কখন থেকে একটু হিসাব করেন?

বাবা-মায়ের কোনো ব্যস্ততা নেই। কিন্তু তারা সন্তানের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে নিজেরা ব্যস্ত সময় কাটান একাকী অথবা টিভি দেখে বা মোবাইল ব্যবহার করে।

এদের সন্তানরা একসময় নিজেকে খুঁজে পাওয়ার অবলম্বন খোঁজে। তখন হাতের কাছে লোভনীয় যে বস্তুটি বা ব্যক্তিটি তাই হয়ে যায় অবলম্বন। কিশোরদের দেখছি একটা মোটরসাইকেল আর একটা দামি ফোনে মজে আছে। কিশোরীদের একটা দামি ফোন হলেই হয়। নেশার শুরুও এখান থেকে। এখন নেশা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এর জন্য আর কষ্টও করতে হয় না। সহজলভ্য হওয়ায় নেশাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসছে কিশোররা!

মূলত বাবা-মা সন্তানের কাছ থেকে আলাদা হলেই সন্তান বিপথগামী হয়ে থাকে। আর সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অন্যরকম। চাহিদা, প্রাপ্তি, তুলনায় গিয়ে সন্তানরা নিজেদের হিসাব মেলাতে পারে না। নেশায় আসক্ত হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বন্ধু-বান্ধবদের সম্পৃক্ততায়। গলির প্রতি মোড়ে মোড়ে নেশা বিক্রির মানুষ এখন চলে আসছে। বন্ধুরা অতি উৎসাহে একদিন গিলিয়ে দিলে তারপর থেকে আর কারও কথাই যেন শোনার প্রয়োজন নেই !

কিছুদিন আগে কালিগঞ্জে বাবার হাতে নিহত হয়েছে সন্তান। নিজের বাবা কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্তানকে। সেই বাবার একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি নির্বিকারভাবে বলে যাচ্ছেন নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার কথা। কেমন যেন অস্থির ও বিপন্ন বোধ হলো। ভেতরে হৃৎপি- ঠিক স্থির হয়ে ছিল কতক্ষণ। এগুলোও সম্ভব!

তার এই কথা বলার সময় আমার শুধু মনে হচ্ছিল যেদিন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সেদিনকার অনুভূতিটি কেমন ছিল এই সন্তানকে নিয়ে। নিশ্চই আজান দেয়া হয়েছে, সবাই মিষ্টি এনেছে। তারপর আকিকা, তোতলা মুখে একটু একটু কথা বলা, প্রথম বাবা-মা ডাক, একটু একটু করে হাঁটতে শেখা! বাবা-মায়ের আদরে বড় হওয়া আরও কতশত সেই সব স্মৃতি। সেই সব ভালোবাসাকে ত্যাগ করে বাবা তাকে কুপিয়ে হত্যা করলেন! ইতিহাসে এমন দৃশ্যায়ন বিরল। তবে ঘটেনাই এমন নয় হয়তো। কিন্তু সামাজিক অবক্ষয় এবং সামাজিক অনাচারের সর্বশেষ রূপ এটি ধরা যেতে পারে। কারণ বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে এখন আর পেরে উঠছেন না। খুব অস্থির থাকেন প্রতিটি সন্তানকে নিয়েই!

একটা মোটরসাইকেল বা মোবাইল কিনে দিতে না চাইলে সন্তানরা আত্মহত্যার হুমকি দেয়, ঘরে জিনিসপত্র ভাঙে, ঘর ছেড়ে দেয়, নেশা করে। সবকিছু মিলে সামাজিক এ অস্থিরতা আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাবে সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। স্কুলিং ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। এখন গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে কে কখন বের হয়ে যায়, কে কখন আসে এটা অনেক ক্ষেত্রেই খেয়াল করা হয় না। মোটরসাইকেল নিয়েও আসছে শিক্ষার্থীরা।

মোবাইল থাকে ওপেন। শাসন করার তেমন কোনো পথ নেই বর্তমান সময়ে। কাউন্সিলিং নেই কোনো স্কুলে।

