আবারও সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার আশ্বাস মিলল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে যেন আর কেউ মারা না যান, সে বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঢাকার পিলখানায় ‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনে’ উভয়পক্ষ এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বিএসএফের মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে নিজেদের অস্ত্রনীতি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সীমান্তে প্রাণসংহারী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নীতিতে এসেছি। এ নীতির কার্যকর সুফল পেতে সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষই।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণসংহারী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের কথা অতীতেও অনেক হয়েছে। বিএসএফ ‘নন-লেথাল’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে দেখা গেছে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। বিজিবির সদস্যও বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দিন মারা যান।
বিএসএফের মহাপরিচালক অবশ্য দাবি করেছেন যে, সীমান্তে তাদের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘অনেক সময় চোরাচালানকারী ও অপরাধীরা দা ও ধারালো চাকুর আঘাতে বিএসএফ সদস্যদের আহত করে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন।’
তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তা থেকে আমরা জানতে পারি যে, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। এমনও অভিযোগ আছে যে, বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নির্যাতনের শিকার হন।
বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালানসহ নানান অপরাধের কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ অপরাধ করেছে বা করতে পারে এমন সন্দেহে কি গুলি ছোড়া যায় বা কাউকে হত্যা করা যায়। কেউ অপরাধ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই যুক্তিযুক্ত।
আমরা বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বিজিবি-বিএসএফ আন্তরিকভাবে চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা কঠিন কোন কাজ হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের যে প্রতিশ্রুতি উভয়পক্ষ দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হচ্ছেÑএমনটাই আমরা দেখতে চাই।
সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
আবারও সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার আশ্বাস মিলল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে যেন আর কেউ মারা না যান, সে বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঢাকার পিলখানায় ‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনে’ উভয়পক্ষ এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বিএসএফের মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে নিজেদের অস্ত্রনীতি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সীমান্তে প্রাণসংহারী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নীতিতে এসেছি। এ নীতির কার্যকর সুফল পেতে সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষই।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণসংহারী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের কথা অতীতেও অনেক হয়েছে। বিএসএফ ‘নন-লেথাল’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে দেখা গেছে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। বিজিবির সদস্যও বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দিন মারা যান।
বিএসএফের মহাপরিচালক অবশ্য দাবি করেছেন যে, সীমান্তে তাদের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘অনেক সময় চোরাচালানকারী ও অপরাধীরা দা ও ধারালো চাকুর আঘাতে বিএসএফ সদস্যদের আহত করে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন।’
তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তা থেকে আমরা জানতে পারি যে, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। এমনও অভিযোগ আছে যে, বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নির্যাতনের শিকার হন।
বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালানসহ নানান অপরাধের কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ অপরাধ করেছে বা করতে পারে এমন সন্দেহে কি গুলি ছোড়া যায় বা কাউকে হত্যা করা যায়। কেউ অপরাধ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই যুক্তিযুক্ত।
আমরা বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বিজিবি-বিএসএফ আন্তরিকভাবে চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা কঠিন কোন কাজ হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের যে প্রতিশ্রুতি উভয়পক্ষ দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হচ্ছেÑএমনটাই আমরা দেখতে চাই।