পদ্মা সেতুর এক কিলোমিটার পূর্বে ও পাইনপাড়া গ্রামের পাশে সারি সারি অবৈধ ড্রেজার। এসব ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছিল লাখ লাখ ঘনফুট বালু। এভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ১৫ জনকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শনিবার রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সেখানে বালু উত্তোলনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এভাবে বালু উত্তোলন করায় পাইনপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে। পদ্মা সেতু দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। এ সেতুর কাছাকাছি নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন সঙ্গত কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্রোতের গতি ও পানিপ্রবাহের পরিমাণের দিক থেকে আমাজনের পর পদ্মাই সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা নদী। তাই পদ্মা সেতুর জন্য ১৪ কিলোমিটার নদী শাসন করে তীর বাঁধাই করা হয়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নদীশাসন এখনও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতু চালুর পর নিয়মিত তদারকি করার কথা বলা হয়েছে। পানিপ্রবাহের ধরনে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা, নদীতে পলি কী পরিমাণ আসছে-এসব বিষয় খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। সেখানে সেতুর মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে কীভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল-সেটি ভেবে আমরা উদ্বিগ্ন হই। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এটা কীভাবে সম্ভব হলো।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে সেটা ভালো কথা। তবে জরুরি হচ্ছে, বালু উত্তোলন বন্ধ করা। যে কোন মূল্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
পদ্মা সেতুর এক কিলোমিটার পূর্বে ও পাইনপাড়া গ্রামের পাশে সারি সারি অবৈধ ড্রেজার। এসব ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছিল লাখ লাখ ঘনফুট বালু। এভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ১৫ জনকে ৭ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শনিবার রাতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সেখানে বালু উত্তোলনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এভাবে বালু উত্তোলন করায় পাইনপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে। পদ্মা সেতু দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। এ সেতুর কাছাকাছি নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন সঙ্গত কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্রোতের গতি ও পানিপ্রবাহের পরিমাণের দিক থেকে আমাজনের পর পদ্মাই সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি পৃথিবীর অন্যতম খরস্রোতা নদী। তাই পদ্মা সেতুর জন্য ১৪ কিলোমিটার নদী শাসন করে তীর বাঁধাই করা হয়েছে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নদীশাসন এখনও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পদ্মা সেতু চালুর পর নিয়মিত তদারকি করার কথা বলা হয়েছে। পানিপ্রবাহের ধরনে কোন পরিবর্তন আসছে কিনা, নদীতে পলি কী পরিমাণ আসছে-এসব বিষয় খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে। সেখানে সেতুর মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে কীভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল-সেটি ভেবে আমরা উদ্বিগ্ন হই। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এটা কীভাবে সম্ভব হলো।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়েছে সেটা ভালো কথা। তবে জরুরি হচ্ছে, বালু উত্তোলন বন্ধ করা। যে কোন মূল্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।