বাবা-মায়েরাও স্কুলের ওপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা স্বস্তিতে থাকতে চান। সন্তানকে অভাব শেখানোর চেয়ে নিজেদের সক্ষমতা দেখান। সব কিনে দিয়ে সন্তানকে সুখী করতে চান।

সংসারে অনেক সময় অনৈতিক স¤পর্ক গড়ে ওঠে সেগুলোও প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। কোনো কোনো সময় একই পরিবারে দুই সন্তানকে দুই চোখে দেখা হয়। এ বিষয়গুলোও অপরাধী তৈরিতে উৎসাহ দেয়।

সবকিছু মিলে আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সহজ কথায় যা করতে হবে তা হলো, সন্তানকে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে রাখা। তাদের সময় দেয়া এবং সময় নেয়া। যেদিন প্রথম বুঝবেন সন্তান আপনার হাতছাড়া হতে পারে সেদিন থেকেই কাজ শুরু করুন।

স্কুলে কাউন্সিলিং বাড়ানো, সঠিক শিক্ষা দান, যে কোনো বাহনে ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরা বন্ধ এবং মোবাইল স্কুলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধে কাজ করা জরুরি। একটা লেখা বা বলায় এ সমস্যা দূর হবে না। যে বাবা বলছিলেন তার সন্তানকে হত্যার কথা তিনি বারবার বলেছেন আমার সন্তান তার মাকে খারাপ গালি দিত। এটা তিনি সহ্য করতে পারতেন না। এখন তিনি অনেকটা স্বস্তি পাবেন!

এমন আশ্চর্য সত্য আমরা শোনার জন্য প্রস্তুত নই। আসুন সন্তানকে নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি। তারপর উত্তর খুঁজে একটি সুন্দর প্রজন্ম তৈরির পথে আমরা হাঁটি। নইলে আমাদের অপরাধে ডুবে ঘরে ঘরে যুদ্ধ করে আমরা নিজেদের বিসর্জন দিতে বাধ্য হব !

[লেখক : রসায়নবিদ]

আকস্মিক বন্যা প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির কৌশল

পতিতাবৃত্তি কি অপরাধ?

বন্যা-পরবর্তী কৃষকের সুরক্ষা করণীয়

নদী সংস্কার : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

নিজের চরকায় তেল দেবার নাম দেশপ্রেম

রম্যগদ্য : ডাক্তারি যখন আইসিইউতে

ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্য

বাঙালির ইলিশচর্চা

এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ হতে পারে কুষ্ঠ রোগ

প্রসঙ্গ : পরিসংখ্যানের তথ্য বিকৃতি

বোরো ধান বিষয়ে কিছু সতর্কতা এবং সার ব্যবস্থাপনা

বন্যার জন্য ভারত কতটুকু দায়ী

গ্রাফিতিতে আদিবাসীদের বঞ্চনার চিত্র

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা

পুলিশের সংস্কার হোক জনগণের কল্যাণে

জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের মনস্তত্ত্ব

উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছাতে হবে

বন্যার বিভিন্ন ঝুঁকি ও করণীয়

প্রশ্নে জর্জরিত মানুষ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাব

রম্যগদ্য : এ-পাস, না ও-পাস?

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি, উত্তরণের উপায়

গৃহকর্মী নির্যাতনের অবসান হোক

মাঙ্কিপক্স : সতর্কতা ও সচেতনতা

সবার আগে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে

শিক্ষাক্ষেত্রে দ্রুত যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে

বাদী কিংবা বিবাদীর মৃত্যুতে আইনি ফলাফল কী?

