alt

সম্পাদকীয়

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি এবার কি পূরণ হবে

: সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

আবারও সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার আশ্বাস মিলল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে যেন আর কেউ মারা না যান, সে বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঢাকার পিলখানায় ‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনে’ উভয়পক্ষ এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

বিএসএফের মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে নিজেদের অস্ত্রনীতি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সীমান্তে প্রাণসংহারী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নীতিতে এসেছি। এ নীতির কার্যকর সুফল পেতে সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষই।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণসংহারী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের কথা অতীতেও অনেক হয়েছে। বিএসএফ ‘নন-লেথাল’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে দেখা গেছে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। বিজিবির সদস্যও বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দিন মারা যান।

বিএসএফের মহাপরিচালক অবশ্য দাবি করেছেন যে, সীমান্তে তাদের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘অনেক সময় চোরাচালানকারী ও অপরাধীরা দা ও ধারালো চাকুর আঘাতে বিএসএফ সদস্যদের আহত করে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন।’

তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তা থেকে আমরা জানতে পারি যে, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। এমনও অভিযোগ আছে যে, বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নির্যাতনের শিকার হন।

বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালানসহ নানান অপরাধের কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ অপরাধ করেছে বা করতে পারে এমন সন্দেহে কি গুলি ছোড়া যায় বা কাউকে হত্যা করা যায়। কেউ অপরাধ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই যুক্তিযুক্ত।

আমরা বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বিজিবি-বিএসএফ আন্তরিকভাবে চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা কঠিন কোন কাজ হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের যে প্রতিশ্রুতি উভয়পক্ষ দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হচ্ছেÑএমনটাই আমরা দেখতে চাই।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামানোর প্রতিশ্রুতি এবার কি পূরণ হবে

সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

আবারও সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার আশ্বাস মিলল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে যেন আর কেউ মারা না যান, সে বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঢাকার পিলখানায় ‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনে’ উভয়পক্ষ এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

বিএসএফের মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে নিজেদের অস্ত্রনীতি পরিবর্তনের কথা বলেছেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, সীমান্তে প্রাণসংহারী অস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নীতিতে এসেছি। এ নীতির কার্যকর সুফল পেতে সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানো, তাৎক্ষণিক তথ্য বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয়পক্ষই।

সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রাণসংহারী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের কথা অতীতেও অনেক হয়েছে। বিএসএফ ‘নন-লেথাল’ নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাস্তবে দেখা গেছে, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মারা গেছেন। বিজিবির সদস্যও বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বিজিবি সদস্য রইশুদ্দিন মারা যান।

বিএসএফের মহাপরিচালক অবশ্য দাবি করেছেন যে, সীমান্তে তাদের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘অনেক সময় চোরাচালানকারী ও অপরাধীরা দা ও ধারালো চাকুর আঘাতে বিএসএফ সদস্যদের আহত করে। তখন আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন।’

তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ে যেসব প্রতিবেদন দিয়েছে তা থেকে আমরা জানতে পারি যে, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। এমনও অভিযোগ আছে যে, বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা নির্যাতনের শিকার হন।

বিএসএফ সীমান্তে চোরাচালানসহ নানান অপরাধের কথা বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ অপরাধ করেছে বা করতে পারে এমন সন্দেহে কি গুলি ছোড়া যায় বা কাউকে হত্যা করা যায়। কেউ অপরাধ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই যুক্তিযুক্ত।

আমরা বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়ার মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বিজিবি-বিএসএফ আন্তরিকভাবে চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা কঠিন কোন কাজ হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের যে প্রতিশ্রুতি উভয়পক্ষ দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হচ্ছেÑএমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top