ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অভিযানও চালিয়েছিল। তখন অভিযুক্তদের অর্থদ- দেয়া হয়। এরপরও জলাশয় ভরাট বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দখল-দূষণে দেশজুড়েই অনেক জলাশয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। জলাশয় দখল-দূষণের খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় এর তীব্রতা বাড়ছে, বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। নৌ যোগাযোগও বিঘিœত হচ্ছে। কমছে জলজ সম্পদ।
জলাশয় বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে।
জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আমরা বলতে চাই, দেশের জলাশয় রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা গেলে দখল-দূষণে মানুষ অনুৎসাহী হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা জরুরি। পরিবেশ রক্ষার জন্য তো বটেই, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও যে খাল-বিল, নদী-নালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সেটা মানুষকে বুঝতে হবে।
রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অভিযানও চালিয়েছিল। তখন অভিযুক্তদের অর্থদ- দেয়া হয়। এরপরও জলাশয় ভরাট বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দখল-দূষণে দেশজুড়েই অনেক জলাশয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। জলাশয় দখল-দূষণের খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় এর তীব্রতা বাড়ছে, বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। নৌ যোগাযোগও বিঘিœত হচ্ছে। কমছে জলজ সম্পদ।
জলাশয় বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে।
জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আমরা বলতে চাই, দেশের জলাশয় রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা গেলে দখল-দূষণে মানুষ অনুৎসাহী হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা জরুরি। পরিবেশ রক্ষার জন্য তো বটেই, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও যে খাল-বিল, নদী-নালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সেটা মানুষকে বুঝতে হবে।