নদ-নদীর সংজ্ঞার্থ ও সংখ্যা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

রাষ্ট্র সংস্কার ও পরিবেশ ন্যায়বিচার

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য কি দূর হবে

আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা

অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তহীন কাজ

নিষ্ঠার সাথে নিজের কাজটুকু করাই দেশপ্রেম

দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে

ছবি

ইসমাইল হানিয়ের করুণ মৃত্যু

ক্যাপিটল : মার্কিনিদের গণতন্ত্রের প্রতীক

হাওর উন্নয়নে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

tab

উপ-সম্পাদকীয়

পারিবারিক অপরাধপ্রবণতা ও কয়েকটি প্রশ্ন

সাঈদ চৌধুরী

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

ছোট্ট সন্তান যখন মায়ের বুকের দুধ খায় তখন বাবারা পাশে গিয়ে সন্তাকে দুধ খাইয়ে দিতে কত আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সন্তান আস্তে আস্তে আদরে বড় হতে থাকে। সব আপনি দেখেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট হওয়ার প্রথম ধাপটি কি আপনি লক্ষ করেন না, নাকি বোঝেন না?

নষ্ট হওয়ার পর সন্তানের কতগুলো আবদার আপনি রাখেন এবং কেন রাখেন?

কত বছর বয়স থেকে সন্তানকে দেখে আপনি ভয় পান যে সন্তানকে এখন কিছু বললেই আপনার দিকে তেড়ে আসবে?

যেদিন প্রথম সন্তানকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন সেদিন কি আপনি কোনো এমন ব্যবস্থা করেছেন যাতে সন্তান আর এমন কিছু না করে?

কবে বুঝলেন সন্তান আপনাকে আর মানছে না? তখন যদি সন্তানকে আর ফেরানোই না যায় তবে করণীয় ঠিক করতে কি আপনি কোনো ভাবনা ভেবেছিলেন?

সন্তানরা তাদের ইচ্ছামতো চলতে চায় কিন্তু বাবা-মা যদি বোঝায় তখন তারা থামে। কোন সন্তানরা বাবা-মায়ের কথায় থামে এটা আগে ভাবুন। যারা ছোটবেলা থেকে মা-বাবাকে বুঝতে পারে তারা।

এখন মা-বাবাকে বোঝার জন্য সন্তানকে কতটুকু সময় আপনি দিয়েছেন? কিশোর গ্যাং বা নেশায় আসক্তি বাড়ল কখন থেকে একটু হিসাব করেন?

বাবা-মায়ের কোনো ব্যস্ততা নেই। কিন্তু তারা সন্তানের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে নিজেরা ব্যস্ত সময় কাটান একাকী অথবা টিভি দেখে বা মোবাইল ব্যবহার করে।

এদের সন্তানরা একসময় নিজেকে খুঁজে পাওয়ার অবলম্বন খোঁজে। তখন হাতের কাছে লোভনীয় যে বস্তুটি বা ব্যক্তিটি তাই হয়ে যায় অবলম্বন। কিশোরদের দেখছি একটা মোটরসাইকেল আর একটা দামি ফোনে মজে আছে। কিশোরীদের একটা দামি ফোন হলেই হয়। নেশার শুরুও এখান থেকে। এখন নেশা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এর জন্য আর কষ্টও করতে হয় না। সহজলভ্য হওয়ায় নেশাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে আসছে কিশোররা!

মূলত বাবা-মা সন্তানের কাছ থেকে আলাদা হলেই সন্তান বিপথগামী হয়ে থাকে। আর সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর ক্ষেত্রে এ বিষয়টি অন্যরকম। চাহিদা, প্রাপ্তি, তুলনায় গিয়ে সন্তানরা নিজেদের হিসাব মেলাতে পারে না। নেশায় আসক্ত হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বন্ধু-বান্ধবদের সম্পৃক্ততায়। গলির প্রতি মোড়ে মোড়ে নেশা বিক্রির মানুষ এখন চলে আসছে। বন্ধুরা অতি উৎসাহে একদিন গিলিয়ে দিলে তারপর থেকে আর কারও কথাই যেন শোনার প্রয়োজন নেই !

কিছুদিন আগে কালিগঞ্জে বাবার হাতে নিহত হয়েছে সন্তান। নিজের বাবা কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্তানকে। সেই বাবার একটা সাক্ষাৎকার দেখলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি নির্বিকারভাবে বলে যাচ্ছেন নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার কথা। কেমন যেন অস্থির ও বিপন্ন বোধ হলো। ভেতরে হৃৎপি- ঠিক স্থির হয়ে ছিল কতক্ষণ। এগুলোও সম্ভব!

