alt

সম্পাদকীয়

জলাশয় রক্ষায় চাই জনসচেতনতা

: রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অভিযানও চালিয়েছিল। তখন অভিযুক্তদের অর্থদ- দেয়া হয়। এরপরও জলাশয় ভরাট বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দখল-দূষণে দেশজুড়েই অনেক জলাশয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। জলাশয় দখল-দূষণের খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় এর তীব্রতা বাড়ছে, বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। নৌ যোগাযোগও বিঘিœত হচ্ছে। কমছে জলজ সম্পদ।

জলাশয় বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে।

জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমরা বলতে চাই, দেশের জলাশয় রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা গেলে দখল-দূষণে মানুষ অনুৎসাহী হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা জরুরি। পরিবেশ রক্ষার জন্য তো বটেই, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও যে খাল-বিল, নদী-নালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সেটা মানুষকে বুঝতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

জলাশয় রক্ষায় চাই জনসচেতনতা

রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অভিযানও চালিয়েছিল। তখন অভিযুক্তদের অর্থদ- দেয়া হয়। এরপরও জলাশয় ভরাট বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দখল-দূষণে দেশজুড়েই অনেক জলাশয় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জলাশয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এগুলো পরিবেশকে শীতল রাখে। জলাশয় দখল-দূষণের খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। অতীতে দেশে যেসব তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে তার পেছনে পর্যাপ্ত জলাশয় না থাকাকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গরমের সময় এর তীব্রতা বাড়ছে, বর্ষায় পানি ধারণ করার মতো জলাশয়ের সংখ্যা কমছে। শুষ্ক মৌসুমে দেখা দিচ্ছে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট। নৌ যোগাযোগও বিঘিœত হচ্ছে। কমছে জলজ সম্পদ।

জলাশয় বর্ষা মৌসুমে বন্যা প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা নিরসন, পানির চাহিদা পূরণ ও আবর্জনা পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের টিকে থাকার অবলম্বন এই জলাশয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জলাশয়গুলো রক্ষা না করলে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস, ফসল উৎপাদন হ্রাস, ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগও ভবিষ্যতে দেখা দিতে পারে।

জলাশয় রক্ষায় দেশে আইন আছে। তারপরও জলাশয়গুলো দখল বা ভরাট হচ্ছে কিভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। ২০০০ সালের ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দীঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। যে কেউ করলে সেটি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আমরা বলতে চাই, দেশের জলাশয় রক্ষায় আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা আইন ভেঙে জলাশয় ভরাট করেছে, শ্রেণী পরিবর্তন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা গেলে দখল-দূষণে মানুষ অনুৎসাহী হবে। যেসব জলাশয় দখলে চলে গেছে তা উদ্ধার করতে হবে। ভরাট জলাশয়গুলো পুনর্খনন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জলাশয় রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা জরুরি। পরিবেশ রক্ষার জন্য তো বটেই, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যও যে খাল-বিল, নদী-নালার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সেটা মানুষকে বুঝতে হবে।

back to top