তার এই কথা বলার সময় আমার শুধু মনে হচ্ছিল যেদিন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সেদিনকার অনুভূতিটি কেমন ছিল এই সন্তানকে নিয়ে। নিশ্চই আজান দেয়া হয়েছে, সবাই মিষ্টি এনেছে। তারপর আকিকা, তোতলা মুখে একটু একটু কথা বলা, প্রথম বাবা-মা ডাক, একটু একটু করে হাঁটতে শেখা! বাবা-মায়ের আদরে বড় হওয়া আরও কতশত সেই সব স্মৃতি। সেই সব ভালোবাসাকে ত্যাগ করে বাবা তাকে কুপিয়ে হত্যা করলেন! ইতিহাসে এমন দৃশ্যায়ন বিরল। তবে ঘটেনাই এমন নয় হয়তো। কিন্তু সামাজিক অবক্ষয় এবং সামাজিক অনাচারের সর্বশেষ রূপ এটি ধরা যেতে পারে। কারণ বাবা-মায়েরা সন্তানের সঙ্গে এখন আর পেরে উঠছেন না। খুব অস্থির থাকেন প্রতিটি সন্তানকে নিয়েই!

একটা মোটরসাইকেল বা মোবাইল কিনে দিতে না চাইলে সন্তানরা আত্মহত্যার হুমকি দেয়, ঘরে জিনিসপত্র ভাঙে, ঘর ছেড়ে দেয়, নেশা করে। সবকিছু মিলে সামাজিক এ অস্থিরতা আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাবে সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। স্কুলিং ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। এখন গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে কে কখন বের হয়ে যায়, কে কখন আসে এটা অনেক ক্ষেত্রেই খেয়াল করা হয় না। মোটরসাইকেল নিয়েও আসছে শিক্ষার্থীরা।

মোবাইল থাকে ওপেন। শাসন করার তেমন কোনো পথ নেই বর্তমান সময়ে। কাউন্সিলিং নেই কোনো স্কুলে।

বাবা-মায়েরাও স্কুলের ওপর ছেড়ে দিয়ে নিজেরা স্বস্তিতে থাকতে চান। সন্তানকে অভাব শেখানোর চেয়ে নিজেদের সক্ষমতা দেখান। সব কিনে দিয়ে সন্তানকে সুখী করতে চান।

সংসারে অনেক সময় অনৈতিক স¤পর্ক গড়ে ওঠে সেগুলোও প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। কোনো কোনো সময় একই পরিবারে দুই সন্তানকে দুই চোখে দেখা হয়। এ বিষয়গুলোও অপরাধী তৈরিতে উৎসাহ দেয়।

সবকিছু মিলে আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সহজ কথায় যা করতে হবে তা হলো, সন্তানকে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে রাখা। তাদের সময় দেয়া এবং সময় নেয়া। যেদিন প্রথম বুঝবেন সন্তান আপনার হাতছাড়া হতে পারে সেদিন থেকেই কাজ শুরু করুন।

স্কুলে কাউন্সিলিং বাড়ানো, সঠিক শিক্ষা দান, যে কোনো বাহনে ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরা বন্ধ এবং মোবাইল স্কুলের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধে কাজ করা জরুরি। একটা লেখা বা বলায় এ সমস্যা দূর হবে না। যে বাবা বলছিলেন তার সন্তানকে হত্যার কথা তিনি বারবার বলেছেন আমার সন্তান তার মাকে খারাপ গালি দিত। এটা তিনি সহ্য করতে পারতেন না। এখন তিনি অনেকটা স্বস্তি পাবেন!

এমন আশ্চর্য সত্য আমরা শোনার জন্য প্রস্তুত নই। আসুন সন্তানকে নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি। তারপর উত্তর খুঁজে একটি সুন্দর প্রজন্ম তৈরির পথে আমরা হাঁটি। নইলে আমাদের অপরাধে ডুবে ঘরে ঘরে যুদ্ধ করে আমরা নিজেদের বিসর্জন দিতে বাধ্য হব !

[লেখক : রসায়নবিদ]

back to top